চাকরি

Dearness Allowance – আরও একদফায় DA বৃদ্ধি রাজ্যে। ধীরে ধীরে সমস্ত বকেয়া মেটানোর প্রস্তুতি শুরু।

গত এক বছর যাবত পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) দাবিতে এবং কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চলিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মীরা। আর এই বিক্ষোভ আন্দোলনের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর বলেছিলেন DA বাধ্যতামূলক নয়, এটি একটি ঐচ্ছিক বিষয়। মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের জেরে শোরগোল পরে গিয়েছিল সারা বাংলায়।

Dearness Allowance In West Bengal.

রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এমন মন্তব্য যেন Dearness Allowance আন্দোলন করা সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও গত বছর শেষের দিকে 4 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিল (DA Hike) সরকার। তারপরে বাজেটের সময় আরো 4 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছিল সরকার। এর ফলে সরকারি কর্মীদের বর্তমানে মহার্ঘ ভাতার পরিমান 14 শতাংশ।

এতে অনেক সরকারি কর্মী খুশি হলেও অনেকে এখনো খুশি নন কারন কেন্দ্র সরকারের সাথে মহার্ঘ ভাতা পরিমানে এখনো অনেকটা পার্থক্য আছে। তবে এখন প্রশ্ন কবে থেকে 14 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে গত রবিবার বীরভূমের সিউড়িতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) ঘোষনা করেন, আগামী মে মাস থেকে রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal) কর্মীদের ক্ষেত্রে নতুন Dearness Allowance কার্যকর হবে।

কেন্দ্রের মহার্ঘ ভাতার সাথে রাজ্যের Dearness Allowance পার্থক্য এখনো অনেকটাই বেশি। আর এটাই সরকরি কর্মীদের রাগের মুল কারন। যদিও বাংলার সরকারি কর্মীদের (Government Employees) এই ডিএ বাড়ার ফলে কত টাকা ব্যাংকে ঢুকবে সকলের সে ব্যাপারে কিছু জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।

Aadhaar Deactivated (আধার কার্ড বাতিল)

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্য সরকারের Group D এর কর্মীরা নূন্যতম 17 হাজার টাকা বেসিক বেতন পান। এই আবহে 14 শতাংশ DA এই বেসিক পে এর সাথে ধার্য করা হবে। Dearness Allowance এই পরিমান বাড়ার ফলে তাদের বেতন বাড়তে পারে 700 থেকে 1500 টাকা এর মধ্যে। এর পাশে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্কদের ক্ষেত্রে বেসিক পে এর পরিমান 23 হাজার টাকার কাছাকাছি।

আবার টানা ছুটি থাকবে রাজ্যে। সবাই এই ছুটি পাবে। কবে থেকে শুরু হচ্ছে?

এই আবহে তাদের ক্ষেত্রে মাস গেলে 920 টাকা বাড়তি আসতে চলেছে নতুন বছরে। এছাড়া ব্লকে থাকা এক্সটেনশন অফিসারদের ক্ষেত্রে বেসিক পে 29 হাজার টাকা থেকে 32 হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। সেক্ষেত্রে তাদের ঘরে বাড়তি টাকা করে ঢুকতে পারে। আর এই Dearness Allowance এর হিসাব আগামী মে মাসে আরও স্পষ্ট হবে। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Ananya Chakraborty.

SBI গ্রাহকদের লাস্ট ওয়ার্নিং দিলো স্টেট ব্যাংক। 29 ফেব্রুয়ারির আগে এই কাজ না করলে দায় নেবেনা ব্যাংক কতৃপক্ষ

Related Articles

One Comment

  1. এই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সম্ভবত স্বাধীনতার পর থেকেই রাজ্য কর্মীরা দাবি করে আসছেন। কিন্তু ভারতের রাজ্যগুলির প্রায় সব রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে অনুসরণ করে।বকেয়া থাকলে বকেয়া মিটিয়ে দেয়। এই বিষয়ে পাশের রাজ্য উড়িষ্যা, বিহার ঝাড়খন্ড, আসাম, ইত্যাদি রাজ্যের বেতন অনুসরণ করলেই বোঝা যায় পশ্চিমবঙ্গের দূরবর্তী রআজ্য ত্রিপুরাও সব সময় পিছিয়ে থাকে। এর জন্য দায়ী বামফ্রন্টের চিন্তা ভাবনা দায়ী। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গ দায়ী। ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে যারা সরকার থেকে সরাসরি বেতন পান তাদের সরকারের কর্মী মান্যতা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মাত্র এক তৃতীয়াংশ কর্মী সরকারি হিসাবে বিবেচিত। তাঁর কারণ সরকারি কর্মী সরাসরি রাজনীতি করতে পারে না বৃটিশ আমলের নীতি বলবৎ থাকায়। বামফ্রন্ট শিক্ষক, অধ্যাপক, পঞ্চায়েত ও পুরসভা কর্মীদের নিয়ে তাদের রাজনৈতিক সংগঠন জোরদার করল। বিশুদ্ধ সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ও অন্যান্য ভাতা সব রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় খাত থেকে অনেকটাই পায়। কিন্তু এই রাজ্যে ও ত্রিপুরায় পোষিত কর্মীদের কেন্দ্রীয় খাতের টাকা সকলের মধ্যে বন্টন করতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়েছে ঐ দুটি রাজ্য সরকার। যদি সকলকে সরকারি কর্মী ঘোষনা করে কেন্দ্রের কাছে পেশ করে তাহলে কেন্দ্রীয় খাতে টাকা বৃদ্ধি পাবে। সেই রাস্তায় হাঁটবে না বাঙালি শাসক কুল। মমতা সরকার মহার্ঘ ভাতার টাকা কন্যাশ্রী সহ সকল শ্রী খাতে ও লক্ষ্মীর ভান্ডার নামক অনুৎপাদক খাতে ব্যয় করছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। এছাড়া আছে গোদের উপর বিষফোঁড়া — স্বাস্থ্যসাথী।

    মমতা ও তাঁর অনুগামীরা বলেন যে চাকরি ছেড়ে চলে যান, কেন্দ্রীয় সরকারে চাকরি করুন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দপ্তর যখন লিখিত চিঠি পাঠায় তখন খামের উপর লেখা থাকে On India Govt Service. । এর অর্থ সারা ভারতের সকল কর্মীরা ভারত সরকারের কর্মী। তাদের সুযোগ সুবিধা কম বেশি একরকম থাকা উচিত।

    পূর্বে শিক্ষক অধ্যাপক সহ বহু দপ্তরে পেনশান ছিল না, ছিল কন্ট্রবিউটারি প্রভিডেন্ট ফান্ড।। ১৯৯৫ সালে বামফ্রন্ট সরকার পেনশনের দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নিয়ে সরকারের দায় আরো বাড়িয়ে নিল।

    বাঙালিরা ভালো শাসক বা প্রশাসক হতে পারে না। তার ফল পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ৬০ বছর ধরে দেখে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *