প্রকল্প

আবাস যোজনা থেকে বাদ পড়লো ৪০ হাজার উপভোক্তার নাম। আপনার নাম রয়েছে তো?

আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত এমন এক তথ্য সামনে এসেছে, যার কারণে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে জেলা প্রশাসন সহ সমগ্র রাজ্যবাসীর। আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি এই প্রথম নয়, ইতিপূর্বেও বারংবার আবাস যোজনার নিয়ে নানাবিধ দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে দরিদ্র, গৃহহীন মানুষদের পাকাবাড়ি প্রদানের জন্য কার্যকরী এই আবাস যোজনাকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নানাধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এমনকী এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই রাজ্য সরকারও।

ইতিমধ্যে আবাস যোজনা সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক গাইডলাইন প্রকাশ্যে আনা হয়েছিলো। আর এই গাইডলাইন মেনে যাচাইকরণের প্রক্রিয়া চালু করতেই রাজ্যের এক জেলা থেকে বাদ পড়ল ৪০,০০০ উপভোক্তার নাম। আর এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে প্রশাসনের। শুধুমাত্র পাকাবাড়ি রয়েছে এরূপ ব্যক্তিদের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে এমনটা নয়, এর পাশাপাশি রয়েছে সরকারি, বেসরকারি চাকুরিজীবী এমনকী কোটিপতি ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের নামও।

কোথাও কোথাও আবার স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নামও আবাস যোজনার তালিকা সংযুক্ত হয়েছে। মালদা জেলার জেলা প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে যে, মালদা জেলার ১৫টি ব্লকে মোট ১ লক্ষ ৬৭ হাজার উপভোক্তার নাম ছিলো। বর্তমানে তা থেকে ৪০ হাজার উপভোক্তার নাম বাতিল হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ের যাচাইকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর উপভোক্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজারে। যদিও এই তালিকাটিও চূড়ান্ত নয় বলেই দাবি মালদা প্রশাসনের।

করোনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। কি বললেন তিনি জেনে নিন।

এরপরেও আরও একবার যাচাইকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং তারপরেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ্যে আনা হবে বলেই জানানো হয়েছে মালদা জেলার জেলা প্রশাসনের তরফে। এর পাশাপাশি আবাস যোজনা থেকে দুর্নীতি দূরীকরণের জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেকটি সংসদে প্রকাশ্যে গ্রামসভা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই গ্রাম সভাতেই কারা কারা আবাস যোজনার অধীনে পাকা বাড়ির নির্মাণের অনুদান পেতে চলেছেন তা ঘোষণা করা হবে।

কোনো গ্রামবাসীর যদি এই তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নামে কোনোরূপ অভিযোগ থাকে তবে তিনি তা প্রকাশ্যে তুলে ধরতে পারবেন এবং পরবর্তীতে এর ভিত্তিতে তদন্ত করে উপভোক্তার নাম বাতিল করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে, গ্রাম সভার অনুমোদনের উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে কারা পাকা বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা পেতে চলেছেন তার চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারণ করা হবে। সমগ্র মালদা জেলাতেই এভাবে যাচাইকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে জানানো হয়েছে মালদা জেলার জেলা প্রশাসনের তরফে।

Related Articles

3 Comments

  1. আমি মালদা জেলার বামনগোলা অন্তর্গত ছোটপাতারী গ্ৰাম আমাদের কোনো পাকা বাড়ি বা মাটির বাড়ীও নেই
    শুধু একটা টিনের বাড়ি! তবে কি আমার বাড়ি হবে না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *