WBBPE – প্রশ্নের মুখে 43000 প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। 2017 থেকে চাকরি পাওয়া সমস্ত শিক্ষক মহা টেনশনে।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে WBBPE Primary TET মামলার শুনানি। আর এই মামলার শুনানির খবর জানতে পারলেই আশঙ্কায় ভীত হয়ে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা। তার সবচেয়ে বড় কারণ, আবার কত হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সম্প্রতি একের পর এক চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই নির্দেশ এর আগেও দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মন্তব্য করেছেন, প্রতিদিনই হাইকোর্টে ২ হাজার, ৩ হাজার করে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
WBBPE প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি থাকবে?
চাকরি দুর্নীতি নিয়ে এরপরেই তিনি পূর্বের বামফ্রন্ট জমানার দিকে আঙ্গুল তোলেন। এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (WBBPE Primary Teachers Recruitment Scam) দুর্নীতি কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে অযোগ্য শিক্ষকদের কি চাকরি বাতিল হবে? এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। প্রায় ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলার শুনানি রয়েছে।
৪, ৫ এবং ৬ এপ্রিল এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিষয়টি শুনবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরে তিনি নির্দেশ দেবেন। এর আগেও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। WBBPE ও WBSSC মামলায় দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সব নদী গিয়ে সমুদ্রে মিশেছে।
সেখান থেকে মানিক বেছে আনতে হবে, এই ধরনের মন্তব্য শোনা গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। তার উপরে ভিত্তি করে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ৪২ হাজার ৯৪৯ পদে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের WBBPE Primary TET নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর সংখ্যক বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। তাই পুরো WBBPE TET 2016 প্যানেল বাতিল করা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নেই।
প্রাইমারি টেট মামলায় আজই ভাগ্য নির্ধারণ, লাখ লাখ শিক্ষক ও হবু শিক্ষকদের।
এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যারা ন্যায্য উপায়ে চাকরি পেয়েছেন, পুরো প্যানেল বাতিল হলে তাদের কথাও ভাবতে হবে। যদি একজন থেকে থাকেন, সেটাও দেখতে হবে। যদিও গত ২৮শে মার্চ বর্তমান পত্রিকার এক প্রতিবেদন সুত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ১৫০০০ শিক্ষক কে চিহ্নিত করে ফেলেছে CBI ও ED. আর সেই প্রতিবেদনের তথ্য যদি সঠিক হয়, তবে স্বভাবতই মহা টেনশনে শিক্ষকেরা।
এবার আধার কার্ডের নয়া ফরমান জারি, না মানলে, প্রকল্পের টাকাও পাবেন না, আধার কার্ড ও বাতিল হবে।
অন্য কোনো উপায় আছে কিনা সেই বিষয়টি জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, কিভাবে ন্যায্যদের চিহ্নিত করা যাবে? OMR শিট নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। WBBPE Primary TET 2016 প্যানেল যদি বাতিল হয় তাহলে ন্যায্যদের বক্তব্য আদালত আলাদাভাবে শুনতে পারে। আর তখনই সমস্ত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দুর্নীতির সমুদ্রে আপনারা সাহায্য করছেন।
প্রায় 15 হাজার ভুয়ো শিক্ষক চিহ্নিত, প্রাইমারী টেট এর পুরো প্যানেল বাতিলের সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে।
আমি তারপরেও হাবুডুবু খাচ্ছি। দুর্নীতির এ মহাসমুদ্র। ঠগ বাছতে তো গা উজাড় হয়ে যাবে। বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। সব পক্ষের বক্তব্য শুনব। মামলার পরবর্তী শুনানি তারপরে তিনি ঠিক করেছিলেন ৪ এপ্রিল। জানা গিয়েছে, ৪, ৫ এবং ৬ এপ্রিল পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শুনবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই তিনি রায় দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
Panel of primary teacher recruitment in 2016 required to be cancelled forthwith.