এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে পাওয়া যাবে ৭৫ হাজার টাকা। আজই বিনিয়োগ করুন।
বর্তমান যুগে সময়ের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি জিনিসের দাম যেমন বেড়ে চলেছে, তেমনই এখন আমাদের চাহিদাও আকাশ ছোঁয়া হয়ে উঠেছে। আমরা সবাই এখন ছুটে চলেছি কি করে আরো নিজেরদের উপার্জন বাড়িয়ে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায় এবং নিজের ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করে রাখা যায় এই উদ্দেশ্যে।
সেক্ষেত্রে চাকরি মেয়াদকালীন সময়ে একটা নির্দিষ্ট বেতন তো আমরা পেয়ে যাই তাই বর্তমানের চিন্তা কম, কিন্তু চাকরি পরবর্তীকালীন সময় অর্থাৎ অবসর জীবনকে আরও অনেক বেশি সুরক্ষিত করে তুলতে এই সরকারি স্কিমে বিনিয়োগ করে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকে নিশ্চিত করে রাখতে পারি।
অবসর পরবর্তী জীবনকে আরও সুখময় এবং চিন্তামুক্ত তৈরি করতে সরকার নিয়ে এসেছে এক অসাধারণ স্কিম। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে বেতনের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অংশ বিনিয়োগ করা যেতে পারে। আর এই সঞ্চয়টি আমাদের জীবনে একটি সুদূরপ্রসারী ফল দিতে পারে। এই স্কিমের মাধ্যমে টাকা জমিয়ে আমরা অবসরের পর প্রত্যেক মাসে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেনশন পেয়ে যেতে পারি।
এই এনপিএস ঠিক ধরণের স্কিম? এখানে কিভাবে আর কতো টাকা করে বিনিয়োগ করতে পারলে মাসিক ৭৫ হাজার টাকা পেনশনের সুবিধা পাওয়া যেতে পারে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
এনপিএস এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ৪ রকমের বিভাগ রয়েছে:- ইক্যুইটি, সরকারি বন্ড, বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল এবং কর্পোরেট ঋণ। বিনিয়োগকারীদের জন্য আছে দুটি বিকল্প। সক্রিয় এবং স্বয়ংক্রিয় পছন্দ এই স্কিমের এমন একটি বিকল্প, যেখানে ইক্যুইটির তুলনায় কম ঝুঁকি রয়েছে এবং পিপিএফ বা এফডির থেকে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়।
এই ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা মাসিক পেনশনের লাভ উঠাতে চাইলে প্রত্যেক মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমাতে হবে আর এই বিনিয়োগ হতে হবে আগামী ৩৫ বছরের জন্য। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীকে বার্ষিক ১০ শতাংশ রিটার্ন পেতে হলে মোট ৩,৮২,৮২,৭৬৮ টাকা এনপিএস এ দিতে হবে। মোট এনপিএস তাহবিলের ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগের বদলে অবসরের পর ৭৬৫৬৬ টাকা প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে পাওয়া যাবে।
শুধু যে অবসর গ্রহণের পর ভালো অঙ্কের টাকা লাভের সুবিধা আছে তা নয়, আমরা এনপিএস বিনিয়োগের উপর ৮০সিসিডি (১বি ) এর অধীনে অতিরিক্ত ৫০০০০ টাকা আয়কর ছাড়ের সুবিধাও পাবো।
ভারতের ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী যেকোনো নাগরিক এনপিএস এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আর শুধু ভারতে বসবাসকারী ভারতীয়রাই নন, একজন প্রবাসী ভারতীয়ও এই স্কিমের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আজকের দিনে একজন মানুষের পক্ষে সারাজীবন পরিশ্রম করে চাকরি করার পর শুধু মাত্র পিএফ ও গ্র্যাচুইটির অর্থ অনেক সময়েই যথেষ্ট হয়না বৃদ্ধ বয়সের বিপদকালীন সঙ্গী হিসেবে। তাই সরকারি এই স্কিমে আমরা আমাদের কষ্টার্জিত টাকা যেমন ভরসার সাথে সঞ্চয় করে রাখতে পারি, তেমনই বার্ধক্য আসার পর কোনো মুহূর্তে অর্থের জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন এখন শেষ।