মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা সাজিয়ে নম্বর বাড়ানোর উপায়।
সমগ্র রাজ্যজুড়ে খুব শীঘ্রই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজিত হতে চলেছে। করোনা মহামারীর কারণে ঠিক দুই বছর পর পুনরায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অফলাইন মাধ্যমে স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে চলেছেন মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। আর তাই বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। কি করলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। আর তাই আজ আমরা মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এমন কতোগুলো টিপস্ নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা নিজের খাতাটিকে সাজিয়ে তুলে পরীক্ষার নম্বর বাড়াতে পারবেন।
এক্ষেত্রে প্রথমেই বলে রাখা প্রয়োজন মাধ্যমিক হোক বা উচ্চমাধ্যমিক যেকোনো পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের খাতার উপরের দিকে এবং বাঁ পাশে মার্জিন টানতে হবে এবং অবশিষ্ট দুটি দিক ভাঁজ করে নিতে হবে। তবে কোনোক্ষেত্রে সময়ের অভাবে মার্জিন টানতে না পারলে খাতার চারটি দিকে ভাঁজ করে উত্তর লিখলেও কোনোরকম সমস্যা হবে না। পরবর্তীতে বলা প্রয়োজন যে, যেকোনো মাঝারি অথবা বড় প্রশ্নের উত্তর শেষ হওয়ার পর দুই থেকে আড়াই আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে তবেই নতুন প্রশ্নের উত্তর লেখা শুরু করা উচিত। এর ফলে শিক্ষক খুব সহজেই কোন প্রশ্নটি কোথায় শুরু হয়েছে এবং তা কোথায় শেষ হয়েছে এটি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন, অন্যদিকে, কোনোক্ষেত্রে শিক্ষার্থী প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত কয়েকটি লাইন লিখতে চাইলে এই ফাঁকা জায়গায় পরবর্তীতে তা লিখতে পারবেন।
একইভাবে ছোটো প্রশ্নগুলির উত্তর লেখার ক্ষেত্রেও এক আঙুল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখাই যায়। তবে এক্ষেত্রে বড় প্রশ্নের মতো আড়াই আঙুল জায়গা ফাঁকা রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে সমস্ত ছোটো প্রশ্নগুলির উত্তর লেখা শেষ হলে আগের মতো একইভাবে জায়গা ফাঁকা রেখে পরের অংশের উত্তর লিখতে হবে। কোনোক্ষেত্রে কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল হলে সেটিকে সম্পূর্ণ কালো করে না কেটে একটি দাগ দিয়ে কেটে দেওয়াই শ্রেয়। এতে খাতার সৌন্দর্য্য যেমন বজায় থাকে, তেমনভাবে শিক্ষকের খাতা চেক করার ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়।
আপনার মোবাইলে কি ইন্টারনেট স্লো গতিতে চলছে। তাহলে জেনে নিন কিছু চটজলদি সমাধান
এর পাশাপাশি বলে রাখা প্রয়োজন যে, পরীক্ষার খাতায় লেখার ক্ষেত্রে নীল অথবা কালো কালি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে, তারা একই কোম্পানির বেশ কিছু পেন কিনে বাড়িতে ওই পেনগুলি দিয়ে খানিকটা লেখা অভ্যাস করে রাখতে পারেন। এতে পরীক্ষার সময় উত্তর লেখার ক্ষেত্রে তারা যথেষ্ট সুবিধা পাবেন। নিজের খাতাটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য মূল উত্তর দিকে নীল কালি এবং পয়েন্টগুলিকে কালো কালিতে লিখতে পারেন। একইভাবে নিজের পছন্দ অনুসারে মূল উত্তরটিকে কালো কালি এবং পয়েন্টগুলিকে নীল কালিতে লিখতে পারেন। সবুজ, লাল সহ অন্য যেকোনো কালির পেন এবং হোয়াইটনার, স্কেচ পেন, জেলপেন কোনোভাবেই অ্যালাও করা হবে না।
অনেকক্ষেত্রেই বড় প্রশ্নের উত্তরগুলি এক পৃষ্ঠায় শেষ হয় না সেক্ষেত্রে পরের পৃষ্ঠায় যাওয়ার পূর্বে যে পৃষ্ঠায় অসমাপ্ত উত্তর রয়েছে সেখানে P.T.O লিখতে হবে। কোনোক্ষেত্রে যদি অসাবধানতাবশত উত্তরের মাঝে কোনো ফাঁকা পৃষ্টা রয়ে যায় তবে সেখানেও বড় বড় করে P.T.O লিখতে হবে। কোনোক্ষেত্রে যদি একটি পৃষ্ঠার একটি অংশে উত্তর লেখা হয়ে যায় এবং বাকি অংশ ফাঁকা থাকে তবে ওই অংশে কোনো তিন নম্বরের প্রশ্ন অথবা বড় প্রশ্নের উত্তর লেখার প্রয়োজন নেই, পরের পৃষ্ঠা থেকে নতুন করে উত্তর লিখলে খাতার সৌন্দর্য্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন যে, পরীক্ষার খাতায় কোনোরূপ প্রশ্ন লেখার কোনো প্রয়োজন নেই, নম্বর সহ সরাসরি উত্তর লিখলেই হবে।
এছাড়াও MCQ এর উত্তর লেখার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জীবনবিজ্ঞান ছাড়া অন্য বিষয়গুলিতে দাগ নম্বর, অপশনের নম্বর এবং উত্তর লিখলেই চলবে। তবে কেবলমাত্র জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষায় MCQ-এর ক্ষেত্রেও পূর্ণবাক্যে উত্তর লিখতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের দাগ নম্বর, নিজের নাম, রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখার ক্ষেত্রে সাবধানী হতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোরকম ভুল করা চলবে না। অতিরিক্ত পৃষ্ঠা নিলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পৃষ্ঠার মাথায় ১ নম্বর লিখতে হবে। পরবর্তীতে যতোগুলি অতিরিক্ত পৃষ্ঠা নেওয়া হবে সেগুলির মাথায় একই ভাবে ২, ৩, ৪… এর মতো সংখ্যাগুলি লিখতে হবে। এছাড়াও খাতার একেবারে শেষে একটি end line টেনে দিতে হবে।
সবশেষে বলে রাখি যে, হাতের লেখা খারাপ হলে এ নিয়ে হীনমন্যতার কোনো কারণ নেই। কারণ পরীক্ষার খাতায় হাতে লেখার জন্য আলাদাভাবে কোনো নম্বর থাকে না। সুতরাং, হাতের লেখা নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। সমস্ত উত্তর সঠিকভাবে লিখে ঠিকঠাকভাবে খাতাটিকে সাজিয়ে তুলতে পারলেই উচ্চমাধ্যমিক হোক বা মাধ্যমিক যেকোনো ক্ষেত্রেই ভালো নম্বর পাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা।