শিক্ষা

এই ভুলগুলো করলে আটকে যাবে মাধ্যমিকের রেজাল্ট। মাথায় রাখুন বিষয়গুলো

খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজিত হতে চলেছে। আর তাই পরীক্ষার্থী হোক বা অভিভাবক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সমস্তক্ষেত্রেই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। আর এমতাবস্থায় মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে আরও এক নতুন আপডেট প্রকাশ করা হলো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত এই নতুন আপডেটে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে, পরীক্ষার্থীদের বেশ কতোগুলি বিষয় মেনে চলতে হবে, না হলে আগামী দিনে কোনোভাবেই পরীক্ষার রেজাল্ট পাবেন না মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।

বিগত সোমবার পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় এই মর্মে জানানো হয়েছে যে, ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির পক্ষ থেকে বারংবার ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়েছে। এই স্কুলগুলির পক্ষ থেকে বারংবার লাইট ভাঙা, ফ্যান ভাঙা, ফ্যানের ব্লেড বাঁকানো এমনকী জানালা, দরজা এবং বেঞ্চ ভাঙ্গার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর প্রত্যেকবারই অভিযোগের তীর উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীদের দিকে। যেহেতু অন্য স্কুল থেকে পরীক্ষার্থীরা ওই সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আসেন তাই কাউকেই আলাদাভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। ফলত ছাত্র-ছাত্রীদের কোনোরূপ শাস্তির ব্যবস্থা করা যায় না।

আর এই সমস্ত বিষয়গুলিতে অতিষ্ঠ হয়ে বর্তমানে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এমন এক নতুন পদ্ধতি কার্যকরী করা হয়েছে, যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রের কোনোরকম ক্ষতি হলেই পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট পর্যন্ত আটকে যেতে পারে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে জিও ট্যাগিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার প্রথম দিন এবং শেষদিনের ছবি তুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জিও ট্যাগিং-এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটের অবস্থান অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের ছবি তোলা হবে। রাজ্যের সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সেন্টার সেক্রেটারি ও ভেনু সুপারভাইজারকে জিও ট্যাগিং-এর মাধ্যমে পাওয়া এই ছবিগুলিকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কোনোরকম ভাঙচুর কিংবা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে পর্ষদের তরফে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্র মারফত।

এলআইসিতে ১০৪৯ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ। গ্র্যাজুয়েশন পাশ যোগ্যতায় আবেদন করা যাবে।

তবে এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকাদের সংশ্লিষ্ট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়টি সম্পর্কে সতর্ক করার এবং কিভাবে পরীক্ষা দিতে হবে তা সম্পর্কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, কোনোভাবেই যেনো তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনোরূপ ভাঙচুর, গোলমাল না করেন। এমনকী কোনো অসৎ উপায় অবলম্বন না করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, কোনোক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর কিংবা গোলমালের অভিযোগ তোলা হলে উক্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের তরফে ক্লিয়ারেন্স না দেওয়া হলে কোনোভাবেই রেজাল্ট পাবেন না ছাত্র-ছাত্রীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *