প্রত্যেক মাসে এক সপ্তাহের ছুটি পাবে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। নতুন নির্দেশ জারি।
মেয়েদের জন্য মাসের পিরিয়ডস এর দিনগুলি হয় পীড়াদায়ক। বেশিরভাগ মেয়েদেরই এইসময়ে অতিরিক্ত ব্লিডিং, পেটে অসহ্য রকমের ব্যাথা আর তার সঙ্গে মুড সুইং এর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তারপরে আমাদের দেশে অধিকাংশ মেয়েরাই ঋতুস্রাব নিয়ে পুরোনো ধ্যান ধারণায় বিশ্বাসী। ঋতুস্রাব চলাকালীন নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে ওয়াকিবহাল নন তারা।
তবে সম্প্রতি কেরালার কোচি বিশ্ববিদ্যালয় এর Cochin University Science And Technology ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে কেরালার সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন ছুটি দেওয়ার নিয়ম শুরু করার জন্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কেরালার শিক্ষামন্ত্রী Vasudevan Sivankutty জানিয়েছেন ছাত্রীদের এই বিশেষ সময়ে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস দিতে পিরিয়ডস চলাকালীন ছুটি রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দেওয়ার ব্যাপারে কেরালা সরকার চিন্তা ভাবনা চালাচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই এই সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সবার প্রথমে SFI এবং CUSAT ইউনিয়ন এর তরফ থেকে ছাত্রীদের আবেদনের ভিত্তিতে এই ছুটি দেওয়ার ব্যাপারটি কোচি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে সেই আবেদন গৃহীত হয়।
ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে আনন্দধারা প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ। বিস্তারিত জেনে নিন
তবে ছাত্রীদের পিরিয়ডস চলাকালীন ছুটি গ্রাহ্য করা হলে ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার কমে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় বসবার জন্য পড়ুয়াদের নূন্যতম ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হয়। আর ঋতুস্রাব এর জন্য ছুটির নিয়ম চালু হলে ছাত্রীদের উপস্থিতির হার থাকবে ৭৩ শতাংশতে। মেয়েদের শিক্ষার হার এমনিতেই কম, তাই ছাত্রীদের উপস্থিতির ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলিকে।
ছাত্রীদের শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে এই ঋতুস্রাব কালীন ছুটি নিঃসন্দেহে কেরালা সরকারের এক অভিনব পদক্ষেপ হতে পারে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত এক প্রশ্নেরও জন্ম দিয়ে যায়। মেয়েদের ঋতুস্রাব প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট কষ্টদায়ক হলেও এটি মেয়েদের একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে বিশেষ দিন গুলিতে ছুটি দেওয়া হলে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা দেওয়া এবং ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিতকে বহন করে আনবে না তো এই সিদ্ধান্ত?