Savings Account – বর্তমানে ব্যাংকে কোন নিয়মে টাকা রাখলে নিরাপত্তার সাথে সেভিংস একাউন্টেই পাবেন সর্বোচ্চ সুদ।
উপার্জন, সঞ্চয় এবং ব্যয়। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ ব্যাংক বা পোস্ট অফিসকেই বেছে নেন। খুলে থাকেন সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Savings Account). কিন্তু Savings Account ওপেন করার আগে অবশ্যই এই ব্যাপারে বিশেষ কিছু জিনিস জেনে নিতে হবে। কারণ এই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। আগে ভাগে না জানলে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি টাকা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। আবার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোন Savings Account এ টাকা রাখলে বেশি লাভ।
বর্তমানে অবশ্য দেশের প্রায় অধিকাংশ জনগনেরই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তা আরো সহজ হয়েছে, সরকারি যোজনা চালু হওয়ার মাধ্যমে। অনেক সরকারি প্রকল্প রয়েছে, যেগুলিতে মাসিক বা বার্ষিক হারে টাকা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজস্ব একাউন্ট থাকতে হয়।
সেভিংস একাউন্টের ধরণ-
স্টেট ব্যাংক গ্রাহকদের সতর্কবাণী, মেসেজ খুললেই একাউন্ট ফাঁকা, এই মেসেজ দেখলেই ডিলিট করুন।
১) রেগুলার সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Regular Savings Account)-
এই ক্যাটাগরীর সেভিংস অ্যাকাউন্ট সবথেকে বেশি পরিমাণে ওপেন করা হয়ে থাকে। যেখানে টাকা জমা ও তোলার উপর নির্দিষ্ট কোনও পরিসীমা নেই। অর্থাৎ নিজের প্রয়োজন এবং বেতন অনুসারে যত টাকা জমা করা বা তোলা যাবে। তবে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখতে হবে। না হলে ব্যাংকের তরফে চার্জ কাটা হবে।
২) জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Zero Balance Savings Account) –
এই অ্যাকাউন্ট ওপেন করলে গ্রাহকেরা কারেন্ট ও সেভিংস উভয় অ্যাকাউন্টের সুবিধা পান। এমনকি অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট সীমা ছাড়া যতবার খুশি টাকা তোলা যাবে। অ্যাকাউন্টের ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলেও দিতে হবে না চার্জ।
৩) ওমেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Women Savings Account) –
এই অ্যাকাউন্টটি শুধুমাত্র মহিলাদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কম সুদের হারে ঋণ, এছাড়া ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের বার্ষিক চার্জ ও কেনাকাটায় বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়।
৪) চিলড্রেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Children Savings Account) –
পরিবারের সবথেকে ছোটো সদস্য, অর্থাৎ সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্ট ওপেন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বিশেষ সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট (নাবালক সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট) থাকে। ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে এই অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যায়। ন্যূনতম ব্যালেন্সের সীমা থাকে না। সন্তানের বয়স ১৮ বছর হলে অ্যাকাউন্টটি রেগুলার সেভিংস অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
৫) সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Senior Citizen Savings Account) –
এই অ্যাকাউন্টটি প্রবীণ নাগরিকদের অধিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকেরা ওপেন করতে পারবেন। যেটিতে রেগুলার সেভিংস অ্যাকাউন্টের চেয়ে বেশি সুদের হার পেয়ে থাকেন।
ব্যাংক না পোষ্ট অফিস, কোথায় টাকা রাখলে বেশি লাভ, হিসাব দেখে সিদ্ধান নিন।
৬) স্যালারি সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Salary Savings Account) –
এই অ্যাকাউন্টের নাম শুনেই বোঝা যায় যে, কোম্পানি কর্মীদের জন্য একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট ওপেন করে দেয়। যেখানে কর্মীদের মাসিক বেতন পাঠানো হয়। এছাড়া একটি সুবিধা হল অনেক ব্যাংক এই অ্যাকাউন্টে ওভারড্রাফ্ট এর সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাছাড়া ন্যূনতম ব্যালেন্সের কোনও নির্দিষ্ট সীমা নেই। একটি অসুবিধা হল অ্যাকাউন্টে পর পর ৩ মাস বেতন না ঢুকলে রেগুলার অ্যাকাউন্টে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।