পশ্চিমবঙ্গের খবর

West Bengal – শিক্ষকদের নতুন দায়িত্ব, 20 দিন ছুটির মেজাজে রাজ্যের স্কুল, কবে থেকে জেনে নিন।

দুয়ারে সরকার (West Bengal Duare Sarkar) ক্যাম্প চালু হচ্ছে ১ এপ্রিল থেকে, চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে রাজ্যবাসী একেবারে হাতের কাছে সমস্ত সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন। সরকারি কাজকর্ম করতে গেলে সাধারণত সরকারি অফিসে যাওয়াটাই দস্তুর। সেই জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ধারণাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছেন। দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে একদিকে যেমন রাজ্যবাসী উপকৃত হচ্ছেন, ঠিক তেমনি কোনো প্রকল্প নিয়ে সমস্যা তৈরি হলে একেবারে নিজের এলাকার ক্যাম্পে গিয়েই সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করে নিতে পারছেন মানুষ।

West Bengal Duare Sarkar Scheme:

এবার এই দুয়ারে সরকার শিবির পরিচালনা করতে গিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের তরফে ৭৪২ জন আধিকারিক এবং কর্মীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাদের এই ২০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবির পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। যে আধিকারিকদের তালিকা প্রস্তুত করেছে কলকাতা পুরসভা, তার মধ্যে ৩৩০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। আর এখানেই একটা অংশ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কি সেই প্রশ্ন? কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলি থেকে যদি ৩৩০ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে ২০ দিন ধরে দুবারে সরকার ক্যাম্পে থাকতে হয়, তাহলে সেই স্কুলগুলির পড়াশোনা চলবে কিভাবে?

কলকাতা পুরসভার (West Bengal) স্কুলগুলিতে এই মুহূর্তে স্থায়ী শিক্ষক মোট ৬০৫ জন, অস্থায়ী শিক্ষক ১৩০ জন এবং প্যারা টিচার ৭৮ জন। সেই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে থেকে ৩৩০ জনের নাম দুয়ারে সরকার শিবিরে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। এবার তাদের প্রশ্ন, যদি এত সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকারা দুয়ারে সরকার শিবিরে চলে যান, তাহলে স্কুলগুলি নিয়মিত চালানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে।

আরও পড়ুন, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে যুক্ত হলো আরও 4 টি প্রকল্প, কি কি সুবিধা পাবেন, জেনে নিন।

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা বলেন, মাত্র ২০ দিনের ব্যাপার। কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া দুয়ারে সরকার শিবির (West Bengal Duare Sarkar) জরুরী নাগরিক পরিষেবার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটাও ঠিক, এমনিতেই বহু শিক্ষক শিক্ষিকা মাঝেমধ্যেই ছুটি নিয়ে থাকেন। বর্তমানে আবার DA আন্দোলন করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশ রাস্তায় বসে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুলে অনুপস্থিত হচ্ছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নাগরিক পরিষেবা সুন্দরভাবে চালানোর লক্ষ্যে দুয়ারে সরকার শিবিরে তাদের নাম পাঠানো হয়েছে। একশ্রেণীর শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রশ্ন তুলছেন, তবে সকলেই সেই প্রশ্ন করছেন না।

কলকাতা পুরসভা দুয়ারে সরকার শিবিরে (West Benga Duare Sarkar Camp) যে সমস্ত সরকারি আধিকারিক কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে, সেই জায়গায় সমস্ত দপ্তরের কর্মীরাই রয়েছেন। পাশাপাশি, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রয়েছেন। এও জানা গিয়েছে, যে সমস্ত স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা নিতান্তই কম, সেই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরই সংখ্যায় বেশি করে দুয়ারে সরকারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন, সাধারণ মানুষের জন্য বিরাট স্বস্তি, রান্নার গ্যাসের দাম কমলো।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ শিক্ষা আরো জানিয়েছেন, মোটামুটি স্কুলগুলো থেকে সমস্ত কিছু অ্যাডজাস্ট করেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক, অস্থায়ী শিক্ষক,প‍্যারা টিচার এবং অন্যান্য কর্মী মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন রয়েছেন। তার মধ্যে থেকে ৩৩০ জনকে দুয়ারে সরকার শিবিরে (West Bengal Duare Sarkar) পাঠানো হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে অভিভাবকদের একাংশ যদিও বলছেন, এক মাস শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপস্থিত থাকলে পড়াশোনায় প্রভাব পড়তে পারে। তবে যেহেতু দুয়ারের সরকার শিবিরের (West Bengal Duare Sarkar) মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হন, সেই কারণে অধিকাংশ মানুষ এর ফলে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছেন না।
সংবাদসুত্র, নিউজ১৮ বাংলা।

পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ আন্দোলনে জোর ধাক্কা, অনশন তুলে নিলেন আন্দোলনকারীরা, তবেকি সব শেষ?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *