Online Shopping – বেজায় চটেছেন নরেন্দ্র মোদী, বেলাগাম অনলাইন কেনাকাটা, Flipkaart, Amazon, Myntra app এর মাথায় হাত।
ব্যস্ত জীবন। কাজের মাঝে সময় নেই মাসে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার। তাতে কী আছে তো Online Shopping করলেই হল। অর্ডার দেওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই বাড়ির সামনে পৌঁছে যায়। তাই আজকাল অনলাইন শপিং ই ভরসা হয়ে উঠেছে অধিকাংশ মানুষের কাছে। তাছাড়া কম দামে ডিজাইনার ড্রেস, কসমেটিক্স ইত্যাদি জিনিসও এই অনলাইনের মাধ্যমে কেনা যায়। বর্তমানে দেশে একাধিক ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলি রমরমিয়ে চলছে।
এবার এই Online Shopping নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।Online Shopping এর চাহিদা যত বাড়ছে ততই ক্ষতির সম্মুখীন স্থানীয় বাজারগুলি। এই পরিস্থিতিতে অনলাইনে পণ্য বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রির বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত জানাল মোদী সরকার। বিশেষত অনলাইনে কম দামে জিনিস বিক্রি করা হলেও, বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, ক্রেতারা জিনিসের বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
Online Shopping
এক্ষেত্রে আমরা সকলেই জানি, Online Shopping এ কোনো পণ্য ভালো লাগলেই তা অর্ডার দেওয়া হয়। কিন্তু তা ডেলিভারির পরই হাতে পাওয়া যায়। তাই প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, সরকার কোনও ভাবেই অনলাইনের ‘ফ্ল্যাশ সেল’- এর বিরুদ্ধে যাচ্ছে না। তবে বাজারের মূল্য নষ্ট করা এবং ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে ব্যবসা চালানোর বিরুদ্ধে রয়েছে সরকার।
এইভাবে LPG Gas Cylinder বুকিং করলে আরও তাড়াতাড়ি মিলবে গ্যাস, বদলে গেল নিয়ম।
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষকে যদি ছাড়ে কোনো পণ্য কেনার সুযোগ দেওয়া হয় বা তিনি কিনতে চান, এতে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি এও জানান, অনেক সময় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য অনলাইন খুচরো বিক্রেতারা নিজস্ব পছন্দের দিকে ক্রেতাদের চালনা করে, যাতে বিক্রি বেশি হয়। বেশি লাভ পাওয়া যায়। কিন্তু এটা একপ্রকার প্রতারণা ও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) -এর নিয়মের লঙ্ঘন করে।
অনলাইনে পণ্য ডাম্পিং করা এবং প্রতারণার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা এবং ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই ২ টি বিষয়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। অনেকেই জানেন না পণ্য ডাম্পিং আসলে কী? এটা হল যখন কোনও বিদেশি পণ্যপ্রস্তুতকারক কোম্পানি অন্য দেশে ইচ্ছাকৃত ভাবে কম দামে পণ্য বিক্রি করে। আরো ভালো করে বলা যায়, বিদেশি কোম্পানিগুলি চাহিদার তুলনায় অনেক পণ্য উৎপাদন করে, তারপর সেই অতিরিক্ত পণ্য অন্য দেশে ডাম্পিংয়ের চেষ্টা করে।
যার ফলে ক্রেতারা কম দামে পণ্য কেনার সুযোগ পায় ঠিকই, তবে দেশীয় বাজারগুলি চাপের মুখে পড়তে থাকে। বহু রিসার্চ বা গবেষণা অনুসারে, যেভাবে দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা বাড়ছে, একই পরিস্থিতি বজায় থাকলে দেশীয় শিল্পের বাজার নষ্ট হবেই। ভবিষ্যতে দেশীয় উৎপাদন শিল্প ধ্বংস সঙ্গে সঙ্গে যেকোনো জিনিস কিনতে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে।
অবশেষে 2 রা মে থেকে গরমের ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান, মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা।
এর প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা কেবলমাত্র ই-কমার্স নীতির আওতায় এই ধরনের জালিয়াতি বন্ধ করতে চান। যাতে করে ক্রেতাদের ভবিষ্যতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।