Dearness Allowance – পশ্চিমবঙ্গের ডিএ নিয়ে কি ভাবছে সরকার, নতুন কথা শোনালেন রাজ্যের মন্ত্রী।
Dearness Allowance পেলে পাবেন না প্রকল্পের টাকা! কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে জনকল্যাণমূলক একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সকল প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু এই ধরণের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাবে! কিন্তু কেন হঠাৎ এই প্রসঙ্গ তুলে কথা বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগদান করতে এসে একথা বলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
Dearness Allowance আদৌ পাবেন?
তিনি বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড, কন্যাশ্রীর টাকাও। এপ্রিলের শুরুতেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয়েছিল দুয়ারে সরকার শিবির। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, যেখানে বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদনের মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়েছিল। আবেদনের সংখ্যা মোট ১১ লাখ ১৬ হাজার।
যার মধ্যে প্রায় ১০ লাখ আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। বাকি আবেদনগুলি বর্তমানে যাচাই করা হচ্ছে। সেই কাজও কিছুদিনের মধ্যে শেষ করা হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মোট ১ কোটি ৯৮ লাখ মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
Dearness Allowance এর জন্য কেন প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করা হবে?
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারি কর্মীরা গত কয়েকমাস ধরে বকেয়া ডিএ এর দাবিতে ধর্ণা দিচ্ছেন, তা সকলেই জানি।
Primary TET 2014 প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি সংশয়ে, CBI এর বিজ্ঞপ্তি, 15000 ভুয়ো শিক্ষক চিহ্নিত!
কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া সত্বেও বকেয়া Dearness Allowance এখনও মেটানো হয়নি। বরং রাজ্য সরকারের তরফে হলফনামা পেশ করা হয়েছে। মামলা গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতেও। এবার সেই বকেয়া ডিএ প্রদান প্রসঙ্গেই রাজ্য কৃষি মন্ত্রী জানান, ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো রাজ্যের প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। তার বক্তব্য, আন্দোলনকারীদের দাবি মতো ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে জানান,
বুকে হাত রেখে বাড়িতে গিয়ে ভেবে দেখবেন শোভনদেববাবু যে কথাটা বললেন, যে গরিবের কথাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাববেন, না কি যে লোকটা (সরকারি কর্মচারী) ইতিমধ্যেই পাচ্ছেন তাকে আর একটু বেশি পয়সা দেবেন? কোনটা ঠিক? এছাড়া নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও নিজের বক্তব্য রাখেন তিনি।
বর্তমানে যে নিয়োগ দুর্নীতির জট এখনও কাটেনি।
দুর্নীতির সকল মামলা থেকে সরানো হল বিচারপতি গাঙ্গুলিকে, চাকরিপ্রার্থীরা বিচার কবে পাবে?
তাতে ইতিমধ্যেই বহু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নাম জড়িয়ে যাওয়ার তথ্য উঠে আসছে। এ নিয়ে তিনি জানান, যেদিন কেউ তাকে চোর বলে প্রমাণ করতে পারবেন, সেদিনই সবার আগে দলত্যাগ করবেন। কাউকে বলতে হবে না। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, দুর্নীতিকে কখনও সমর্থন করেননি দলের কর্মীরা যারা চোর, চুরি করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
MLAs of TMC can leave theit pay and allowance for the people of west bengal and the projects mentioned above.