প্রকল্প

CGHS Scheme – কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প এখন রাজ্যে, পাওয়া যাবে একাধিক সুবিধা, আবেদন করুন এখনি।

CGHS Scheme এ আবেদন করেছেন? শরীর থাকলে অসুস্থতা আসবেই, সকলের জানা। কিন্তু জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে গেলে প্রয়োজন হয় অনেক টাকা। যেই কারণে আর্থিক দিক থেকে অস্বচ্ছল মানুষেরা সমস্যায় পড়েন। এই সমস্যা থেকে অবশ্য অনেকটা রেহাই দিয়েছে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের (CGHS Scheme) সুবিধা পাবেন পশ্চিমবঙ্গ বাসী। প্রকল্পের নাম আয়ুষ্মান ভারত যোজনা। দীর্ঘদিন ধরে এই যোজনা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত চলছিল। অবশেষে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের মানুষ।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের তুলনায় বেশি সুবিধা প্রদান করা হবে। বিনামূল্যে আরো বেশি রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে। আর কোন কোন সুবিধা পাওয়া যাবে?
কোন কোন সুবিধা মিলবে?
১) স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মতো আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় পরিবার পিছু বছরে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা প্রদান করা হয়।
২) দেশের সমস্ত রাজ্যের বহু সরকারি/ বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে চিকিৎসা করানো যাবে।

৩) প্রায় ১৩০০টি অসুখের চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।
৪) পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির সময় থেকে চিকিৎসা করানো, তার পূর্ববর্তী সময়ে প্যাথলজিকাল টেস্ট, প্রাইভেটেড ডাক্তার দেখানো ইত্যাদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির খরচ এই যোজনার অন্তর্ভুক্ত।
৫) এই যোজনার অধীন আয়ুষ্মান কার্ড থাকলে ক্যাশলেস ট্রানজেকশন করা যাবে। এছাড়া আরো অন্যান্য সুবিধা থাকছে।

CGHS Scheme

এই যোজনার সুবিধা এখনও নেনেনি। তাহলে এই সুবিধা নেওয়ার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বুশয় সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিন। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা হল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা (CGHS Scheme)(PMJAY) অধীন একটি যোজনা। এই যোজনার অধীন নাম নথিভুক্ত করতে হলে আয়ুষ্মান ভারত গোল্ডেন কার্ডের (Ayushman Bharat Golden Card) জন্য প্রথমে আবেদন জানাতে হবে।

এই যোজনার অধীন আরো একটি কার্ড হল আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল হেলথ কার্ড (CGHS Scheme)। এই কার্ডে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ড নথিভুক্ত থাকে। এই যোজনার অধীন কিভাবে নাম নথিভুক্ত করানো যাবে?
তার জন্য ব্যক্তিকে নিকটবর্তী তথ্যমিত্র কেন্দ্র বা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ অনলাইনে এই কাজ করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, এই যোজনার সুবিধা কেবলমাত্র আবেদন জানালেই পাওয়া যাবে না। দেশের দরিদ্র শ্রেণির মানুষেরা এই যোজনার অধীন নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। ২০১১ সালের সেনসাস বা জনসংখ্যা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, তা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলীও রয়েছে।

CGHS Scheme এ আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র-
১) পরিচয় এবং বয়স প্রমাণপত্র (আধার কার্ড / প্যান কার্ড),
২) রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি,
৩) বসবাসের প্রমানপত্র,
৪) জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট,
৫) আয় শংসাপত্র বা ইনকাম সার্টিফিকেট,
৬) আবেদনকারীর পরিবারের বর্তমান স্থিতির উল্লেখ করা নথি,
৭) অন্যান্য নথি।

কুসুম সোলার প্রকল্পে আবেদন করলেই পাবেন লাখ টাকা, কিভাবে পাবেন?

যদিও আপাতত আয়ুষ্মান ভারত গোল্ডেন কার্ডে নতুন কোনো নাম নথিভুক্ত করা যাচ্ছে না। পূর্বে যারা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাদেরই বর্তমানে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত গোল্ডেন কার্ডে নিজের নাম রয়েছে কিনা তা চেক করতে পারবেন। প্রয়োজনে তথ্য ভুল থাকলে সংশোধন করতে পারবেন।
কিভাবে চেক করবেন, জেনে নিন পদ্ধতি-

১) প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ওপেন করতে হবে।
লিংক- pmjay.gov.in
এরপর প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করলে নতুন পেজ ওপেন হবে।
২) মোবাইল নম্বর ও ক্যাপচা কোড দিলে মোবাইল নম্বরে একটি OTP যাবে। নির্দিষ্ট স্থানে সঠিকভাবে সেই OTP দিতে হবে।
৩) চেকবক্স ক্লিক করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে নতুন পেজ ওপেন হবে। সেখানেই দেখা যাবে নিজের নাম রয়েছে কিনা।
৪) এরপর নাম, রাজ্যের নাম, ক্যাটেগরি, পিনকোড লিখে, Rural বা গ্রামীণ নাকি Urban বা শহরে বসবাস করেন, তা সিলেক্ট করতে হবে। তারপর সার্চ করতে হবে। নতুন একটি তালিকা দেখা যাবে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিরাট সুখবর, টাকা পাওয়ার আরো সুবিধা।

৫) আপনার নাম যদি আয়ুষ্মান ভারত গোল্ডেন কার্ডে নথিভুক্ত থাকে, তবে সেই তালিকায় নিজের নাম দেখা যাবে। সেখানে ‘Family Details’ একটি অপশন দেখা যাবে। আরো বিস্তারিত জানতে হলে সেই অপশনে ক্লিক করা যাবে।
CGHS Scheme বা প্রকল্প সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *