চাকরি

School Teacher – আদালতের 3 নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের মাথায় হাত। নতুন Service Rule জেনে নিন।

School Teacher Service Rule- শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, ও টিউশনি নিয়ে তিনমূখী বিপদে শিক্ষকেরা। কড়া নির্দেশ বিচারপতি বসুর, জেনে নিন।

প্রথমত শিক্ষক বদলীর নতুন নিয়মঃ
সরকারের বদলির (School Teacher Transfer Rule) নিয়ম মানতেই হবে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের। আর তা না হলে চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে। কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের পছন্দসই স্কুলে বদলি নিয়ে পায়ের উপর পা তুলে বসার একটা প্রবণতা রাজ্য জুড়ে চালু হয়ে গিয়েছিল, বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের বাড়ির লাগোয়া শহরাঞ্চলের স্কুলগুলিতে পছন্দসই স্কুলগুলিতে বদলি নিয়ে চলে আসতেন।

এক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলের যে সমস্ত স্কুলে প্রচুর পরিমাণে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, কিন্তু সেখানে ধীরে ধীরে শিক্ষকের অভাব দেখা যাচ্ছিল। আর শহরাঞ্চলে যে সমস্ত স্কুলে অধিকাংশ শিক্ষক শিক্ষিকারা আরামে চাকরি করবেন বলে ওই পোর্টালের মাধ্যমে চাকরির বদলির সুযোগ নিয়েছিলেন তারা, সেই স্কুলগুলিতে শিক্ষকের তুলনায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা নিতান্তই কম। আর এই বিষয়টি নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

বিচারপতি বসু জানান, অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে এই বদলি নীতির পরিবর্তন করতে হবে। রাজ্যজুড়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনা নিয়েই আদালত চিন্তিত। যে সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী প্রচুর অথচ শিক্ষক নেই, সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করে পাঠাতে হবে। শহরাঞ্চলের যে স্কুলগুলিতে প্রচুর শিক্ষক রয়েছে, অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কম, সেখান থেকেই সেই সমস্ত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের বদলি করে পাঠাতে হবে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে।

বিচারপতির পরামর্শ মতো রাজ্য সরকারের তরফে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তারপরেই রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে শিক্ষক বদলির প্রক্রিয়া শুরু হয়। গ্রামাঞ্চলের যে স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব রয়েছে, সেখানেই শহরাঞ্চল থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাঠানো শুরু হয়েছে। আর যখনই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখনই একশ্রেণীর শিক্ষক শিক্ষিকাদের গোঁসা হয়েছে। তারা একের পর এক লাইন দিয়ে গিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করছেন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের (School Teacher) বক্তব্য কি?

আদালতে প্রচুর মামলা দায়ের করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলছেন, চাকরির সময় তাদের স্কুল বেছে নিতে বলা হয়। তাহলে এখন কেন অন্য জায়গায় বদলি করা হবে? তার অর্থ, শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাড়ির কাছের স্কুলে যেভাবে বদলি নিয়ে এসেছেন, সেই সুবিধাটুকু ছাড়তে চাইছেন না। আর এখানেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসু কড়া ভাষায় তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই বদলির নিয়ম রয়েছে।

সেখানে তাদের বদলি করা নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি হয় না। শুধুমাত্র শিক্ষকেরা এই ধরনের সুবিধা নিতে চাইছেন কেন? তাদের জন্যই সুবিধা দেওয়া হবে কেন? পাশাপাশি, বিচারপতি বসু জানান, সরকারি নিয়ম মেনে শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে। সেই বদলি প্রক্রিয়া যদি কোনো শিক্ষক- শিক্ষিকা না মানেন, তাহলে তার চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে (Justice Basu says School Teachers have to Obey Transfer Rule).

ঘূর্ণিঝড় মোচার দিক পরিবর্তন, আরও শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে কোন দিকে, দেখুন।

তবে এক্ষেত্রে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকেও বিচারপতি বসু আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি AG-র কাছে জানতে চাইবেন, নতুন বদলি নীতিতে কোন নিয়মের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে? আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পড়ুয়াদের পড়াশোনা নিয়েই আদালত চিন্তিত। তাই যে সমস্ত স্কুলে ছাত্র বেশি, শিক্ষক কম, সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করলে যেতেই হবে। যদি কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা (School Teacher) সেই নিয়ম না মানেন, তাহলে চাকরি জীবনে তার ছেদ পড়বে।

দ্বিতীয়ত, শিক্ষক নিয়োগঃ
School Teacher Recruitment Scam নিয়ে বিশেষ করে ২০১৪ এর প্রাইমারী টেট প্যানেল (TET 2012) বাতিলের মামলা চলছে। যার জেরে জেল বন্দী হেভি ওয়েট নেতা মন্ত্রী থেকে অফিসার। আর এরই মধ্যে টেট ২০১২ প্যানলের শিক্ষকেরা ও নতুন করে আতংকে ভুগছেন। গতকাল আদালতের এক নির্দেশে ২০১২ সালের প্যানেল নিয়েও বড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরী হলো।

পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ডিএ নিয়ে আরও চাপে রাজ্য সরকার, নতুন কর্মসূচী ঘোষণা হলো।

তৃতীয়ত, শিক্ষকদের টিউশনিঃ
শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধে আইন অনেক আগের থেকেই ছিলো। RTE বা শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী স্কুল শিক্ষক (School Teacher) দের প্রাইভেট পড়ানো সম্পুর্ন বেআইনি। আর সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকেই লুকিয়ে টিউশনী পড়ান। আর এই অভিযোগে একাধিক গ্রিহ শিক্ষক সংগঠন মামলা করেন। আর এতে একাধিক বার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পডক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আর সাম্প্রতিক আরেকটি মামলায় শিক্ষা দপ্তর কে নয়া নির্দেশ দিলো আদালত। এতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের (School Teacher) চাকরী পর্যন্ত চলে যেতে পারে।

Related Articles

2 Comments

  1. In the society a wide distance will be enhanced for the hiking of DA for employees in West Bengal, where the lion share population did not square meals a day , stop this drama for DA.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *