আপনার YouTube এ চ্যানেল আছে? ভালো কনটেন্টের পরেও ভিউস নেই? এই ট্রিক মেনে চলুন।
YouTube চ্যানেল আছে? বর্তমানে অর্থ উপার্জনের জন্য শুধুমাত্র চাকরি বা ব্যবসা করতে হবে, তা নয়। বরং বাড়িতে বসে সহজেই টাকা উপার্জনের সহজ পদ্ধতি রয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা রোজগার করা যাবে। তাও আবার ৯-৫ টা অর্থাৎ কোনো বাঁধাধরা সময় ছাড়াই। কিভাবে? সেই সম্পর্কে বিশদে জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি অবশ্যই পড়তে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ৮ থেকে ৮০, সকলেই মজেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা বিভিন্ন কন্টেন্ট এর প্রতি। তাই ইউটিউবের মাধ্যমে রোজগার করার কথা ভাবার আগে মনে রাখতে হবে, দর্শকের চাহিদার কথা।
YouTube views will increase.
আজকাল শুধু ইউটিউব কেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট মেকারের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। বরং দিন দিন এই সংখ্যাও বাড়ছে। তাই ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে রোজগারের জন্য যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে-
১) YouTube এ ভালো কন্টেন্ট উপস্থাপনা-
অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করেন। তা থেকে রোজগার করতে চান। সেখানে দাঁড়িয়ে একই কন্টেন্ট আপনি আপলোড করলে আপনার চ্যানেলে ভিউস বাড়বে কেন? তার জন্য কন্টেন্ট এর বিষয়বস্তু একই থাকলেও, উপস্থাপনের ভঙ্গিমা একটু আলাদা, যা দর্শকের ভালো লাগে, সেইরকম হতে হবে।
২) YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান-
YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমেও টাকা উপার্জন করা যাবে। তার জন্য চ্যানেলের গত ১ বছরে কমপক্ষে ১০০০ গ্রাহক থাকতে হবে। পাশাপাশি চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওগুলিতে মোট ৪,০০০ ঘণ্টা ‘ভিউয়ারশিপ টাইম’ থাকতে হবে।
এই প্রোগ্রামে যোগ দিলে কিভাবে রোজগার করা যাবে?
YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান করলে, ভিডিওগুলিতে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলি থেকে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
৩) YouTube চ্যানেলে প্রোডাক্ট বিক্রি-
কোনো কোম্পানির টি-শার্ট, পারফিউম বা অন্যান্য প্রোডাক্ট এর নিজস্ব লাইন তৈরি করতে পারেন ও YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে সেগুলি বিক্রি করতে পারেন। অর্থাৎ আমরা যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখি, তখন দেখা যায় চ্যানেলে ভিডিওর মাঝে অন্যান্য লোকের প্রোডাক্ট প্রচার ভিডিও। সেই ধরণের প্রচার ভিডিও তৈরি করে কমিশন পাওয়া যায়।
ঘরে বসে না থেকে এই অ্যাপ গুলির মাধ্যমে টাকা রোজগার করুন, কোনও জয়েনিং ফি নেই।
৪) স্পন্সর কন্টেন্ট তৈরি-
এছাড়া ইউটিউবে স্পন্সর কন্টেন্ট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করা যায়। এর জন্য একটি ভিডিও তৈরি করে কোনো প্রোডাক্ট বা পরিষেবাকে অধিকভাবে প্রচার করা হয়। এই পদ্ধতিতে টাকা উপার্জন করা যায়। এই ক্ষেত্রে এমন একটি কোম্পানির সন্ধান চালাতে হবে, যেটি আপনার ভিডিও স্পনসর করতে ইচ্ছুক থাকবেন। এরপর চ্যানেলে তথ্যপূর্ণ ও বিনোদনমূলক ভিডিও করে আপলোড করতে হবে।
ইউটিউব চ্যানেলের ভিউস বাড়ানোর কয়েকটি টিপস-
যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিউস বাড়ানোর পদ্ধতি প্রায় একই থাকে। ইউটিউব চ্যানেলের ভিউস বাড়ানো যাবে, চলুন জেনে নিই।
১) সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে আপনার চ্যানেলের ভিডিও শেয়ার করতে পারেন।
২) চ্যানেলের দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কিভাবে?
ধরুন আপনার চ্যানেলে ভিডিও দেখে দর্শক কোনো ভালো কমেন্ট করল, তাকে প্রত্যুত্তর দিন এবং আপনার চ্যানেলের চারপাশে একটি কমিউনিটি তৈরি করুন।
এই গরমে কম পুঁজিতে প্রচুর মুনাফা দেবে এই 6 টি অভিনব ব্যবসা, বিস্তারিত জেনে নিন।
৩) ইউটিউব শর্টস ব্যবহার করে চ্যানেল মানিটাইজেশন করতে পারেন। এই শর্টসে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ছোট ভিডিও তৈরি করা যায়। তা তৈরি করে শেয়ার করতে পারেন।
৪) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভিডিও তৈরির সময় ধৈর্য রাখুন ও নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন। ভালো কন্টেন্ট আপলোড করলে ধীরে ধীরে ভিউস সংখ্যা এবং চ্যানেল সাবসক্রাইবারের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তা থেকে সহজেই টাকা উপার্জন করা যাবে।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।