চাকরি

কবে ডিএ পাবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা? আদালতে বড় জয়।

কবে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা?

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে ডিএ (Dearness Allowance) দিতে হবে, আর এই দাবিতেই দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার রাজপথে কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে বসে আন্দোলন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বকেয়া ডিএ এর দাবিতে মাঝেমধ্যেই অবরোধ, কর্মবিরতি, ধর্মঘট এর মত কর্মসূচির ডাক দিচ্ছেন তারা।

যদিও তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো লাভ হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কাজ করবেন না বলে হুশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কিন্তু তাতেও ঠিক সুবিধা করতে পারেননি। পুরোপুরি নির্বিঘ্নেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডি এর দাবিতে দিল্লির রাজপথে গিয়েও আন্দোলন (DA Movement in Delhi) করে এসেছেন।

Dearness Allowance in West Bengal

সেখানে কর্মসূচি সম্পন্ন করে কলকাতায় ফিরে একইভাবে কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন DA আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কারণ সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে বর্তমানে ডিএ মামলা। আর সেই মামলায় এখনো পর্যন্ত শুনানি হয়নি। ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কবে তাদের দাবি মত DA পেতে পারেন, সেই বিষয়টি এখনো বহুদূর।তাই হতাশ হয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ মঞ্চের তরফে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে চেয়ে রয়েছেন।

How To Win Lottery (লটারি কিভাবে জিতবেন)

যদিও রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে 6% Dearness Allowance পাচ্ছেন। সেখানে সম্প্রতি রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। তাতেও তারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এবার আরো বেশি পরিমাণে পকেটে টাকা ঢোকাতে চান। আর সেই লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা বর্তমানে ৪২ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পান। সেখানে তাদের ওই একই আরে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের চাকরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘ ভাতা দাবী করা যায় না। সেটা কখনো যুক্তিসঙ্গত নয়। কেন্দ্র এবং রাজ্যের পলিসি সম্পূর্ণ আলাদা। এই একই বক্তব্য ঝাড়গ্রামের সভা থেকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেখানেও তিনি পুনরায় জানান, রিজার্ভ ব্যাংক কেন্দ্রের হাতে থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের বরাদ্দ টাকা মেটাচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রের মুষ্টিমেয় কিছু কর্মচারীদের জন্য DA ঘোষণা করে দিচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে এরকম বিভিন্ন ধরনের ঘোষণা করে থাকে মোদি সরকার। আর বাংলাকে প্রতিনিয়ত বঞ্চনা করা চলছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের পলিসি সম্পূর্ণ আলাদা।

আরও পড়ুন, সোনার দামে রেকর্ড পতন, টাকা থাকলে কিছুটা কিনে রাখুন।

আর এরপরেই DA আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঠিক নয় বলে জানানো হয়েছিল। তারা কেন্দ্রীয় হারেই বকেয়া ডি এর দাবি করেন। তবে যেহেতু বকেয়া মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে, তাই সেখানে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।

রেশনে বড় বদল, জেনে নিন এবার থেকে কোন কার্ডে কতটা ফ্রি রেশন পাবেন।

চলতি জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হলে দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত শুনানির দিন আরও ৩ থেকে ৪ মাস পিছিয়ে দেয়। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে বকেয়া DA মামলার শুনানি হতে পারে। এখন সেই দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ।
এদিকে অন্য একটি মামলায়, দীর্ঘ ১৩ বছর কলকাতা হাইকোর্টে চলা মামলায় এদিন মামলাকারী শিক্ষিকাকে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আপডেট আসছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *