Salary – DA আন্দোলনের মাঝেই বেতন নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার। অনেকের বেতন আটকে যাবে!
পশ্চিমবঙ্গে এমনিতেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি (Salary Hike) তথা ডিএ আন্দোলন ও মামলা চলছে রাজ্য সরকারি কর্মী ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে। ২০১৬ সাল থেকে চলছে সেই মামলা। আর এই মুহুর্তে সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত কারজ ফের নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হলো, কর্মীদের বেতন (Salary) নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেতনে কড়া ব্যবস্থা জারি করল রাজ্য সরকার। বন্ধ হতে পারে অনেকের বেতন।
Salary for West Bengal Employees
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিগত বেশকিছুদিন ধরেই রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস উপাচার্য নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাজ্যপাল অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করায় তাঁদের বেতন (Salary) সহ অন্যান্য সমস্ত সুযোগসুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। এমনকী সেই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কিছুদিন আগে তিন মাসের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অস্থায়ীভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস।
আর তারপরেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের দ্বারা নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধও জানান হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর তরফে। কিন্তু, তারমধ্যে মাত্র একজন বাদে বাকি দশজনই উপাচার্য পদে কাজে যোগদান করেছিলেন। যাইহোক, এই নিয়ে উত্তেজনা রাজ্যে এখনো তুঙ্গে। আর এর মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বেতন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বিরাট বদল আনল রাজ্য সরকার। দেখে নিন বিশদে।
কিছুদিন আগেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বি ভী গোপালিকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন বুধবার। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন মোট ১১ জন ফিন্যান্স অফিসার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এই বৈঠকে ই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবার থেকে উপাচার্যদের বেতন ব্যবস্থা আনা হবে এই বদল। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানা গেছে এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বেতন তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকেই।
রাজ্যে নতুন ছুটি ঘোষণা, সরকারি বিজ্ঞপ্তি সহ জানতে ক্লিক করুন।
বেতন নিয়ে নতুন নিয়ম
কিন্তু এবার থেকে আর তা হবে না। এই বেতন সরাসরি প্রদান করা হবে বিকাশ ভবন থেকে। যেমনভাবে ট্রেজারি মারফত রাজ্যের অন্যান্য দপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের বেতন প্রদান (Salary Structure) করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ক্ষেত্রেও সেই একই রকম ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য।
শুধু উপাচার্যরাই নন, বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ধরনের অফিস কর্মী, অধ্যাপক, শিক্ষা কর্মী, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি বিভিন্ন কর্মীদের বেতনও ওই একই নিয়মে প্রদান করা হবে প্রতি মাসে তাদের একাউন্টে।
তবে শুধু বেতনই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডকেও (GPF) রাজ্য সরকার নিজের হাতে নিতে চাইছে। অর্থাৎ এবার থেকে তাদের বেতন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার স্বয়ং, এমনটাই জানানো হয়েছে সেদিন বৈঠকে। আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মীর নিজদের প্রাপ্য বেতন লাভের ক্ষেত্রে যাতে কোন রকম ব্যাঘাত না ঘটে, সেই সঙ্গে অন্যদিকে যাতে সমস্ত অবৈধ বেতন প্রদান (Salary Structure) বন্ধ করা যায়, সেই দুই কারণ মাথায় রেখেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, PNB গ্রাহকদের বিরাট সুখবর। একাউন্ট থাকলেই পাবেন এই সুবিধা। খুশি কোটি গ্রাহক।
তবে এই সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর করা হয়নি। বৈঠকে সেদিন কেবলমাত্র প্রস্তাব রাখা হয়েছে এই সম্পর্কে। বিষয়টিকে সরকার বিভিন্ন মহলের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখবে। যদি শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায় তবেই লাগু হবে নতুন এই নিয়ম।
আরও পড়ুন, রেশন নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি হলেন 9 কোটি রেশন গ্রাহক।