পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা নবান্নের, পুজোর আগে খুশির খবর।
আর কিছু দিন পরেই সমগ্র রাজ্যে শুরু হতে চলেছে পুজোর মরশুম। এর আগেই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা না পাওয়া নিয়ে শহিদ মিনারের পাদদেশে কর্মীরা আন্দোলন করছেন। সবারই দাবি, কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে হবে, এত কম DA পাওয়ার জন্যে মাসে প্রায় 10 থেকে 20 হাজার টাকা কম বেতন পাচ্ছেন সকলে। ঠিক এরই মাঝে এবার রাজ্য সরকার কর্মীদের (WB State Government Employees) জন্য নিয়ে এলো সুখবর।
সরকারি কর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সুখবর।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের পদোন্নতি নিয়ে বৈষম্য এবং নীতিহীনতার অভিযোগ বহু দিন থেকে উঠছে। এবার এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। যা শুনে খুশি সরকারি কর্মীরা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সচিবালয়, যা সরকারি ভাষায় সেক্রেটারিয়েট নামে পরিচিত সেখানে কর্মরত কর্মীদের বেশ দ্রুতগতিতে পদোন্নতি হয় অথচ একই চাকরির পরীক্ষা দিয়ে কেউ যদি ডিরেক্টরেটে বা আঞ্চলিক কার্যালয়ে নিযুক্ত হন তবে তাদের পদোন্নতি শামুকের গতিতে হয় বলে অভিযোগ।
বিষয়টি সরকার পর্যন্ত মেনে নিয়েছে। আর এটা যে বর্তমানের সমস্যা তা নয়। সেই অনেক দিন থেকে এমন নিয়ম চলে আসছে। এই নিয়ে সরকারি কর্মীরা বার বার ঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত এই বৈষম্য দূর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ রাজ্য সরকারি কর্মীদের পদোন্নতির (Promotion) ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ এবং পদোন্নতির সুযোগ তৈরি করার বিষয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে।
রাজ্য সরকারি কর্মীরা মূলত তিনটি জায়গায় পোস্টিং পান। সচিবালয়, ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক কার্যালয়। এর মধ্যে সচিবালয়ের কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ সুবিধা সবচেয়ে বেশি বলে জানা যায়। অন্যদিকে আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত কর্মীদের পদোন্নতির সুযোগ সবচেয়ে কম বলে সরকারি কর্মীদের (Government Employees) দাবি। এই দাবি পূরণের জন্য 10 সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সরকার।
সূত্রের খবর, রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সহ সভাপতি করে ১০ সদস্যের এই কমিটি গঠিত হয়েছে। সেখানে রাজ্যের সরকারি কর্মী ইউনিয়নের তিনজন প্রতিনিধিও আছেন। এছাড়া রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটিকে পরামর্শ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদী কে (IAS Hari Krishna Dwivedi).
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) অনুমোদনেই যে এই কমিটি গঠিত হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর রাজ্য সরকার কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। রাজ্য সরকারি দফতরে পদোন্নতির কিছু অদ্ভুত নিয়ম দেখা যায়।
Savings Account – ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টে কত টাকা কাটা হবে। RBI এর নতুন নিয়ম জেনে নিন।
সচিবালয়ে কর্মরতরা যেমন দ্রুত গতিতে প্রমোশন পান তেমনই আবার আঞ্চলিক কার্যালয়ে অর্থাৎ জেলায় কর্মরত কর্মীদের বেশির ভাগেরই গোটা চাকরি জীবনে কোনও পদোন্নতি হয় না। যে পদে যোগ দেন সেই পদেই কর্মরত অবস্থায় তারা অবসর গ্রহণ করেন। বিভাগীয় প্রমোশন না পাওয়ায় বহু যোগ্য কর্মচারী উচ্চ পদে উঠতে পারেন না। এবার এই বৈষম্য দুর করার পথেই এগোচ্ছে সরকার। এই ঘটনায় খুশি রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
RBI – নিয়ম না মানায় জনপ্রিয় 5 টি সরকারি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল। টাকা তোলা যাবে না।