Birth Certificate – জন্ম সনদ বা বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে মিলবে না এইসব সরকারি পরিষেবা। কিভাবে করবেন?
Birth Certificate বা জন্ম সনদ আমাদের জন্মের সময় তৈরি করে নিতে হয় হসপিটাল বা পৌরসভা থেকে অথবা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে। এই বার্থ সার্টিফিকেট এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি। আগে কার দিনে এই বার্থ সার্টিফিকেট এর চল এত ছিল না। আমাদের মা ,বাবা ,ঠাকুরদাদা ,দাদু, দিদিমা এদের কারোরই জন্মের পরিচয়পত্র নেই বললেই চলে। তাদের হয় মাধ্যমিক এর সার্টিফিকেট আর না হয় রেশন কার্ড (Ration Card) বা ভোটার কার্ড (Voter Card) এই সব নথি দেওয়া হত জন্মের প্রণাম হিসেবে। কিন্তু এখন এই সব আর জন্মের প্রমান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
Birth Certificate Rule Change By Government Of India.
কারন এখন 1লা অক্টোবর থেকে নতুন নিয়ম চালু হতে চলেছে যেখানে জন্ম প্রমান হিসেবে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া কোন কাজ হবে না। এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, আমাদের অনেকেরই, বিশেষ করে পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের অনেকেরই জন্মের শংসাপত্র নেই বা তা খুঁজে পাওয়া যায় না৷ সেই ক্ষেত্রে কি তারা বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন?
সংসদের গত বাদল অধিবেশনেই পাশ হয়েছিল বিল৷ আগামী 1লা অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হতে চলেছে৷ এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আধার কার্ডের পাশাপাশি সেই ব্যক্তির জন্মের শংসাপত্র (Birth Certificate) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠতে চলেছে৷ এবার থেকে যে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, সবেতেই লাগবে জন্মের শংসাপত্র৷ সরকারি চাকরি বা পাবলিক সেক্টরের কাজ।
পাসপোর্ট তৈরি করতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate In India) প্রধান গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে বিবেচিত হবে৷ এমনকি, আধার কার্ড তৈরি করতে গেলেও দেখাতে হবে বার্থ সার্টিফিকেট৷ এই আইনের ফলে ভারতীয়দের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আরও নিখুঁত ভাবে থাকবে। সরকারি সুযোগ সুবিধার (Government Scheme) ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আসবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের৷
এখন অনেকেই ভাবছেন যারা প্রবীন নাগরিক তাদের তো বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) নেই তারা এখন কী করবে? তারা কী তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে? এখন অনেক নাগরিক আছে যাদের জন্মের সার্টিফিকেট নেই বা হারিয়ে গেছে তার কী করবে এবার? উত্তরটা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে আপাতত, যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে যাদের বার্থ সার্টিফিকেট নেই তাদের বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহল৷
এতদিন তারা মাধ্যমিকের শংসাপত্র বা অন্য কোনও নথি দিয়ে নিজের জন্ম তারিখ এবং জন্ম স্থানের প্রমাণ দাখিল করতে পারতেন৷ 1লা অক্টোবর থেকে সেটা নাও হতে পারে৷ বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) না থাকলে যে কোন সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। যেমন ধরুন পাসপোর্ট (Passport) করাতে চাইলেও সমস্যায় পড়তে পারেন। নতুন করে আধার কার্ড তৈরিতেও সমস্যা হতে পারে।
সাধারণত, কোনও সদ্যোজাতের জন্মের ১৫-২১ দিনের মধ্যে তার জন্মের শংসাপত্র সংগ্রহ করা যায়৷ এই শংসাপত্র সংগ্রহ করা যায় শহরের মিউনিসিপ্যালিটি (Municipality) বা কর্পোরেশন (Corporation) থেকে। গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত থেকে এই সার্টিফিকেট (Birth Certificate) সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখন হসপিটাল (Hospital) থেকেও সংগ্রহ করা যায় বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate).
LPG Gas – বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস দেওয়া হবে, পুজোর আগে বড় ঘোষণা সরকারের।
বার্থ সার্টিফিকেট পেতে, ২০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি সরকারকে দিতে হয়। এখন ও গ্রাম গঞ্জে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বাচ্চাদের বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করায় না। তাদের উদ্দেশ্য একটাই কথা তারা তদের বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) তাড়তাড়ি তৈরি করে নিন। নাহলে ভবিষ্যতে তারাই নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে।
Education Policy – আর্থিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য দারুন ঘোষণা। উপকার হবে কোটি কোটি