Mid Day Meal – মিড ডে মিল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জানতে হবে।
কথায় আছে পেট খালি থাকলে কাজে মন বসে না। আর এই জন্যই সরকারের তরফে Mid Day Meal বা মিড ডে মিল প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। আর আমাদের দেশের সরকারি স্কুলে পাঠরত সকল পড়ুয়াদের মধ্যে বেশিরভাগ পড়ুয়ারা খুবই গরীব পরিবারের থেকে আসে। আর সেই জন্য এবারে এই Mid Day Meal প্রকল্পে নতুন কিছু ঘোষণা হল। সরকারের তরফ থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে মিড ডে মিল এর ব্যবস্থা করা হয়।
Mid Day Meal Scheme Give Breakfast For All Children.
আর এবার সেই মিড ডে মিলের পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু খাবার পড়ুয়াদের পেতে পড়তে চলেছে। এবার স্কুল এর পড়ুয়ারা পাবে আরো বেশি পুষ্টিকর খাদ্য। পড়ুয়াদের জন্য খুশির খবর কেন্দ্রের তরফ থেকে। স্কুল এর পড়ুয়ারা যাতে অভুক্ত না থাকে তার জন্য মিড ডে মিল (Mid Day Meal) ব্যবস্থা চালু কর হয়েছে বহু দিন যাবত। সরকারি স্কুল গুলোতে এমন অনেক ছেলে মেয়েরা পড়াশুনো করে যারা দুবেলা দুমুঠো পেট ভরে খেতে পারে না আর পুষ্টিকর খাদ্য ও পায় না।
এই সব কথা ভেবেই বহু বছর আগে থেকে ভারত সরকার Mid Day Meal ব্যবস্থা চালু করেছিল। এতে পড়ুয়ারা পেত ভরা খবর ও খেটে পারে আর যাতে পুষ্টি পায় তার জন্যে প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।কেন্দ্র সরকারের (Central Government) নতুন পরিকল্পনা মিড ডে মিলের (PM Poshan) পাশাপাশি ব্রেকফাস্ট দেবার পরিকল্পনা করছে সরকার। এই চিন্তা ভাবনা 2021 সাল থেকেই করা হচ্ছে।
2021 সালে এই প্রস্তাব দেবার পর অবশ্য তা হিমঘরে চলে যায়। দু’বছর পর নতুন করে এই প্রস্তাবের ওঠানো হয়েছে এবং মিড ডে মিলের পাশাপাশি ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থাও হতে পারে পড়ুয়াদের জন্য বলে জানা যাচ্ছে। 2021 এর 29শে সেপ্টেম্বর কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন নাম এই প্রকল্পের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এবং এই প্রকল্পের আওতায় Mid Day Meal কে আনা হয়।
এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে Mid Day Meal দেবার পাশাপাশি খাবারের মেনুতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করা হয়। 2025-26 সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আর এর মধ্যেই দুপুরের পেট ভরা খাবারের পাশাপাশি সকলে পুষ্টিকর খাবার দেবার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রস্তাব আটকে ছিল। কিন্তু এবার তা নতুন করে আসছে বলে জানা যাচ্ছে।
Mid Day Meal পাশাপাশি সকালের খাবারের ব্যবস্থা করলে সরকারী 4000 কোটি টাকা আরো বিনিয়োগ করতে হবে। এই প্রস্তাব গৃহীত হলে পড়ুয়ারা যখন স্কুলে যানে তখন সকলের খাবার পাবে। আবার যখন দুপুর হবে তখন দুপুরের পেট ভরা খাবার পাবে। এতে উপকৃত হবে বহু পড়ুয়া। আর এর ফলে দেশের ও রাজ্যের পড়ুয়ারা অনেক বেশি সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
Written by Ananya Chakraborty.
মাধ্যমিক পরীক্ষার নয়া সিদ্ধান্ত জারি! কী নির্দেশ দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ?