Personal Loan নাকি Credit Card Loan? কোন ঋণ নিলে সুদ কম দিতে হবে
ক্রেডিট কার্ড (Credit Card Loan) ও পার্সোনাল লোন (Personal Loan) গ্রাহকদের জন্য এসে গেল বিরাট সুখবর। এখন থেকে নিজেদের যে কোন প্রয়োজনে দ্রুত ঋণ (Instant Loan) পেতে পারেন গ্রাহকেরা। প্রতিনিয়ত দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির ফলে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এই কারণে এখন প্রায় সকলকেই ব্যাক্তিগত ঋণ (Personal Instant Loan) নিতে হচ্ছে। যে কোনো প্রয়োজনে টাকার দরকার হলে ব্যাঙ্ক ঋণ (Bank Loan) নেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
Comparison Between Personal Loan and Credit Card Loan Interest Rate.
মূলত ব্যাঙ্কের থেকে লোন দুইভাবে নেওয়া যায়। একটি লোনের জন্য গ্রাহকেরা সরাসরি আবেদন করতে পারেন। যেটিকে বলা হয় পার্সোনাল লোন (Personal Loan). আরেকটি আছে পরোক্ষভাবে লোন নেওয়া অর্থাৎ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। দুটি ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি আবার এমন মানুষও রয়েছেন যারা দুটিই ব্যবহার করেন। তবে, এই দুই লোনের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।
Personal Loan And Credit Card Loan Comparison
1) মূলত পার্সোনাল লোন বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তিগত দরকারে লোন নেওয়া। যেমন শিক্ষা, বিয়ে, চাকরি, ব্যবসা, চিকিৎসা, বাড়ি তৈরি, গাড়ি কেনা ইত্যাদি। এক সঙ্গে অনেক টাকার পার্সোনাল লোন নিতে পারেন গ্রাহকেরা। ২ লক্ষ, ৩ লক্ষ, ৫ লক্ষ এমন কি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন দেয় ব্যাংক। তবে, ক্রেডিট কার্ডে যেহেতু আগে থেকেই একটি লিমিট সেট করা থাকে তার বেশি টাকা নিতে পারেন না গ্রাহকেরা। এছাড়াও ক্রেডিট স্কোর Credit Score এর ওপরেও লোনের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে।
2) পার্সোনাল লোন স্বল্প, মাঝারি এবং ৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতেও শোধ করা যায়। যা মধ্যবিত্তদের পক্ষে অত্যন্ত সুবিধা জনক।
3) পার্সোনাল লোন পেতে গেলে প্রথমে ব্যাংকের কাছে গ্রাহককে নিজের একটি সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হবে। যদি তিনি লোন শোধ করতে না পারেন, তবে সেই জিনিস বাজেয়াপ্ত করে নেয় ব্যাংক। কিন্তু ক্রেডিট কার্ডে প্রি অ্যাপ্রুভড এমাউন্ট (Credit Card Loan) থাকার কারণে ধার নেওয়ার জন্য কোনো সম্পত্তি বন্ধক রাখার প্রয়োজন পড়ে না পরে।
4) পার্সোনাল লোন (Instant Personal Loan) নেওয়ার আগে অনেক ফর্মালিটি থাকে। ফর্ম ফিলাপ, ডকুমেন্টস জমা, সে গুলি যাচাইকরণ না করে ব্যাংক লোন দেয়না। যাতে অনেকটা সময় লাগে। কিন্তু যে কোনো বিপদে যখন টাকার দরকার তখনই গ্রাহকেরা একটি ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কাটাতে পারেন। এই জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় বা আবেদন প্রক্রিয়া নেই।
5) পার্সোনাল লোন নিতে গেলে গ্রাহকের একটি নূন্যতম স্থায়ী আয় এবং ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকা দরকার। যতবারই লোন নেবেন তার আগে ব্যাঙ্ক এই গুলি যাচাই করবে। সব ঠিক থাকলে তবেই লোন পাবেন। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড লোন (Credit Card Loan) নিতে গেলে কোন যোগ্যতার দরকার নেই। কারণ এখানে আগে থেকেই গ্রাহকের যোগ্যতা বিচার করে লোন সেট করে দেয় ব্যাঙ্ক।
6) পার্সোনাল লোন যে ব্যাঙ্কের থেকে গ্রাহকেরা নেবেন, সেখানে গ্রাহকের স্থায়ী একটি অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অন্য কোনো ব্যাঙ্কে এই লোন নিতে পারবেন না গ্রাহকরা। অন্য দিকে একটি ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড থাকলে অন্য যে কোনো ব্যাঙ্কের থেকে এর মাধ্যমে টাকা কাটাতে পারেন গ্রাহকেরা। এই জন্য সেই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হতে হবে না।
7) পার্সোনাল লোন কম সুদে পাওয়া যায়। ১১ থেকে ১৮ শতাংশ বার্ষিক হারে বেশির ভাগ ব্যাঙ্কই সুদ কাটে এক্ষেত্রে। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার অনেক বেশি। বেশির ভাগ ব্যাঙ্কেই বার্ষিক ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হারে সুদ নেওয়া হয় এখানে। আর গ্রাহকদের এই সুদের হার জেনে নিয়ে তবেই ঋণের (Online Loan) জন্য আবেদন করা উচিত।
আধার কার্ডে কিভাবে 50000 লোন পাবেন? তাৎক্ষণিক ব্যাক্তিগত ঋণের জন্য অনলাইন আবেদন
ক্রেডিট কার্ড লোন (Credit Card Loan) গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মেয়াদে শোধ করে ফেলতে হবে। আর এই জন্য অনেকেই পার্সোনাল লোন নিতে বেশি পছন্দ করেন এবং এই দিকে সকলের ঝুঁকি প্রতিদিন অন্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড লোনের ক্ষেত্রে আবার অনেক রকম সুবিধা ও রয়েছে। তাই গ্রাহকেরা কোন লোনটি নিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
Written by Sampriti Bose.