প্রকল্প

আবেদন করুন কৃষকবন্ধু প্রকল্পে এবং সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকদের উন্নতির জন্য বহু প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার জেরে আখেরে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরাই লাভবান হয়েছেন। এমনই একটি প্রকল্প হলো কৃষকবন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে থাকা কৃষকদের প্রতিবছর কৃষিকাজে সহায়তার জন্য টাকা দেওয়া হয়ে থাকে, অন্যদিকে খারিফ মরশুম এবং রবি মরশুমে কৃষকদের ফসলের বীজ, সার, কীটনাশক সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি এই প্রকল্পের অধীনে থাকা কৃষকদের বিশেষ বীমাও দেওয়া হয়ে থাকে। আপনিও যদি এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান তবে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক আপনারা এই প্রকল্পের অধীনে কি কি সুবিধা পেতে চলেছেন?
১. এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের রবি মরশুম এবং খারিফ মরশুমে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।
২. কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. এর পাশাপাশি এই যোজনার অধীনে নাম নথিভুক্ত রয়েছে এরূপ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোন কৃষকের মৃত্যু হলে তার আইন সমস্ত উত্তরাধিকারী বা তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।

কারা এই যোজনায় আবেদনের যোগ্য?
১. আবেদনকারী কৃষককে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২. আবেদনকারী কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৩. নিজস্ব জমি থাকুক বা না থাকুক অর্থাৎ জমি রয়েছে এরূপ কৃষক, ভাগ চাষী প্রত্যেকেই এই যোজনার অধীনে আবেদন করতে পারবেন।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আবেদনের প্রক্রিয়া:-
১. কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মটি আপনি কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://krishakbandhu.net/ থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অথবা আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

২. ওই ফর্মে আপনার নাম, আপনার পিতার নাম, আপনার জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, আপনার নিজস্ব জমি রয়েছে নাকি আপনি একজন ভাগচাষী তা উল্লেখ করতে হবে। এরপর আপনার মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর, ভোটার নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য গুলি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

৩. এরপরে ওই ফর্মে আপনার কৃষিজমির বিষয়ে সমস্ত তথ্য অর্থাৎ আপনার কটি কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলি কোন মৌজা এবং কোন ব্লকে রয়েছে, কৃষিজমির জে এল নং, খতিয়ান নং এবং প্লট নম্বর সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। এর পাশাপাশি চাষযোগ্য জমির পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে। চাষযোগ্য জমির পরিমাণ অবশ্যই আপনাকে একরে উল্লেখ করতে হবে।

৪. তারপর ফর্মটিতে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য, যথা:- অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড, ব্যাংকের নাম, ব্রাঞ্চের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ধরন ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে

৫. এরপর আপনাকে নমিনির নাম, নমিনীর পিতা অথবা স্বামীর নাম, আবেদনকারীর সাথে নমিনীর সম্পর্ক, জন্ম তারিখ, বয়স, নমিনীর অভিভাবকের নাম (নমিনীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে) উল্লেখ করতে হবে।

৬. তারপর আপনার জমিটি আপনি কিভাবে পেয়েছেন অর্থাৎ কেউ আপনাকে দান করেছেন নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন নাকি উপহারে পেয়েছেন নাকি কিনেছেন তা উল্লেখ করতে হবে। যদি কিনে থাকেন অথবা দানসূত্রে পেয়ে থাকেন তবে তা যে ব্যক্তি থেকে কিনেছেন বা যে ব্যক্তি আপনাকে দান করেছেন তার ভোটার কার্ড নম্বর আধার কার্ড নম্বর উল্লেখ করতে হবে। সবশেষে আবেদনকারীকে স্বাক্ষর করতে হব

৭. এরপর আধার প্রমাণিকরণের সম্মতিপত্রটি সঠিকভাবে পূরণ করে মূল ফর্মের সাথে যুক্ত করে প্রয়োজনের নথি সহকারে জমা জমা দিলেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি:-
১. ভোটার কার্ডের জেরক্স
২. আধার কার্ডের জেরক্স
৩. চাষযোগ্য জমির পর্চা/বর্গা নিবন্ধীকরণের নথি/ পাট্টা
৪. ব্যাংকের পাশ বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার জেরক্স।
৫. পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
৬. জমিতে যদি দানসূত্রে কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকেন তবে দানপত্রের জেরক্স কিংবা ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জেরক্স।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *