আবেদন করুন টাটা স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
ভারতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য ভারত সরকার তথা বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, NGO এর উদ্যোগে নানা প্রকার স্কলারশিপের অধীনে অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ হলো টাটা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। এই স্কলারশিপটি টাটা ক্যাপিটাল লিমিটেড এর তরফে ভারতের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়তার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতকস্তরে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনি বা আপনার সন্তান যদি পরিবারের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে পড়াশোনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে, তবে অবশ্যই টাটা ক্যাপিটাল পাঙ্খ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এই স্কলারশিপের অধীনে কতো টাকা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে?
টাটা স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুদান প্রদানের সুবিধার খাতিরে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে,
১. টাটা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ফর ক্লাস ৬ টু ১২ স্টুডেন্টস:- এই প্রোগ্রামের অধীনে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের ৮০ শতাংশ টিউশন ফি অথবা ১২০০০ টাকা করে প্রদান করা হয়ে থাকে।
২. টাটা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ফর প্রফেশনাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কোর্সেস:- এই প্রোগ্রামের আওতায় থাকা স্নাতক স্তরে প্রফেশনাল কোর্স (মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন) এ পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের ৮০ শতাংশ টিউশন ফি বা ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে।
৩. টাটা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ফর জেনারেল আন্ডারগ্রাজুয়েট কোর্সেস:- এই প্রোগ্রামের আওতায় থাকা যেকোনো বিষয়ে যেকোন শাখায় (বি. কম, বি. এ, বিবিএ, ডিপ্লোমা, পলিটেকনিক) স্নাতক স্তরে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের ৮০ শতাংশ টিউশন ফি অথবা ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়ে থাকে।
আজই শুরু করুন সাইবার কাফের ব্যবসা এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন
এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যিক যোগ্যতা কি কি?
১. আবেদনকারীকে ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই ভারত সরকার স্বীকৃত যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পাঠরত হতে হবে।
২. এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের বিগত পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। অন্যদিকে স্নাতক স্তরে যেকোনো জেনারেল কোর্সে (বি. কম, বি. এ, বিবিএ, ডিপ্লোমা, পলিটেকনিক) পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা কিংবা যেকোনো প্রফেশনাল কোর্স (মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন) এ পাঠরত ছাত্রছাত্রীরাও বিগত পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই এই স্কলারশিপের অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৩. স্কলারশিপের আবেদনের ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীর বার্ষিক পারিবারিক আয় অবশ্যই ৪ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
৪. যেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা ভারতবর্ষে স্থায়ী বাসিন্দা তারাই কেবলমাত্র এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই স্কলারশিপের অধীনে অনুদানের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন?
১. এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া আপনি এখন বাড়িতে বসে নিজের মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন। এজন্য প্রথমেই আপনাকে buddy4study এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.buddy4study.com/page/the-tata-capital-pankh-scholarship-programme -এ যেতে হবে।
২. এরপর আপনার সামনে যে পেজটি আসবে তাতে এই স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আপনি দেখতে পারবেন। এই পেজটির একেবারে নিচে থাকা Apply Now অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
৩. এরপর আপনার জিমেইল, ফোন নাম্বার, গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।
৪. রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলেই আপনার সামনে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মটি চলে আসবে। এরপর ওই পেজে থাকা Start Application অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে এবং আপনার নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ঠিকানা সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।
৫. এরপর পেজের শেষে থাকা Terms and Conditions গুলিকে এক্সেপ্ট করে Preview অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। Preview অপশনে ক্লিক করলে আপনি আপনার সম্পূর্ণ ফর্মটির একটি ওভারভিউ দেখতে পারবেন। যদি কোনো সমস্যা না থাকে তবে Submit অপশন এ ক্লিক করলেই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
এই স্কলারশিপের আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি কি কি?
১. ফটো আইডেন্টিটি প্রুফ / আধার কার্ড।
২. আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৩. পরিবারের বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র (ফর্ম 16A/ ভারত সরকারের তরফে প্রদান করা আয়ের সার্টিফিকেট/ স্যালারি স্লিপ)।
৪. স্কুল বা কলেজে ভর্তির প্রমাণপত্র (স্কুল অথবা কলেজের আইডেন্টিটি কার্ড / bonafide certificate)।
৫. নতুন কোর্সে ভর্তির রশিদ।
৬. আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য (ক্যান্সেল চেক অথবা পাসবইয়ের স্ক্যানড কপি)।
৭. বিগত পরীক্ষার মার্কশিট।
৮. জাতিগত শংসাপত্র।
আবেদনের সময়সীমা:-
সাধারণত এই স্কলারশিপটির জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া, জুলাই মাসে শুরু হয় এবং আগস্ট মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে থাকে।