প্রকল্প

Awas Yojana: বাংলা আবাস যোজনার টাকা নিয়ে আবার অভিযোগ! এবারে কি জানতে পাওয়া গেল?

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সূচনা করা বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের (Bangla Awas Yojana 2025) অনুদান দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের। রাজ্যে যে সমস্ত নিম্ন ও দরিদ্র পরিবার রয়েছে যাদের মাথার ওপর ছাদ নেই, সেই সমস্ত পরিবার গুলোকে পাকা বাড়ি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্য সরকার। যদিও পিএম আবাস যোজনার (PM Awas Yojana) মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের জন সাধারণের জন্য পাকা বাড়ির তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।

Bangla Awas Yojana Money

তবে বাংলার উপভোক্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম দুর্নীতি মূলক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ার দরুন আপাতত বন্ধ রয়েছে পিএম আবাস যোজনা প্রকল্পের অনুদান। এরপরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal CM Mamata Banerjee) রাজ্যের রাজকোষ থেকেই অর্থ বরাদ্দ করেছেন বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ২০২৫

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের মতন কোন দুর্নীতি মূলক কার্যকলাপ যাতে না ধরা পড়ে, তার জন্যই বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের অনুদান দেওয়ার আগে উপভোক্তাদের বাড়ি বারংবার সার্ভে করে এছাড়া অন্যান্য অফিসিয়াল কাজকর্ম বারংবার পর্যালোচনা করেই প্রত্যেক উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে ডিসেম্বর মাসে।

বাংলা আবাস যোজনার টাকা

প্রথম কিস্তিতে ৬০০০০ টাকা দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের। প্রথম তালিকায় যে সমস্ত গ্রাহকের নাম ছিল, তারা প্রত্যেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের অনুদান পেয়ে গিয়েছেন তাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এরই মধ্যে কিছু উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ ওঠে। বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে ফের দুর্নীতির নাম জড়ালো।

জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের গোয়াল পোখরের পাঞ্জিপাড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতে এমন ঘটনা ঘটেছে। যে ব্যক্তিদের টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে ইসলামপুর সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পাঞ্জিপাড়ার সরকার পাড়া, নতুনপাড়া এবং শান্তিনগর গ্রামের ৯ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট থেকে আবাস যোজনার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে।

বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছিল। গ্রাহকদের মূল টাকা থেকে ২০,০০০, কারোর ২১,৯০০, কারোর আবার ২৬,৯০০ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। টাকা গায়েব হয়ে যাওয়া এক উপভোক্তার কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ৬০ হাজার টাকা আসার পর তিনি প্রথমে ২০ হাজার টাকা তুলতে গিয়েছিলেন।

Chit Fund (চিট ফান্ড টাকা ফেরত দেওয়া শুরু)

সেই সময় মোট অ্যাকাউন্ট ৬০ হাজার টাকা দেখালেও পরে যখন আবার তিনি টাকা তুলতে চান তখন দেখেন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একটা টাকাও পড়ে নেই। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে গিয়ে অভিযোগ জানালেও ব্যাঙ্ক থেকে এই ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরে ইসলামপুর বিডিও অফিসে গিয়ে উপভোক্তারা অভিযোগ জানালে, তারা তাদেরকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেন।

মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে কড়া গাইডলাইন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের! শিক্ষক শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা জেনে নিন

কিভাবে টাকা উধাও হয়েছে এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও অফিস, এছাড়া ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, টাকা গায়েবের ব্যাপারে সাইবার থানায় অভিযোগ জমা হয়েছে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরে কিভাবে টাকা গায়েব হয়েছে এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
Written by Shampa debnath

Related Articles