Bank KYC: KYC করার নিয়ম বদল। SBI, PNB, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক গ্রাহকরা জেনে নিন
দেশের সকল মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করতে কেওয়াইসি (Bank KYC) করা খুবই জরুরি এবং এই জন্য RBI-র তরফে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক গুলোকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই নির্দেশ অনুসারে KYC (Know Your Customer) করানোর কাজ করে চলেছে সকল আর্থিক সংস্থা। আর এবারে এই নিয়েই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
SBI PNB HDFC Bank KYC Online
বর্তমানে প্রত্যেকটি ব্যক্তির সেভিংস অ্যাকাউন্ট (Savings Account) রয়েছে, কিন্ত এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপডেট করা জরুরী অর্থাৎ Bank KYC করাটা খুবই দরকারি। বিগত কিছু বছর ধরে আমরা অনেক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Bank Fraud) সম্পর্কে জেনেছি এবং এই সকল কিছুর পর আখেরে দেশের সকল মানুষদেরই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি অনলাইন আপডেট
আর সাধারণ মানুষদের টাকা সুরক্ষিত করার জন্য এই Bank KYC করানোর ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে। আর এই জন্য সকল ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের জন্য আরও একবারের জন্য এই কেওয়াইসি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই আর দেরি না করে সকল ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের (Bank Customers) এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নিন সকল তথ্য।
Bank KYC form fill up
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় গ্রাহকদের যে তথ্য বা ডেটা দেওয়া হয়ে থাকে, কয়েক মাস বা কয়েক বছর পরে সেই ব্যক্তির কিছু তথ্যের পরিবর্তন হয়ে থাকতে পারে। যেমন – ফোন নাম্বার, ঠিকানা ও আরও অন্য কিছু। এই সমস্ত তথ্য আপডেট করার জন্য কেওয়াইসি ফর্ম (Bank KYC Form) পূরণ করে জমা করতে হয়। গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই কেওয়াইসি জমা করার মূল লক্ষ্য।
অনেক সময় অনেক ভুয়ো ব্যক্তি ভুয়ো তথ্য দিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করেন, সেই ক্ষেত্রে এই কেওয়াইসি আপডেট করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য যাচাইকরণ করা যায়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাংকিং পরিষেবায় (Banking Service) একটা সুনিশ্চিত নিরাপত্তা বজায় থাকে। আপনি যদি নির্দিষ্ট সময় অন্তর কেওয়াইসি (Bank KYC) জমা না দেন, তাহলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank of India) এই কেওয়াইসি (Bank KYC) নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৬ নভেম্বর ২০২৪ সাল থেকে এই নতুন নিয়ম পরিবর্তন করেছেন। কেওয়াইসি ফর্মের জন্য একজন গ্রাহকের কাছ থেকে ঠিকানার প্রমাণ, বয়সের প্রমাণ, প্যান কার্ড, আধার কার্ড নেওয়া হয়। গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কেওয়াইসি আপডেটের (Know Your Customer Update) সময় সীমাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে আর্থিক নিরাপত্তা বেশি দরকার অর্থাৎ বেশি ঝুঁকি সম্পূর্ণ সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহককে প্রতি দুই বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। মধ্যম ঝুঁকির অ্যাকাউন্টের জন্য গ্রাহককে প্রতি ৮ বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। কম ঝুঁকির অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে গ্রাহককে প্রতি ১০ বছর অন্তর কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। যেহেতু এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট গুলোর আর্থিক ঝুঁকি কম রয়েছে তাই কেওয়াইসি আপডেটের (Bank KYC Update) সময় সীমা একটু দীর্ঘ করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যেই দিন গ্রাহক কেওয়াইসি আপডেট করবেন ঠিক তার থেকে সাত দিনের মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কেওয়াইসি রেজিস্টারে (KYC Registration) নতুন তথ্য সংযোজিত হয়ে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন কারণে ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকদের কেওয়াইসি (Online KYC Update) জমা করার জন্য বারংবার নির্দেশ দেওয়া হতো, এক্ষেত্রে সেই ঝামেলা থেকে গ্রাহকরা অনেকটাই রেহাই পাবে।
যেহেতু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কেওয়াইসি রেজিস্টারে প্রত্যেকটি গ্রাহকের তথ্য তুলে রাখা হবে, তাই সেখান থেকেই গ্রাহকদের আপডেট নিয়ে নেওয়া হবে। এই নিয়ম চালু হওয়ার ফলে এক থেকে গ্রাহকদের যেমন বারংবার কেওয়াইসি জমা করা জন্য ঝামেলা থেকে মুক্ত হবেন, ঠিক একই ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে কেওয়াইসি (Bank KYC) জমা করা নিয়ে এই কাজটি অনেক সহজতর হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী স্বানিধি যোজনা। ব্যবসা করার জন্য ৫০,০০০ টাকা ঋণ কিভাবে পাবেন?
ব্যাংকিং পরিষেবায় কোনো রকম জালিয়াতি রুখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই নতুন পদক্ষেপ অনেকটাই কার্যকরী হবে, সেই সাথে অনেকটা স্বচ্ছতা বজায় থাকবে এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার ফলে। আর সকল গ্রাহকদের এই KYC এখনই তাড়াতাড়ি করে নেওয়া উচিত নিজেদের সুবিধার জন্য অবশ্যই। এই সম্পর্কে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
Written by Shampa debnath