Retirement Investment Plan – অবসরের পর বৃদ্ধ বয়সে ভালো থাকতে বেছে নিন এই বিনিয়োগ প্রকল্পগুলো।
Best Retirement Investment Plans:
চাকরিকালীন সময়ে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে মাসিক বেতন দিয়ে সংসার চালাতে হয় হিসাব করে। আর অবসরের পর পেনশন হয়ে যায় ভবিষ্যতের সঙ্গী তৈরি করতে হয় Retirement Investment Plan. আর এই সময় ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগের আগে ভালোভাবে বুঝতে হয় সেই স্কিমের বেনিফিট সম্পর্কে। আজকের এই প্রতিবেদনে সেই নিয়েই জানানো হবে। অবসরের পর কোথায় বিনিয়োগ করলে মেয়াদপূর্তির পর লাভবান হওয়া সম্ভব? জেনে নিন।
Best Retirement Investment Plan in India:
চাকরি বা ব্যবসা শেষের আগেই Retirement Investment Plan করে ফেলুন।
১) প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা যোজনা (PMVVY)-
এটি একটি একটি পেনশন যোজনা বা Retirement Investment Plan. যা ২০১৭ সালে দেশের সকল প্রবীণ নাগরিকদের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পটি রাষ্ট্রয়ত্ব বিমা সংস্থা বা LIC প্রধানমন্ত্রী বয়ঃবন্দনা যোজনা নামে বাজারে প্রচলিত আছে।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের কমপক্ষে 50% পেনশন বৃদ্ধির ঘোষণা, কত টাকা বাড়ছে, কবে থেকে চালু?
এই বার্ষিক পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীকে নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট টাকার অঙ্ক প্রদান করা হয়। এছাড়া মাসিক, অর্ধবার্ষিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক সুদও পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ সীমা ১৫ লক্ষ টাকা। আরো বিশদে জানতে হলে LIC অফিসে বা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে চেকে করে জেনে নিতে পারবেন।
২) সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS)-
এই স্কিমের নাম সম্পর্কে অনেকেই শুনেছেন, কিন্তু বিশদে অনেকেই জানেন না। বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকের অধীন এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। এটি দেশের অবসরপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের সবথেকে বেশি নিরাপত্তা প্রদান করে।
এই স্কিম কেন্দ্রীয় সরকার সমর্থিত একটি সঞ্চয় প্রকল্প। ঝুঁকিবিহীন বিনিয়োগকে সমর্থন করে। ২৩- ২৪ সাল থেকে বাজেট অনুসারে, সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সীমা ৩০ লক্ষ টাকা। ৬০ বছরের বেশি বয়স হলে SCSS স্কিমে বিনিয়োগ করা যাবে।
৩) সিনিয়র সিটিজেন ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম-
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সকল প্রায় সকল বিনিয়োগকারিই ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন না। বিশেষত প্রবীণ নাগরিক যাদের আয়ের মেয়াদ স্বল্প সময়ের জন্য এবং সুদের আয়ের উপর নির্ভরতা বেশি করতে হয়, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। তাই করে ফেলুন নিজের Retirement Investment Plan.
তারা অতিমারির আবহের সময় থেকে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন। তবে সিনিয়র সিটিজেন ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী বিনিয়োগকারীদের নিয়মিত আয় প্রদান করতে সহায়তা করে থাকে।
৪)পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম (POMIS)-
অর্থ মন্ত্রকের অধীন এই পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম প্রবীণ নাগরিকদের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করে থাকে। যার ফলে বিনিয়োগ করলে নির্দিষ্ট মাসিক সুদ পাওয়া যায়। কারণ এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ মাসিক আয়ের স্কিম।
তাছাড়া মূলধন সুরক্ষা করতেও সক্ষম। একজন বিনিয়োগকারীর কাছে এর থেকে বড় নিশ্চিন্তের বিষয় আর কি হতে পারে। বিনিয়োগের মেয়াদ ৫ বছর। আর জয়েন্ট হোল্ডারদের জন্য পূর্বে সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৯ লক্ষ। যদিও ২০২৩ সালের বাজেটের পর সেই সীমা বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ করা হয়েছে।
৫) মিউচুয়াল ফান্ড-
এতে বিনিয়োগ করতে অনেকেই রাজি থাকেন না। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকেরা এই ঝুঁকি নিতে চান না। কারণ একাধিক বিনিয়োগকারীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এবং ইক্যুইটি ও লোনের মতো বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণিতে বিনিয়োগ করা হয়। মিউচুয়াল ফান্ডের ফান্ড ম্যানেজার এর দ্বারা প্রচলিত SIP যদি আপনি করে থাকেন, তবে লসের ভয় কম। কারন এতে কোনও শেয়ার লসে রান করলে আপনার বিনিয়োগের টাকা অন্য ফান্ডে ইনভেস্ট হবে। এখানে বাজার সম্পর্কে আপনার আপডেট না থাকলেও চলবে।
Reserve Bank এর নয়া সিদ্ধান্তে বড় ঝটকা, খরচ বাড়বে ব্যাংকের গ্রাহকদের, জেনে নিন বিস্তারিত।
অন্যদিকে এই ফান্ড মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে সক্ষম। যে সকল বিনিয়োগকারী এই ঝুঁকি নিতে সক্ষম তারা অর্থের উপর ভিত্তি করে স্বল্প মেয়াদের জন্য ইক্যুইটি ভিত্তিক মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।
উপরোক্ত কোন ফান্ড টি আপনার জন্য বেশি উপযোগী, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
এই সংক্রান্ত নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।