ছুটি

দুর্গাপুজোর ছুটি বাতিল হল এই কর্মীদের। বকেয়া DA এর মধ্যেই নতুন খারাপ খবর!

Durga Puja Holiday 2025

দুর্গাপুজোর ছুটি বাতিল হয়ে গেল এই কর্মীদের! আর মাত্র ৭০ দিন বাকি আর তার আগেই এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্মীদের ও তাদের পরিবারের মন খুব খারাপ হয়ে গেছে। কলকাতায় একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে জল জমার সমস্যা মাথায় রেখে, অক্টোবর মাস পর্যন্ত নিকাশি বিভাগের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পুজোর মরসুমকে সামনে রেখে এই কঠোর সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক তৎপরতার প্রমাণ মিলেছে।

কেন ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত?

কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল, ২১ জুলাইয়ের সভা এবং শারদোৎসব সহ একাধিক উৎসব। এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, শহরের নিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখতে কর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত রাখতে হবে বলেই এমন সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে সাফ জানানো হয়েছে, নিকাশি বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত বাতিল, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছুটি মিলবে না, উৎসব ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শহরে থাকবে অতিরিক্ত চাপ।

বৃষ্টির প্রভাব শহরে কতটা?

গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় দেখা গেছে জল জমার দৃশ্য। আর উৎসবের সময়ে এমনটা হলে তো আর কথাই নেই! বিশেষত যেই সব এলাকায় বরাবর জল জমার প্রবণতা বেশি, সেই গুলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জরুরি কাজ। শহরের জল জমা প্রবণ এলাকায় মোতায়েন প্রায় ১০০০ জন শ্রমিক, ছোট দলে ভাগ করে নজরদারিতে নিয়োজিত ১০০ জন ইঞ্জিনিয়ার, চালু রাখা হয়েছে শহরের ২৪ ঘণ্টার নিকাশি পাম্পিং স্টেশন।

পুজোর মরশুমেও ছুটি নয়?

শারদোৎসব থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, দীপাবলী, ছটপুজো একের পর এক উৎসবের ভিড়ে শহরের নিকাশি কর্মীরা ছুটি পাবেন না। প্রশাসন এই সময়ে শহরের স্বাভাবিক জনজীবন বজায় রাখতেই এমন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।গত কালকের মাঝারি বৃষ্টিতেই বিধান সরণি, আমর্হাস্ট স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, ঠনঠনিয়া ও মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে জল জমার ছবি ধরা পড়েছে। রাস্তাগুলোর ড্রেনেজ ব্যবস্থা যথেষ্ট ধীর বলে অভিযোগ উঠছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা বাড়াতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার?

মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন – “ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, তবে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ নয়। আমরা যদি তিন চার দিন সময় পাই, রাস্তা গুলি আগের মতো হয়ে যাবে।” এই সিদ্ধান্তের ফলে উৎসবের সময় শহরে জল জমা এবং যানজটের সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে পুরসভার এই তৎপরতা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা সময়ই বলবে।

Related Articles