DA – ডিএ আন্দোলনের মাঝেই সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা, নবান্নের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
চলতি বছরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেড়েছে ৩% DAএর হার। কিন্তু তারা এখনও পাননি বকেয়া DA. বকেয়া DA এর দাবিতে এখনও পর্যন্ত শহীদ মিনার চত্বরে আন্দোলন থেকে শুরু করে অফিসে কর্মবিরতি সকল পরিকল্পনাই রুপায়িত করেছেন তারা। এবার কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ব্রিটিশ শাসনের ‘ঐতিহ্য’-র সঙ্গে তুলনা করলেন। কেন এই তুলনা? কার্যত কর্মীরা যে ক্ষোভেই এই কথা বলেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
DA মামলায় ব্রিটিশ শাসনের ‘ঐতিহ্য’র সঙ্গে তুলনা করলেন কর্মীরা? বিশদে জানুন।
বকেয়া ডিএ এর প্রদানের পাশাপাশি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদানের দাবি জানাচ্ছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যের তরফে এর থেকে বেশি DA দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রের বেতন পরিকাঠামোর সঙ্গে রাজ্যের বেতন পরিকাঠামোকে মেলালে চলবে না, সেটাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কোন কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, সেকথাও তুলে ধরা হয়েছে।
তাতে কি, ডিএ এর হার বাড়লেও যে কর্মীরা খুশি হননি তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখে না।
এবার যেন কর্মীরা সরকারের প্রতি আরো ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। কিন্তু কেন? সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ডিএ আন্দোলনের মাঝেই ১০ সরকারি কর্মী বদলি করতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হল।
নবান্নের তরফে বদলির বিষয়কে ‘রুটিন বদলি’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হলেও মানতে পারছেন না কর্মীরা। এ নিয়ে কর্মীদের দাবি, যাদের বদলি করা হয়েছে, তারা কোনও না কোনও সময় ডিএ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। গত ১০ মার্চও ডিএ এর দাবিতে যে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল, তাতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এই ১০ জন সরকারি কর্মচারী।
তাই সরকারের নির্দেশিকা অমান্য করার কারণেই এই বদলি, দাবি কর্মীদের। এ নিয়ে ডিএ আন্দোলনের একজন নেতার দাবি, রাজ্য সরকার যে ডিটেলমেন্ট অর্ডার জারি করেছে, তা আসলে ব্রিটিশ ঐতিহ্য বহন করছে। তখনও কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে তাদের বদলি করে দেওয়া হত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ব্রিটিশদের ঐতিহ্য মেনে কাজ করছে।
এমনকি ভাষাটাও ব্রিটিশ সরকারের থেকে ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি সরকারের তরফে কর্মীদের অ্যাডহক বোনাস, ফেস্টিভ্যাল অ্যাডভান্স, এক্সগ্রাশিয়ারের পরিমান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিএ এর দাবিতে আন্দোলন করার মাঝেই ১০ জন সরকারি কর্মী বদলি। এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নন কর্মীরা। তবে কি পূর্বের তুলনায় আন্দোলন আরো জোরদার হতে চলেছে?
এপ্রিল মাসে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে সকল ব্যাংক, ভোগান্তি থেকে বাঁচতে আগের থেকে তালিকা দেখে নিন।
এর আগেও কর্মীরা জানিয়েছিলেন, সরকারি কর্মীরা ভিক্ষা চান না, চান তাদের অধিকার। দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। কর্মীদের পরবর্তী পরিকল্পনা কি? সেই সম্পর্কে নতুন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।