গুরুত্বপূর্ণ খবর

ফলন কম, আগামী মাস থেকে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা, বিস্তারিত জানুন।

উপার্জনের পথ হিসেবে চাকরি বা ব্যবসা যেকোনো একটি দিক বেছে নিতেই হয়। তা সত্বেও সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি হল এর অন্যতম কারণ হল। দেশের দারিদ্রসীমার নিচে থাকা অধিকাংশ মানুষই আর্থিক অভাবের ফলে কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য হন। এমনকি পরিবারের মেধাবী পড়ুয়াটিকেও অর্থ উপার্জনের জন্য কাজে হাতে লাগাতে হয়। দেশে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। যারা রোজ একমুঠো চাল, সামান্য শাক সবজি জোগাড় করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন।

কেন হচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি? কতটাই বা বাড়বে দাম?

তবে যদি বাড়ে, চাল, গম, তেল বা অন্যান্য খাদ্যপণ্যের দাম? এমনিতেই কেরালায় এক সপ্তাহ পরে বর্ষা ঢুকেছে। তার উপর বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হলে, শাক সবজি থেকে অন্যান্য ফসল চাষের ক্ষেত্রে ফলন কম হবে। ফলের বাড়তে পারে জিনিসের দাম। তার উপর রয়েছে এল নিনোর আশংকা। তবে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জানানো আগে জানাই এই এল নিনো আসলে কী?

অনেকেই এই নামটি বহুবার শুনলেও, জানেন না এটি সম্পর্কে। এল নিনো হল প্রশান্ত মহাসাগরীয় উষ্ণ বাতাস। যেটিকে স্প্যানিশ ভাষায় ট্রান্সলেট করলে হয় ‘দুষ্টু ছেলে’। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন করবেন এই এল নিনোর কারণে জিনিসের দাম বাড়ার সম্পর্ক কী? এটি সৃষ্টি হলে বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ায় ধাক্কা দেয়। এর ফলে ভারতে অনাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মাসে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির সূচক ৪.২৫ শতাংশে নেমে এসেছিল। ২৫ মাসে এটি ছিল সর্বনিম্ন। আর মে মাসেই খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সূচক ছিল ২.৯১ শতাংশ। যা ছিল ১৮ মাসে সর্বনিম্ন। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের আশংকা, চলতি মাস পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির হার লাগাম দেওয়া গেলেও আগামী মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে হঠাৎ করেই খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি দিতে পারে।

আজ থেকে 10 দিনের জন্য বাতিল থাকছে একাধিক লোকাল ট্রেন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা, দেখে নিন তালিকা।

আর অনাবৃষ্টির ফলেই খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হবে। এ নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (RBI) এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ভারত মহাসাগরে এল নিনো কতটা ছাপ ফেলবে, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষত খাদ্যপণ্যের দাম। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকার গমের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মজুতদারির উপর ঊর্ধ্বসীমা জারি করেছে। এমনকি সরকারি গুদাম থেকে খোলা বাজারে গমের সঙ্গে চালও বেচা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কোন কোন খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার আশংকা থাকছে?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে ৪% কম বৃষ্টিপাত হবে। এর ফলে পুরো মরসুমেই খারাপ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। যাতে করে খাদ্যপণ্য চাষের ফলন কমবে। খাদ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হলে অর্থাৎ মরসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে চাল, আলু, তৈলবীজ, পেঁয়াজ, টোম্যাটো ইত্যাদির ফলন কমবে।

বাংলার কৃষক বন্ধুদের জন্য 16000 টাকা ঘোষণা, কিভাবে পাবেন জেনে নিন।

তাই সাধারণভাবে ফলন কমলে দাম বাড়বে পন্যের। আমজনতাকে হয় প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনতে হবে, নয়তো বেশি খরচ করতে হবে। আদতে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষই।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Manika Basak.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *