আধার কার্ড ব্যবহার করেন? তবে মাথায় রাখুন এই ৫ টি বিষয়। নাহলে পড়তে হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদে
সময় যতো এগিয়েছে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আধার কার্ড ততোই গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি যেকোনো ক্ষেত্রে যেকোনো রকম কাজের জন্য আধার কার্ড প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে আধার কার্ডের জনপ্রিয়তা এবং প্রয়োজনীয়তার ফায়দা লুটছে বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। আর তার জন্য বারংবার নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। এমনকী এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিরও শেষ নেই।
আর তাই UIDAI-এর তরফে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বেশ কতোগুলি টিপস প্রকাশ্যে আনা হয়েছে যেগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। আপনিও যদি এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে চান তবে আপনাকেও এই টিপসগুলি মেনে চলতে হবে।
নিজের আধার কার্ডটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনাকে যেসমস্ত টিপস করে মেনে চলতে হবে তার মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে যে, কোনোভাবেই নিজের আধারের ওটিপি কারোর সাথে শেয়ার করবেন না। প্রয়োজনে আপনার আধারের সাথে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর স্ক্যান করলেই আপনি আপনার আধার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেখতে পারবেন।
বন্ধ হতে চলেছে স্কুল-কলেজ? পরীক্ষা হতে চলেছে অনলাইনে? নতুন নির্দেশিকা দেখে নিন
এছাড়াও UIDAI-এর তরফে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, ই-আধার কার্ড ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে সেটি UIDAI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড করতে হবে। UIDAI-এর পক্ষ থেকে অন্যকোনো ওয়েবসাইট থেকে কোনোভাবেই আধার কার্ড প্রদান করা হয় না। আপনি যদি নিজের ফোন কিংবা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের বদলে অন্য কারোর ফোন কিংবা কম্পিউটার থেকে ই-আধার কার্ড ডাউনলোড করেন তবে প্রয়োজন ফুরালে অবশ্যই ওই আধার কার্ডটি উক্ত ডিভাইস থেকে ডিলিট করে দেবেন। নতুবা আপনার আধার কার্ডটির অপব্যবহার হতে পারে।
বিভিন্ন কাজের জন্য যদি আপনাকে বারংবার আধার কার্ড ব্যবহার করতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার আধার অথেন্টিকেশন হিস্ট্রি চেক করুন। ভারত সরকারের তরফে প্রত্যেক ৬ মাস অন্তর ৫০ টি আধার ব্যবহারের হিস্ট্রি আপলোড করা হয়ে থাকে। এই হিস্ট্রি থেকে আপনি আধার ব্যবহারের সময় এবং তারিখ দুইই জানতে পারবেন। সুতরাং, আপনি অত্যন্ত সহজেই চেক করে নিতে পারবেন আপনার আধার কার্ড অপব্যবহার হয়েছে কিনা।
এছাড়াও আধারের অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য বায়োমেট্রিক্স লক ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার আধার কার্ডটি লক অথবা আনলক করার জন্য ১৬ টি সংখ্যার একটি ভিআইডি প্রদান করা হবে। এই আইডিটি আপনি কারো সাথে শেয়ার না করলে আপনার আধার কার্ড কোনোভাবেই অন্যকেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। সুতরাং, এই বায়োমেট্রিক্স লকের মাধ্যমে আপনি আপনার আধার কার্ডটিকে। এছাড়াও আধার কার্ডের অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য মাস্কড আধার কার্ডও ব্যবহার করতে পারেন।
আধার কার্ডের সঙ্গে এমন ফোন নম্বর সংযুক্ত রাখুন যেটি আপনি সবসময় ব্যবহার করেন। কোনোক্ষেত্রে যদি মনে হয় আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বরটি সংযুক্ত নেই অথবা আপনার ইমেইল আইডিটি সংযুক্ত নেই তবে আপনি লিংকটি ব্যবহার করে আপনার যেকোনোরকম সন্দেহ দূর করতে পারবেন।