পশ্চিমবঙ্গে অনলাইনে CAA নাগরিকত্ব পেতে কিভাবে আবেদন করবেন? কি কি নথি লাগবে?
সারা দেশে CAA (Citizenship Amendment Act) বা সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন চালু হয়ে গিয়েছে। আর এখন যারা যারা CAA এর জন্যে আবেদন করতে চান তারা করতে পারেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার জন্যে ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে কিভাবে আবেদন করতে হবে সে বিষয়ে অনেকেই যানেন না। তবে এবার বিজেপির (BJP) তরফ থেকে CAA তে আবেদন করার জন্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিভাবে এই কাজ করা হবে এই বিষয়ে জেনে নিন।
How To Apply For CAA?
বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সুত্রে দাবি করা হয়েছে, লোকসভা ভোট চলাকালীনই অনেকে CAA আবেদন জানলে নাগরিকত্ব শংসাপত্র পেয়ে যাবে। তার প্রভাব সরাসরি রাজ্যের 17টি লোকসভা আসনে পরতে চলেছে বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। নদিয়ার রানাঘাট এবং উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ অন্যতম। মতুয়া এবং উদ্বাস্তু প্রধান নদিয়া জেলার ছয় জন ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়েছে।
গত শনিবার বিধানগরের আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালবীয় সেই প্রশিক্ষণ দেন। রাজ্যের প্রতিটি সংগাঠনিক জেলা থেকে তিন জন কে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেই তিনই আবার প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে প্রশিক্ষণ দেবেন। তারা আবার মন্ডলস্তরে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ককে প্রশিক্ষণ দেবেন। এইভাবে ধাপে ধাপে একেবারে বুথ স্তর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই সব প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীরা যারা CAA তে আবেদন করতে ইচ্ছুক তাদেরকে সাহায্য করবে। এই আবেদন করার ফর্মে জানাতে হবে, আবেদনকারী বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নাকি আফগানিস্তান কোন এলাকা থেকে এসেছেন এবং তার প্রমান স্বরূপ 9টি নথির মধ্যে একটি দিতে হবে। বিজেপির ‘CAA State Implementation Committee’ সুত্রে দাবি করা হয়েছে, যাদের সেই নথি নেই তাদের জন্য নতুন ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যেখানে ‘ভবিষ্যতে নথি দেব’ বলে জানালেই চলবে।
যাদের এই নথি নেই তারা স্থানীয় কোনো পুরোহিত, রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের মত সংগঠনের শংসাপত্র জমা দিতে পারবেন। তা দিয়েই কাজ চলে যাবে বলে দাবি বিজেপির। উত্তর 24 পরগনা এবং নদিয়া জেলায় ছড়িয়ে থাকা উদ্বাস্তু এবং মতুয়াদের একটি বড় অংশ মনে করছেন, অনেক বছর ধরে তারা এদেশে বসবাস করছেন, ভোট দিচ্ছেন, তারা এমনিতেই নাগরিক।
নাগরিকত্ব পেতে তাদের নতুন করে কোনো আবেদন করার দরকার নেই। তৃণমূলের রাজ্য সভার সংসদ ও all india মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুরের দাবি, “CAA তে আবেদন করা মানেই বেনাগরিক হয়ে যাওয়া। আধার কার্ড, ভোতার কার্ড , রেশন কার্ড বাতিল হবে। সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।” তবে বিজেপির ‘CAA State Implementation Committee’ এর সদস্য সৌভিক চক্রবর্তী বলেন।
‘নথি না থাকলেও কোনো হিন্দুর নাগরিকত্ব বাতিল হবে না। আইনে বলা আছে আবেদনকারীকে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।” যাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সবই আছে তারা CAA আবেদন জানাতে যাবেন কেন? সৌভিক এর বক্তব্য, ‘আবেদন জানান কোনো বাধ্যতামূলক কাজ নয়, কিন্তু পরে নাগরিকত্ব নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা হলে সরকার তার দায় নেবে না।
বিরোধীদের দাবি এইভাবেই ধন্ধের কাঁটা রেখে দিয়েছে বিজেপি। মতুয়াদের আর এক অংশ আবার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। শান্তনু বলেন, “প্রশিক্ষণের পরেই ওরা আবেদন করবেন। কিন্তু নথি (CAA Apply Documents) না থাকলে প্রশাসনের আধিকারিক বা জন প্রতিনিধিদের কাছে না গিয়ে তাদের বদলে পুরোহিত বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সংগঠনের নেতাদের থেকে কেন শংসাপত্র নিতে হবে।
তাপপ্রবাহের তীব্র সতর্কতা জারি রাজ্যে। শনিবার পর্যন্ত সাবধানে থাকুন! বৃষ্টি কবে হবে?
সেই প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলপন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহসংঘের নদিয়া জেলা সভাপতি প্রমথরঞ্জন বসুর প্রশ্ন, “পুরোহিত বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতার শংসাপত্রের কি বিশ্বাসযোগ্যতা আছে?” তিনি দাবি করেন, “এটা একটা বড় কারচুপি। বিজেপি ফাঁদ পাতছে। ভোট মিটে গেলেই বোঝা যাবে। তাই আমরা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দাবি করছি। এই CAA নিয়ে ভোটের মরশুমে জোর তরজা চলছে সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে।
Written by Ananya Chakraborty.
মাসের শুরুতেই 32 টাকা কমে গেল রান্নার গ্যাসের দাম। পশ্চিমবঙ্গে নতুন দাম কত?