কীভাবে ব্লগিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করবেন? নতুনদের জন্য সম্পূর্ণ গাইড বাংলায় স্টেপ বাই স্টেপ গুগল অ্যাডসেন্স বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে

ব্লগিং থেকে ইনকামের সেরা পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায়। বর্তমান সময়ে অনলাইনে উপার্জন করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি আপনি অল্প সময় ব্যয় করেন অনলাইনে ব্লগিং করে অনেক অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবেন। কিভাবে ব্লগ সাইট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করবেন এবং আপনার ব্লক কে বিভিন্ন উপায়ে মনিটাইজ করবেন এই সংক্রান্ত তথ্যই থাকছে আজকে প্রতিবেদনে। অনলাইনে উপার্জন মডেল এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট মনিটাইজ করার সেরা পদ্ধতির কথা বলা আছে।
বাংলায় ব্লগিং করে অনলাইন আয়ের উপায়
প্রথমেই জেনে রাখা উচিত মনিটাইজেশন সম্পর্কে। সহজভাবে বলতে গেলে মনিটাইজেশনের অর্থ হল আপনার সাইট থেকে টাকা উপার্জন করা। আপনি নিজের ব্লগে অনলাইন কন্টেন্ট থেকে অর্থ উপার্জন করলে সেটিকে মনিটাইজেশন বলা হবে। আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন শুরু করার জন্য বেশ কিছু মাধ্যম রয়েছে। আজকে কি মাধ্যম বা পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
ব্লগিং করে গুগল অ্যাডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মনিটাইজেশন : টাকা উপার্জনের জন্য আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দিন। আপনার অনলাইন কন্টেন্টে বিজ্ঞাপন যোগ করলে সহজে টাকা পেতে পারবেন। বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পেমেন্ট করবেন। আপনার সাইট এবং কন্টেন্ট যত বেশি জনপ্রিয় আপনি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার কন্টেন্টের সাথে যে সমস্ত ব্যবসার বিজ্ঞাপন আপনি দেখাতে চান সেই গুলির জন্য আপনি বিজ্ঞাপন দেখানোর স্লট অফার করতে পারেন। এটিকে সরাসরি ডিল বলা হয়। আপনার হয়ে বিজ্ঞাপন দেখানোর স্লট বিক্রি করার জন্য Google Adsense এর মতো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন। এছাড়াও স্থানিয় কোন বিজ্ঞাপন দিয়ে দিতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং :- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি যখন অন্য কোনও সাইটে বিক্রয়ের জন্য কোনও প্রোডাক্ট আপনার কন্টেন্টে যুক্ত করেন লিংকের মাধ্যমে। যখন কেউ আপনার সাইটে লিঙ্কটি ক্লিক করে, অ্যাফিলিয়েট সাইটে যায় এবং আপনার অনুমোদন করা প্রোডাক্ট কেনার জন্য প্রসেস করা হয়, আপনি বিক্রয়ের উপর কমিশন পান।
অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেল ব্লগটিকেই আবার উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে, ধরুন আপনি সাঁতার কাটার দুর্দান্ত লোকেশন সম্পর্কে পোস্ট করেছেন। গিয়ার সাজেস্ট করতে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারেন – যেমন সুইম সুট, তোয়ালে এবং চশমা – যা আপনি আপনার ভ্রমণের জন্য প্যাক করেছেন। ব্লগের কোনও পাঠক আপনার সাজেস্ট করা সুইম সুট লিঙ্কে ক্লিক করে সেটি কিনলে, ব্লগ থেকে আপনি উপার্জন করবেন।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টের অফার :- আপনি নিজের হাতে বানানো বিভিন্ন জিনিস আপনার ব্লগ সাইটে বিক্রির জন্য শো করতে পারেন। আপনার প্রোডাক্ট ফিজিক্যাল বা ভার্চুয়াল যাই হোক না কেন, পেমেন্ট গ্রহণের জন্য আপনাকে সিস্টেম সেট করতে হবে। ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার সময় আপনাকে যে বিষয় গুলি মাথায় রাখতে হবে তা হল – স্টক স্টোর করা, শিপিং অর্গানাইজ করা এবং কর ও শুল্ক ম্যানেজ করা। ডিজিটাল প্রোডাক্ট লজিস্টিক্যালি কম জটিল কারণ সেই গুলি অনলাইনে ডেলিভার করা যেতে পারে।
কোচিং :- আপনি ব্লগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পরিষেবা অফার করলে অনলাইন কোর্স বা কোচিং প্যাকেজ সেট আপ করে তাতে চার্জ বসিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আয় বাড়ানোর আর একটি বিকল্প হল লাইভ ভিডিও কোচিং অফার করা এবং আপনি সময় দিচ্ছেন বলে আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া আপনার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত, রান্নার ভিডিও, ভ্রমণ ভিডিও এই গুলো আপলোড করেও ব্লগিং করতে পারেন।
মনে রাখবেন যে, আপনার ব্লগ থেকে টাকা উপার্জন করার বিভিন্ন উপায় আছে। আপনি একটি ব্লগ মনিটাইজেশনের পদ্ধতি ভালভাবে শিখে নিয়ে আপনি কোন বিষয়ে ব্লগ করতে ইচ্ছুক, সেটা আগে ভালো করে বুঝে ব্লগিং শুরু করে দিন। আপনি যদি একবার মনিটাইজেশন পেয়ে যান তাহলে প্রত্যেক মাসে আপনি মোটা টাকা উপার্জন করতে পারবেন বাংলা ব্লগের মাধ্যমে।
Written by Shampa Debnath



