এইভাবে UPI পিন দিচ্ছেন? জালিয়াতি নিশ্চিত, কিভাবে বাঁচবেন?
বর্তমানে অনলাইন ব্যবহার করে যেকোনো তথ্য গ্রহণ থেকে শপিং করা অনেক সহজ হয়েছে। এর কারণ উন্নত তথ্য-প্রযুক্তি যেমন UPI এর সাহায্যে । আর এটি ব্যবহার করেই বাড়ছে সাইবার জালিয়াতি। দেশের লক্ষ লক্ষ নাগরিক জালিয়াতের কবলে পড়ে খোয়াচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। মাত্র একটা ছোট্ট ভুল। ব্যস। ব্যাংক একাউন্ট থেকে উধাও পরিশ্রমের টাকা। কিভাবে বাঁচবেন এই বিপদ থেকেও। সময় থাকতে জেনে নিন। আজকে এই প্রতিবেদনে কয়েকটি সাধারণ বিষয় জানানো হবে। যা যেকোনো মানুষ জানলেও তাড়াহুড়োতে বা কোনো ব্যক্তির কথার জালে ফেঁসে যান। আর ভুল কাজটিই করে ফেলেন।
UPI ব্যবহার করেন?
হ্যাঁ, অনলাইন শপিং ব্যস্ততার জীবনে সমলি বাঁচায়। কেনাকাটা করতে যেতে হয় না। কিন্তু পেমেন্টের সময় সামান্য টাকার পরিবর্তে লাখ লাখ টাকা খোয়াতে হয়।
UPI পিন কখন ব্যবহার করবেন?
UPI পিন ব্যবহার করার প্রথমেই যেই বিষয়টি আসে, টাকা নেওয়ার সময় কোনও ইউপিআই পিন দিতে হয়? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানেন। কোনো পিন দিতে হয় না।
কিন্তু পুলিশের বক্তব্য, বহু জালিয়াত জালিয়াতির জন্য জাল কিউ আর কোড তৈরি করে। এরপর বলা হয় QR কোড স্ক্যান করে ইউপিআই পিন দিলে ব্যক্তির একাউন্টে টাকা ঢুকবে। এই তথ্য ঠিক নয়। টাকা একাউন্টে ঢোকার সময় একাউন্টহোল্ডার, অর্থাৎ যার একাউন্টে টাকা ঢুকছে, তাকে কোনো পিন দিতে হয় না। বরং টাকা পাঠাতে হলে প্রয়োজন হয় UPI পিনের। তাই যদি একাউন্টে টাকা ঢোকার সময় পিন দেওয়া হয়, টাকা ঢোকার বদলে ডেবিট হয়েছে যায় নির্দিষ্ট এমাউন্টের টাকা।
UPI পিন জেনারেট কখন করতে হবে?
বহু বছর ধরে একই পিন ব্যবহার করা হলে বা নিজস্ব পিন তৃতীয় ব্যক্তি (বিশ্বস্ত বাদে) বা কোনো অ্যাপ বা কি-বোর্ড অ্যাপে টাইপ করলেও পিন চুরির মাধ্যমে টাকা জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, UPI পিন ও ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড কয়েক মাস পর পর বদলানো প্রয়োজন। আরো কয়েকটি ভুল পদক্ষেপে পিন চুরি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বা থার্ড পার্টি কি-বোর্ডে পিন লিখে পাঠানো হলে, এই সম্ভাবনা থাকে।
অ্যাপ ব্যবহারে সতর্কতা-
মোবাইল যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করছেন? আগে অ্যাপের সোর্স চেক, রিভিউ পড়তে ভুলবেন না। এর থেকেও অনেক তথ্য পাওয়া যায়, যা আপনাকে আসল-নকল বুঝতে সাহায্য করবেন। প্রথমে নিশ্চিত হন সেগুলি ভেরিফায়েড সোর্স কিনা। তারপর সিদ্ধান্ত নিন ডাউনলোড করবেন কিনা।
অফার মেসেজ বা লিংক ব্যবহার-
আজকাল মেসেজ বা ই-মেইলে অনেক ভুয়ো লিংক পাঠানো হয়। সেগুলি কাশব্যাক, জব অফার বা ব্যাংকে টাকা ঢুকেছে ইত্যাদি সম্পর্কিত হতে পারে। জবের ক্ষেত্রে, আপনি যদি মনে করেন কোনো জবের জন্য আবেদন জানাননি, তাহলে এই সব মেসেজ বা মেইল থেকে দূরে থাকুন। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখিত এক পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর দেশে ৯৫ হাজারের বেশি ইউপিআই জালিয়াতি হয়েছে।
গুগল সার্চ করার আগে কী মাথায় রাখতে হবে?
গুগল সার্চে গিয়ে অনেকেই কোনও পরিষেবার জন্য ফোন নম্বর সার্চ করে থাকেন। এই সময় অনেকে জালিয়াতের ফাঁদে পড়ে যান। প্রতারকরা ভুয়ো নম্বর ও ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে তথ্য তালিকাভুক্ত করে দেয়। ব্যবহারকারীরা তা সত্যি ভেবে সেই নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেন।এক রিপোর্ট অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে এই রকম কৌশলে লক্ষাধিক টাকা লোপাট করা হয়েছে।
এপ্রিলে বদলে গেল সুদের হার, ব্যাংকে টাকা রাখার আগে দেখে নিন কোন ব্যাংকে কত সুদ।
টাকা পাঠানোর সময় লক্ষ্য রাখুন-
তাড়াহুড়োর মধ্যে টাকা পাঠাবেন না। সেই সময় মাথা ঠান্ডা করে ভালো ভাবে চেক করবেন কাকে টাকা পাঠাচ্ছেন। বর্তমানে এমন ঘটনাও উঠে এসেছে যেখানে পরিবারের সদস্যের নামে বা কাস্টমার এক্সিকিউটিভ পরিচয় দিয়ে টাকা জালিয়াতি করেছেন। তাই অনলাইনের সুবিধা নিচ্ছেন ঠিক আছে। কিন্তু ব্যবহারের সময় সর্বদা সতর্ক থাকুন।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।