এবার রাজ্যের প্রত্যেক মহিলা পাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজ্য সরকার জারি করলো নতুন নিয়ম
নারী উন্নয়নের খাতিরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে যেসমস্ত প্রকল্পগুলির চালু করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো বাংলায় গৃহবধূদের জন্য কার্যকরী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গ বসবাসকারী অধিকাংশ মহিলাই লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষেরও বেশি মহিলা এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মাসে অনুদান পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে জেনারেল ও ওবিসি কাস্টের মহিলারা প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত মহিলারা প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে অনুদান পেয়ে থাকেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্যের মহিলারা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে থাকেন। আর ইতিমধ্যেই সমগ্র রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ২০০০ টিরও বেশি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প কার্যকরী করা হয়েছে। ১লা নভেম্বর থেকে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন শুরু হয়েছে আর আগামী ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ চলতি মাসের শেষে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার এর জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সমাপ্ত হতে চলেছে।
রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী দুয়ারে সরকারের এই ক্যাম্পগুলিতে যেসমস্ত মহিলারা ইতিপূর্বে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেননি তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। অন্যদিকে যেসমস্ত মহিলাদের বিভিন্ন তথ্যে ভুল ছিলো যার কারণে তার অনুদান পাচ্ছিলেন না তারাও দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পের মারফত সেই ভুলগুলি সংশোধন করতে পারবেন। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মহিলাদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে লক্ষ্মীর ভান্ডারে কারা আবেদন করতে পারবেন তা সংক্রান্ত এক নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে সেমিস্টার সিস্টেমে, নতুন নিয়ম বাংলার শিক্ষা ব্যাবস্থায়
রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত এই নতুন নির্দেশিকায় রাজ্যের সমস্ত মহিলাদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে যে, আগামী দিনে যেসমস্ত মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি করেন তারাও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাবেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে। আর এই নতুন নির্দেশিকার কারণে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে রাজ্যের সমস্ত মহিলা তথা নাগরিকদের। যদিও ইতিপূর্বে লক্ষ্মীর ভান্ডারে কারা আবেদন করতে পারবেন সেই সংক্রান্ত নিয়মে জানানো হয়েছিল যে, যেসমস্ত মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরি করে থাকেন তারা কোনভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না। তবে এবারে সেই নিয়ম ভেঙে আরও একবার নতুন নিয়ম প্রকাশ করা হলো রাজ্য সরকারের তরফে।
রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত এই নতুন নিয়মে জানানো হয়েছে যে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা যারা সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত নন অর্থাৎ যেকোনো বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এবং অনুদান পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। আর এই নতুন নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার অধীনে কর্মরত মহিলারা কিংবা যেসমস্ত মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন তারাও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
ইতিপূর্বে বিধবা মহিলাদের একই সাথে বিধবা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভান্ডরের জন্য আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। আর এবারে রাজ্য সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তে যথেষ্ট খুশি সমগ্র রাজ্যের মহিলারা। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের কর্তাব্যক্তিরা। তবে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত মহিলারা কিংবা চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কর্মরত মহিলারা কিভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন কিংবা তাদের আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো নতুন পদ্ধতি কার্যকরী হবে কিনা অথবা কোনো বিশেষ নথি জমা করতে হবে কিনা এ বিষয়ে কোন বিস্তারিত তথ্য এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি।
মাথাটা একেবারে গেছে।
Bachar asa ar nai amather bati hate koriyai charbe amathar govt
Jadi kau west bengal k kinta chan tahola akbr government er satha kotha bolte paren hoito atau nilam e uthbe 😎😎😎