প্রকল্প

Government Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, বিধবা ভাতা প্রকল্পের টাকা পেতে নতুন নিয়ম

গরীব ও মধ্যবিত্ত নাগরিকদের সুবিধার জন্য অনেক সরকারি প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে আসা হয় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের তরফে। এই নতুন নতুন প্রকল্প (New Govt Scheme) নিয়ে আসার মাধ্যমে সকল বর্গের মানুষকে সমাজের মূল স্রোতে নিয়ে আসাই সরকারের মূল লক্ষ। আর বাচ্চা, পুরুষ, মহিলা, কৃষক, ব্যবসায়ী, পড়াশোনা, চিকিৎসা, খাদ্য এই সকল কিছুর জন্য স্কিম নিয়ে আসা হয়েছে।

West Bengal Government Scheme

রাজ্য সরকার কর্তৃক শুরু করা প্রকল্প গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় যে প্রকল্প গুলো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar), কন্যাশ্রী (Kanyashree Prakalpa), রুপশ্রী (Rupashree Prakalpa), তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প (Taruner Swapna Scheme). এই প্রকল্প গুলোর মাধ্যমে রাজ্যের কন্যা, মহিলা ও যুবক আর্থিক সহায়তা পান, তবে অনেক ব্যক্তি এই প্রকল্প গুলোর (Government Scheme) সুবিধা নিয়ে অনেক ভুয়ো কাজ কর্ম করছেন। বেশ কিছু মাস ধরে এমনটাই অভিযোগ উঠছে।

সরকারি প্রকল্পে টাকা পাওয়ার নিয়ম

কোনো অযোগ্য ব্যক্তি যাতে প্রকল্পের টাকা নিয়ে সুবিধা ভোগ করতে না পারেন তার জন্যই এবার নতুন কিছু নিয়ম কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্দার ও তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা নয় ছয়ের খবর উঠে আসে। এমন অনেক ব্যক্তির কাছে একবারের জায়গায় দুইবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা চলে যায় এবং সেই টাকা তাঁরা ফেরত পর্যন্ত দেয় না।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা

এই জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়াকে একটি কঠোর নিয়মে বাঁধতে চলেছেন রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার লিক প্রুফ পদ্ধতি চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন, যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি প্রকল্পের গ্রাহকের কাছে ওটিপি আসবে। এই ওটিপি ভেরিফিকেশন হলে তবেই সে প্রকল্পের (OTP Verification in Government Scheme) বরাদ্দ টাকা পাবেন।

যে সমস্ত যোগ্য ব্যক্তিরা টাকা পাচ্ছেন না অথচ অন্যান্য প্রতারকরদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে, সে সব প্রতারণা বন্ধ করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে প্রতারণার খবর উঠে এসেছে, যার মাধ্যমে রাজ্যে তোলপাড় হয়েছে। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের (Taruner Swapna Government Scheme) মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়।

এমন অনেক ছাত্র ছাত্রী রয়েছেন যারা ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দ টাকা পাননি অথচ সেই সমস্ত টাকা কয়েক জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এই খবর জানার পরে রাজ্যের পুলিশ তদন্ত শুরু করে আর সেখান থেকে উঠে আসে, যারা সত্যিকারের ট্যাব পাওয়ার জন্য যোগ্য তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকে অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকা ঢুকেছে।

পুলিশ তদন্তের পরে জানতে পারা যায় কয়েকটি প্রতারক এই কান্ডের পেছনে রয়েছে। রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছেন, যে সমস্ত গ্রাহকদের কাছে ট্যাবের টাকা যায়নি তাঁরা প্রত্যেকে বরাদ্দ টাকা পেয়ে যাবেন। এরপরেই রাজ্যের অধিকারীদের সাথে রাজ্য সরকারের শীর্ষ বৈঠক করেন, আর সেই বৈঠকে ঠিক করা হয় এবার থেকে প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য প্রত্যেক গ্রাহকের ওটিপি যাচাই করন করা হবে। ওটিপি মিললেই প্রকল্পের (Government Scheme) জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়া হবে।

সকল প্রকল্পের উপভোক্তাদের আধার কার্ডের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরটি যুক্ত করা রয়েছে, সেই নম্বরে ওটিপি পাঠানো হবে। এতে উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যাচ্ছে কিনা সেটা সুনিশ্চিত করা যাবে। রাজ্য সরকার প্রকল্পের উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দুইভাবে টাকা পাঠায়। প্রথমত কিছু প্রকল্পের ট্রেজারি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নোডাল অ্যাকাউন্টে (Government Scheme) পাঠানো হয়।

Krishak Bandhu (কৃষক বন্ধু)

তারপর সেখান থেকে টাকা ট্রান্সফার হয় প্রকল্পের উপভোক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের ইন্টিগ্রেটেড ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় প্রকল্পের (Government Scheme) উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আর এই নতুন পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে যাতে যে যোগ্য সেই টাকা পায় সেই সকল জিনিস নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার।

একাধিক রেশন কার্ড গ্রাহকের নাম বাদ! রেশন কার্ড স্ট্যাটাস চেক অনলাইনের মাধ্যমে নাম দেখুন

প্রথম পদ্ধতিতে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন রকম প্রতারণার শিকার না হবার সম্ভাবনা থাকলেও দ্বিতীয় মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সময় একটুখানি যাচাইকরণ করার কথা ভাবা হচ্ছে আর সেই জন্যই লিক প্রুফ পদ্ধতিতে ওটিপি যাচাই করা হবে, যাতে আর কোনো ভাবেই ট্যাব কান্ডের মতন প্রতারণার শিকার না হতে হয় প্রকল্পের (Government Scheme) উপভোক্তাদের।
Written by Shampa Debnath

Related Articles