প্রকল্প

আর প্রয়োজন নেই আধার কিংবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের, প্রত্যেক মহিলা পাবে লক্ষ্মীর ভান্ডার

২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য জয়ী হয়ে আসার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের সহায়তার জন্য চালু করেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। রাজ্যের সমস্ত গৃহবধূদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে চালু করা হয় এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয় ১লা জুলাই, ২০২১ থেকে। এই প্রকল্পে জেনারেল/OBC কাস্ট এর মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পেয়ে থাকে এবং SC/ST সম্প্রদায় ভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হয় ১০০০ টাকা।

এতোদিন পর্যন্ত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য মহিলাদের আধার বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকতে হতো। অর্থাৎ এই দুটি নথির কোনো একটি দেখিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করা যেতো।

চলতি বছরের ১লা নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে আবারও শুরু হয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প, যা চলবে ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে সাধারণ মানুষ মোট ২৭ ধরনের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বহু মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই ক্যাম্পে এমন অনেক মহিলা আসছেন যাদের আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। এই কারণেই সেই মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদনটি নেওয়া হচ্ছিল না, যার ফলে ফিরে যেতে হচ্ছিল বহু মহিলাকে। এব্যাপারে বহু অভিযোগ জমা হয়েছে নবান্নতে।

এবারে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফে। এবার থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যদি এমন কোনো মহিলা এসে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করতে চান যার আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তবুও তার আবেদনটি গ্রাহ্য করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনো আবেদনই বাতিল করা যাবে না। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অবিলম্বে সমস্ত আবেদন গ্রাহ্য করা হয়। আগামী দিনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ার কোনো অভিযোগ যাতে আর না ওঠে, জেলা শাসকদের এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

কন্যা সন্তানের পড়াশোনার খরচ নিয়ে চিন্তিত? আবেদন করুন বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায়

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে খুশি রাজ্যের সমস্ত স্তরের মহিলারা। এতোদিন আধার কার্ড বা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলে তারা আবেদন করতে পারত না লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে। কিন্তু এবার থেকে এরকম কোনো বিধিনিষেধ থাকলো না। ফলত এবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছে রাজ্যের সমস্ত স্তরের মহিলারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *