মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করতে এই চারটি কৌশল মেনে চলুন।
রাজ্যজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও ক্লাস ১১-এর ফাইনাল পরীক্ষার জন্য। চ্যাপ্টার রিভিশন থেকে শুরু করে খামতি থাকা জায়গাগুলো শেষ করতে ব্যাস্ত সকলেই। এই শেষ লগ্নে স্টুডেন্টদের কনফিডেন্স বুস্ট করতে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কিছু দুর্দান্ত টিপস্ রইলো আজকের আমাদের এই প্রতিবেদনে।
একটি কাগজের টুকরো কারো জীবন পরিবর্তন না করে দিতে পারলেও, পরীক্ষা প্রতিটি স্টুডেন্টকে নিজের ইভালুয়েশন অর্থাৎ মূল্যায়ন করতে অবশ্যই সাহায্য করে। এই কারনে প্রতিটি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সমস্ত সিলেবাস শেষ করে পড়াশোনার পরেও থেকে যায় কিছু বিষয় যেগুলো মেনে চললে রেজাল্ট নিশ্চিন্তে হবে ভালো থেকে দুর্দান্ত। এমনই চারটি টিপস্ থাকলো আজকে স্টুডেন্টদের জন্য।
(১) রুটিন বানিয়ে পড়াশোনা করা:- রুটিন বানিয়ে পড়াশোনা করা বলতেই অনেকে ভাবেন শিক্ষক বা সিনিয়র কারো থেকে রুটিন বানিয়ে তা ফলো করা। কিন্তু এই ধারনাটি সম্পূর্ন ভুল, বরং এতে হতে পারে হিতে বিপরীত। কোন বিষয় কতোটা পড়াশোনা প্রয়োজন সেটা প্রতি স্টুডেন্টে বিভিন্ন হয়, এই কারনে প্রত্যেকের রুটিন ও আলাদা হবে। নিজের স্ট্রং ও উইক স্পষ্ট বিচার করে নিজেই নিজের রুটিন বানিয়ে পড়লে আরও ভালো হবে প্রস্তুতি।
(২) বই দাগানো ও ইম্পর্ট্যান্ট জায়গা হাইলাইট করা:- সমস্ত বইকে লাল-নীল-সবুজের মেলা বানালে চলবে না। বই দাগানো একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে। কোন জায়গাগুলো বারবার ভুলে যাচ্ছেন বা কোন উত্তরটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এইসব বাছাই করে সেই জায়গাগুলোই শুধু দাগ দিতে হবে। এর ফলে বই বা নোট পড়ার সময়ে সেই হাইলাইট করা জায়গায় চোখ যাবে এবং ব্রেন সেটি সহজে ক্যাচ করবে।
(৩) মক টেস্ট দেওয়া ও টেস্ট পেপার সলভ করা:- পরীক্ষা দেওয়ার আগে নিজে বাড়িতে বসে পরীক্ষা দেওয়াকে বলে মক টেস্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরীক্ষা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এটি। নিজেই কোনো প্রশ্নপত্র সলভ করলে এবং সময় ধরে পরীক্ষা দিলে টাইম ম্যানেজমেন্ট অনেক বেটার হয়। পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর জানলেও সময়ের অভাবে অনেকে লিখতে পারেনা। মক টেস্ট দিলে এই সমস্যা সমাধান হবে অনেকটাই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন মডেল টেস্ট পেপার বের করেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা।
(৪) উত্তর লেখা প্র্যাকটিস করা:- শুধু পড়লেই হবেনা, পরীক্ষাতে লিখতেও হবে উত্তর। এই জন্য পড়ার পাশাপাশি উত্তর লেখা অভ্যাস করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নম্বর মাফিক সময় ধরে লিখতে হবে উত্তর। এই ফলে সময়ের সৎ ব্যবহার করার অভ্যাস যেমন হবে, তেমনই হবে হাতের লেখা ভালো, পরিস্কার এবং দ্রুত।
এই সমস্ত বিষয় মেনে চললে পরীক্ষা ও রেজাল্টে তার ফল নিশ্চয়ই মিলবে।