Life Certificate – লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া নিয়ে জরুরি আপডেট, সবার জানা উচিত।
Life Certificate বা জীবন প্রমাণপত্র নিয়ে আমাদের দেশে ও রাজ্যে সকলেই খুব তৎপর হয়ে উঠেছে। কারণ সরকারের তরফে এই নথিপত্রটি ফট করে সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক করে তুলেছে। মূলত এই জিনিসটি দেশের সকল পেনশনভোগীদের (Pensioners) জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। আর এখনো পর্যন্ত যেই সকল মানুষেরা এই নথি জমা করেননি তাদের এই সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।
Life Certificate New Update.
আপনি কি পেনশনভোগী? লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা করেননি এখনো? বাড়িতে বসেই করতে পারবেন এই কাজ। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানাব কিভাবে বাড়িতে বসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেবেন। নভেম্বর মাস শেষের দিকে পেনশনভোগীদের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট বা জীবন শংসাপত্র জমা দিতে হয়।
অনেক পেনশনভোগী Life Certificate জমা দিয়ে দিয়েছে কিন্তু আরো অনেকে আছে যারা জমা দেননি। এখন তারা বাড়িতে বসেই জমা দিতে পারবেন লাইফ সার্টিফিকেট। তবে এই পদ্ধতি বেশিরভাগ প্রবীন পেনশনভোগীদের জন্যে করা হয়েছে। লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেবার পদ্ধতি ফেস অথেনটিকেশন: সরকার লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেবার জন্য ফেস অথেনটিকেশন পদ্ধতি চালু করেছে।
পেনশনভোগীরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে ফেস অথেনটিকেশন এর মাধ্যমে খুব সহজেই জমা করতে পারবেন সার্টিফিকেট। Life Certificate হল একটি বায়োমেট্রিক সক্ষম ডিজিটাল পরিষেবা যা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারি সংস্থা, কর্মচারী ভবিষ্যত তহবিল সংস্থা বা অন্য কোনও সরকারি সংস্থার পেনশনভোগীদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। পেনশনভোগীরা Google Play Store থেকে Aadhaar Face ID ডাউনলোড করতে হবে এবং তাদের জীবন প্রমান অ্যাপ্লিকেশনটিও ডাউনলোড করতে হবে।
পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংক ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে Life Certificate জমা দেবার জন্যে আবেদন করতে পারেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে পোস্টম্যান আপনার বাড়িতে এসে সার্টিফিকেট জমা নিয়ে যাবে। 2020 সালে এই পোস্টম্যানের মাধ্যমে Doorstep পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। মোবাইলের মাধ্যমে এই পরিষেবাটি পেতে, পেনশনভোগীরা Google Play Store থেকে Post Info অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। পেনশনভোগীদের আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং পিপিও নম্বর দিতে হবে।
মনোনীত কর্মকর্তার স্বাক্ষর সহ কেন্দ্রীয় পেনশন অ্যাকাউন্টিং অফিস বলেছে যে যদি কোনও পেনশনভোগী পেনশন বিতরণ সংস্থার সামনে উপস্থিত হতে না চান তবে তিনি এই পদ্ধতির মাধ্যমে তার Life Certificate জমা দিতে পারেন। এর জন্য পেনশনভোগীর লাইফ সার্টিফিকেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর আবশ্যক। সেন্ট্রাল পেনশন অ্যাকাউন্টিং অফিস স্কিম বুকলেটে বলা হয়েছে।
যে এই পেনশনভোগীদের শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। Life Certificate তাদের স্বাক্ষর রাখার যোগ্য এমন সমস্ত মনোনীত কর্মকর্তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জীবন প্রমান পোর্টাল:
জীবন প্রমান পোর্টালএর মাধ্যমেও লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন। এরজন্য জীবন প্রমান অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। এছারাও UIDAI এর সরঞ্জাম গুলো ব্যবহার করে আঙ্গুলের ছাপ জমা দিতে হবে।
স্মার্টফোনের সাথে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার সংযোগ করতে OTG কেবল ব্যবহার করা যেতে পারে। জীবন প্রমান ওয়েবসাইটে UIDAI এর বাধ্যতামূলক ডিভাইসগুলির একটি তালিকা রয়েছে৷ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান ডাউনলোড করুন বা বিকল্পভাবে নিজেকে নিবন্ধিত করতে নিকটতম জীবন প্রমান কেন্দ্রে যান। ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং
পেনশনভোগিরা ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে Life Certificate জমা দিতে পারবেন।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাংক এর অফিসার পেনশনভোগীর বাড়িতে গিয়ে তার বেঁচে থাকার প্রমান যাচাই করে আসবেন। যারা ব্যাংকে যেতে পারছেন না তারা এই পদ্ধতির মাধ্যমে সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন। SBI-এর নিয়ম অনুযায়ী, 70 বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিক এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা পেতে পারেন। এই পরিষেবার জন্য পেনশনভোগীদের সম্পূর্ণ KYC থাকতে হবে।
PAN Card – প্যান কার্ড থাকলে 10 হাজার জরিমানা, নোটিশ পাঠাচ্ছে আয়কর বিভাগ।
যেখানে অ্যাকাউন্টের সাথে একটি বৈধ মোবাইল নম্বর নিবন্ধিত হতে হবে। এই পরিষেবাতে কোনো কোনো ব্যাঙ্ক 70 টাকা সহ GST চার্জ করে। কিন্তু সব ব্যাঙ্ক এর চার্জ আলাদা। কিছু ব্যাঙ্ক আবার প্রবীন নাগরিকদের জন্য ফ্রি ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা অফার করে। আপনারা Life Certificate এই সকল পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিয়ে লিখতে পারবেন।
Written by Ananya Chakraborty.
PM Rojgar Yojana – বেকারদের জন্য 10 লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকার। কারা কারা