প্রকল্প

Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে দারুণ খবর! পুজোর আগেই আনন্দিত মহিলারা

ফের একবার লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee). পুজোর পরেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে চলেছেন নতুন আবেদনকারীরা। জানা গেল, লক্ষ্মীর ভান্ডার সম্পর্কিত আরো বেশ কয়েকটি তথ্য (Government of West Bengal). ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক প্রকল্প চালু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Good News Before Durga Puja on Lakshmir Bhandar Government Scheme

কন্যাশ্রী (Kanyashree Scheme), শিক্ষাশ্রী (Shikshyashree), যুবশ্রীর (Yuvashree) মতো প্রকল্পের পাশাপাশি ২০২১ সালে রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের মাসিক হাত খরচা দেবার জন্য চালু করেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar). রাজ্যের মেয়েদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা প্রকল্প গুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প।

  • পুজোর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুখবর!

প্রতিমাসে বাংলার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই টাকা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মা বোনদের হাত খরচের টাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আবার সংসার খরচ পর্যন্ত চালান। আগে এই Lakshmir Bhandar প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সাধারণ শ্রেণি মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের হাজার টাকা করে দেওয়া হতো।

  • লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বৃদ্ধি

তবে সেই টাকা এখন বৃদ্ধি করা হয়েছ। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে রাজ্যে উঠেছিল সবুজ ঝড়। রেকর্ড সংখ্যক আসন পেয়েছিল তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এবারের লোকসভা ভোটে বঙ্গ শাসক দলের সাফল্যের পেছনে সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের। কেবল মাত্র এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতার (Lakshmir Bhandar Allowance) কারণেই গ্রাম বাংলা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে, এমনটা মত বিরোধীদের একাংশেরও।

  • লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে জোর চর্চা

বর্তমানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এবার ফের শিরোনামে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। বর্তমানে আর জি কর আবহে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বিরোধীরা সওয়াল করেছিল, এবার থেকে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নেওয়ার আগে ভেবে নেবেন বাড়ির লক্ষ্মীরা নিরাপদ থাকবে কিনা।

অন্য দিকে শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং রাজ্য সরকারের অন্যান্য স্কিম গুলিতে থাকতে চান না, তাদের জন্য ফেরত দেওয়ার একটি ফর্ম দিক রাজ্য সরকার। এরপর লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বহু মানুষের মধ্যে অনিশ্চিয়তা দেখা দেয়। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) বন্ধ হয়ে যাবে কিনা সে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

  • লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নবান্নের সিদ্ধান্ত

সম্প্রতি নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সকলেই ঠিক সময়ে লক্ষীর ভাণ্ডার পেয়ে যাবেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প এতদিন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা প্রত্যেক মাসে সরকারের থেকে ভাতা পান, তাদের কারও ভাতা বন্ধ হচ্ছে না। কিছু দিন আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, Lakshmir Bhandar যেমন চলছে, তেমনই চলবে।

Ration Card (রেশন কার্ড)

যারা যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করেছেন, কিন্তু টাকা পাননি, তাদের চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটা দিন যাক। পুজোর পরেই সবাই ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন। কিছু Lakshmir Bhandar আবেদন পড়ে রয়েছে। তারা সকলে পুজোর পরে পেয়ে যাবেন। পুজোটা হয়ে যাক তারা সে গুলো যাচাই করে নেবেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ডিসেম্বর থেকেই সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন নিয়ে কাজ শুরু করবে।

কলকাতায় পাবেন দুবাইয়ের মজা! পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আনন্দিত সকলে

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাংলার বাড়ি, বিধবা ভাতা আরও অনেক কিছু দেওয়া হবে ডিসেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই ২ কোটি ১৫ লক্ষ মহিলাকে ৪০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য মহিলারা। পাশাপাশি Lakshmir Bhandar বন্ধ হওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে যে দুশ্চিন্তা দেখা গিয়েছিল তাও শেষ হয়ে গিয়েছে বলা যায়।
Written by Sampriti Bose.

Related Articles