Recruitment Scam : কোন নিয়োগ বাতিল হবে না! চাকরি বাতিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বড় বার্তা
বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে তোলা হচ্ছে চারিদিকে। আর কিছু দিন অন্তর অন্তর কোন না কোন দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) বা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) শুনানি চলছে। আর ইতিমধ্যেই ২৬০০০ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
West Bengal SSC WBBPE Teacher Recruitment Scam Case News.
আর গতকাল ২১ শে জুলাই শহিদ স্মরণের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) এই দুর্নীতি মামলা নিয়ে বড় কিছু ঘোষণা করেছেন এবং সকলেই এই বক্তব্যকে খুবই তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করছেন। আর এই Recruitment Scam এর মাধ্যমে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা
মুখ্যমন্ত্রী Recruitment Scam নিয়ে বলেছেন, BJP, CPI(M), Congress এরা সরাসরি ময়দানে না এসে কোর্টে যাচ্ছে এবং PIL দাখিল করে সকল ধরণের মানুষের সমস্যা করছেব এবং এই ২৬০০০ আর ৪২০০০ চাকরি বাতিলের যেই নির্দেশ কোর্টের তরফে দেওয়া হয়েছে সেইটাও এই সকল রাজনৈতিক দলের জন্য হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি সভামঞ্ছ থেকে।
ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল
এছাড়াও ওবিসি সংরক্ষণ (OBC Reservation) নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন এবং জানিয়েছেন যে এবারে এই OBC সংরক্ষণ নিয়ে যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটাও কার্যকর হবে না মানে কোন OBC Certificate বাতিল হবে না প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে হাইকোর্টের তরফে ২০১১ সালের পর থেকে জারি করা সকল সার্টিফিকেট গুলিকে বাতিল বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি (Justice Abhijit Ganguly) ২০২৩ সালের মে মাসে ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক বাতিলের (Recruitment Scam) নির্দেশ দিয়েছিলেন। নাম না করেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই বিষয় নিয়েও বক্তব্য রাখেন। কিন্তু বর্তমানে অভিজিৎ গাঙ্গুলি তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। অর্থাৎ তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে রাজনৈতিক কারণের জন্য এই সকল কিছু করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দেওয়া হবে! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সুবিধা কিভাবে পাবেন?
কিন্তু এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামী দিনে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই ২৬০০০ চাকরি বাতিল (26000 Recruitment Scam) নিয়ে কি নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এই সিদ্ধান্ত আসার পর রাজ্য সরকারের তরফে কি জানানো হয়। আর ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, আর তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা গুলি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।