অর্থনীতি

বিক্রি হতে চলেছে ভারতের এক অন্যতম পরিচিত ব্যাংক, এই ব্যাঙ্কে আপনার অ্যাকাউন্ট নেই তো?

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতবর্ষ যে অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে তাতে সমস্ত দিক সামলে উঠতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হচ্ছে ভারতের সাধারণ জনগণকে। অন্যদিকে, ভারতের অর্থনীতি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সহ বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকারগুলিও যথেষ্ট চিন্তিত। ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারংবার বিভিন্ন ব্যাংকে বেসরকারি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য নানাধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমনকী যে সমস্ত ব্যাংক থেকে লাভের আশাই নেই সেই সমস্ত ব্যাংকগুলিকেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আর এবারে আবারও একটি ব্যাংক বিক্রি হতে চলেছে।আজ্ঞে হ্যাঁ, বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ভারতের যথেষ্ট পরিচিত একটি ব্যাংক খুব শীঘ্রই বিক্রি হতে চলেছে। কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসায় জনগণের মধ্যে নানা ধরনের তর্ক-বিতর্ক এমনকী গুঞ্জনেরও অন্ত নেই। কোন ব্যাংক বিক্রি করা হবে তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ জনগণের মধ্যে। আর তাই আজ আমরা আগামী দিনে ভারতের কোন ব্যাংকটি বিক্রি হতে চলেছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।

বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, নৈনিতাল ব্যাংকের সম্পূর্ণ অংশদারিত্ব বিক্রি করা হবে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার তরফে। বিগত ১২ই ডিসেম্বর ব্যাঙ্ক অফ বরোদার বোর্ডের বৈঠকে নৈনিতাল ব্যাংকের সমগ্র অংশীদারিত্ব বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে যে, নৈনিতাল ব্যাংকে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ৯৮.৫৭ অংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং আগামী দিনে এই অংশই বিক্রি করে দেওয়া হবে। এমনকী এই ব্যাংকের অংশীদারিত্ব বিক্রি করার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণও হস্তান্তর করা হবে বলেই জানা গিয়েছে। এই পদ্ধতিটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংকের তরফে বিড পর্যন্ত চাওয়া হয়েছে। আর ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে ভারতের জনগণ।

টেট উত্তীর্ণদের ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, জেনে নিন ভুল সংশোধনের পদ্ধতি।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার নতুন ব্রাঞ্চ উন্মোচন করার জন্য এবং বর্তমানে তাদের যে ব্রাঞ্চগুলি রয়েছে সেগুলির পুনর্নবীকরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে মূলধন প্রয়োজন, আর তাই ব্যাঙ্ক অফ বরোদার তরফে নৈনিতাল ব্যাংকের অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও এই অংশীদারিত্ব কারা কিনতে পারবেন, কিভাবে বিক্রি করা হবে, পরবর্তীতে কি হতে চলেছে তা নিয়ে কোন প্রকার তথ্য উল্লেখ করা হয়নি ব্যাঙ্ক অফ বরোদার তরফে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯২২ সালে গোবিন্দ বল্লভ পন্থ সহ নৈনিতালের বেশ কিছু সম্ভ্রান্ত পরিবারের ব্যক্তি একত্রে নৈনিতাল ব্যাংক চালু করেছিলেন। উত্তরাখন্ডে এই ব্যাংকের অধিকাংশ শাখা থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি এমনকী হরিয়ানাতেও এই ব্যাংকের বেশ কিছু শাখা রয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নৈনিতাল ব্যাংকের নেট ওয়ার্থ ৬০৭ কোটি টাকা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ আরও বাকি তিনটি রাজ্য মিলিয়ে ব্যাংকটির মোট ১৬৬ টি ব্রাঞ্চ রয়েছে। এই পাঁচ রাজ্যে পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৯৪১ জন কর্মীও রয়েছে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্রাঞ্চগুলিতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *