National Education Policy – আগামী মাস থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে নয়া শিক্ষানীতি, কী কী নিয়ম বদল হল দেখুন।
স্নাতক স্তরে ভর্তির নতুন শিক্ষানীতি চালু করল রাজ্য। গত বছরই কেন্দ্রীয় সরকার নতুন National Education Policy সূচনা করেছিল। তবে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেই সময় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিকাঠামোয় অপ্রস্তুতি থাকার জন্য চালু করা যায়নি এই শিক্ষানীতি। চলতি বছর থেকেই এই এডুকেশন পলিসি চালু করা হবে। কবে থেকে চালু করা হচ্ছে? এই নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের কী ভাবনা? আজকে এই প্রতিবেদনে জানানো হবে। বিশেষত, নয়া এডুকেশন পলিসির মাধ্যমে পড়ুয়াদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সুবিধা হবে।
National Education Policy
শিক্ষা ব্যবস্থায় স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নয়া শিক্ষানীতি (National Education Policy) চালু হওয়ার ফলে পড়ুয়াদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা ওয়েবসাইটে আবেদন জানাতে হবে না। অর্থাৎ পূর্বে কলেজে পছন্দসই বিষয় নিয়ে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করতে হলে কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন জানাতে হত।
বর্তমানে কেবলমাত্র একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে একাধিক কলেজে আবেদন জানাতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। তবে এতদিন ধরে রাজ্যে ৪ বছরের স্নাতক শিক্ষানীতি লাগু করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সিলমোহর ও সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছিলো রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তর। সেই নিয়েও সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তার বক্তব্য জানিয়েছেন।
4 বছরের স্নাতক কোর্সে ভর্তি নিয়ে বড়ো আপডেট, গেজেট নোটিশ জারি করল শিক্ষা দফতর।
শিক্ষামন্ত্রী জানান National Education Policy অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে স্নাতকে ভর্তি এবং ৪ বছরের স্নাতক কোর্স দুটি নীতিই গ্রহণ করা হবে। এই কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে সর্বাধিক ৫ টি কলেজে আবেদন জানাতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জাতীয় শিক্ষানীতি আগামী মাস অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে চালু হতে চলেছে। যেখানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে পঠন-পাঠনের পরিকাঠামোকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
এই শিক্ষানীতিতে বিশেষত অনলাইনের উপরই জোর দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নতুন শিক্ষানীতির নির্দেশিকা রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই শিক্ষানীতি চালু নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশের মত, এই শিক্ষানীতিতে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তাছাড়া চাকরির ক্ষেত্রে বেহাল অবস্থা থাকায় এই ধরনের শিক্ষানীতিকে ভ্রান্ত নীতি বলেই দাবি পড়ুয়াদের। যদিও শিক্ষক- শিক্ষিকাদের মতে, ভ্রান্ত-নীতি নয়, বরং এই শিক্ষানীতি চালু হলে পড়ুয়াদের অনেক সুবিধা হবে।
জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) সুবিধা-
প্রথম দুই সেমিস্টার দেওয়ার পর যেসকল শিক্ষার্থীরা বের হতে চাযইবেন, তাদের UG সার্টিফিকেট পেতে ইন্টার্নশিপ করতে হবে। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ১ বছরে ২ সেমিস্টার সম্পূর্ণ করার পরই প্রমাণপত্র বাসর্টিফিকেট দেওয়া হবে।
২ বছর পর UGC সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
তৃতীয় বর্ষ (৬ টি সেমিস্টার) সম্পন্ন হলে স্নাতক ডিগ্রি মিলবে।
এবার যারা কলেজে ভর্তি হবে তাদের আর 3 নয় 4 বছরে গ্রাজুয়েশন।
চতুর্থ বর্ষ মূলত গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষার জন্য থাকবে। শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হবে।
পাশাপাশি Economical Weaker Section (EWS) শ্রেণীর সার্টিফিকেট থাকলে ২০২৩ সাল থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া যাবে।
শিক্ষা সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।