প্রকল্প

Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নিন

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme). রাজ্যের অনেক দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবার হয়েছে যাদের পক্ষে চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভবপর নয়, বর্তমানে চিকিৎসা (Free Treatment) খরচ অনেকটাই দেয় সাপেক্ষ, তাই সেই খরচ সামলে ওঠা একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব। সেই জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Government of West Bengal) ব্যবস্থা করা হয়েছে।

West Bengal Swasthya Sathi Card

যার মাধ্যমে আপনি সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে যদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখানো হয় তাহলেও এই সুবিধা আপনি পাবেন। সম্প্রতি এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেও অনেক অনিয়মের ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। কিছু দিন আগেই আর জি কর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাক্তারদের আন্দোলনে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) অপব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা কি কি

জুনিয়র ডাক্তাররা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ব্যবস্থাকে সরিয়ে স্বচ্ছ চিকিৎসা ব্যবস্থা আনার জন্য আবেদন জানিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকার রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) অপব্যবহার রুখতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছেন।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চেক অনলাইন

আন্দোলনকে ঘিরে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা থেকে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী স্কিমের অধীনে অনেক সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা বেসরকারি সুবিধায় চিকিৎসা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। কারণ স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) অধীনে সরকারি চিকিৎসকরা যদি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে তাহলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটা এনওসি দিতে হয়।

সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের এনওসি দিতে পারে একমাত্র সরকারি হাসপাতাল। তারপরও যদি কোন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) অধীনে চিকিৎসা করতে চায়, তাহলে তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরে NOC-র জন্য আবেদন করতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আবেদনপত্রের সমস্ত কিছু ঠিকঠাক মনে হলে তবে তিনি অনুমোদন দেবে সরকারি চিকিৎসকদের।

যাতে কোন রকম দুর্নীতি বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অপব্যবহার না হয় সেটি দেখার মূল লক্ষ্যই হল এই ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) মূলত দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাই এই বিষয়ে কোনো রকম অপব্যবহার বা দুর্নীতি যাতে না হয়, সেদিকে স্বচ্ছ ভাব বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর তথা রাজ্য সরকার।

Gatidhara Prakalpa (গতিধারা প্রকল্প)

বিশেষ করে ডাক্তারের আন্দোলনের পরেই রাজ্য সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশি করে সতর্ক হয়েছেন সকল আধিকারিকরা এবং যাতে রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা স্বচ্ছভাব বজায় থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এখনো অনেক দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে, যাঁরা অসুস্থ হলে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) উপরেই সম্পূর্ণ নির্ভর করে।

প্রধানমন্ত্রী স্বানিধি যোজনা। ব্যবসা করার জন্য ৫০,০০০ টাকা ঋণ কিভাবে পাবেন?

সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই কার্ডের সুবিধা গুলো ঠিকঠাকভাবে গ্রহণ করতে না পারে তবে সেটা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অপব্যবহার বলা যায়। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi) নিয়ে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা যাতে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি না করতে পারে তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। রাজ্যের যে সমস্ত মানুষের সত্যি এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রয়োজন তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন অনেকে।
Written by Shampa debnath

Related Articles