Primary TET – টেট মামলায় নয়া মোড়!! 36000 নয় 27415 জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ, চাকরি হারাদের কী দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
প্রাথমিকে শিক্ষক (Primary TET) নিয়োগে দুর্নীতির জট এখনও কাটেনি। বরং একের পর এক নয়া তথ্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই 36 হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার চাকরি হারাদের উদ্দেশ্যে পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ঠিক কী বললেন তিনি? তবে কী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে? নাকি অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে? চাকরি হারারা কী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন? বিশদে জানতে হলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়তে ভুলবেন না।
Primary TET
২০১৪ সালে Primary TET উত্তীর্ণ যেসকল প্রার্থীরা চাকরিতে ট্রেইন্ড বা প্রশিক্ষিত হিসেবে জয়েন করেছিলেন, তাদেরকে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না। যেসকল প্রার্থীরা অপ্রশিক্ষিত হিসেবে জয়েন করেছিলেন, তারা বর্তমানে অপ্রশিক্ষিত থাকলে বাতিল হবে চাকরি। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছিল।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সেই চাকরি হারা শিক্ষকেরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এরপর গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, তিনি Primary TET এ চাকরিহারাদের পাশে থাকবেন। এ নিয়ে তিনি জানান, অনেক শিক্ষক শিক্ষিকারাই তাকে ফোন করেছেন। চাকরি হারাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মানসিক ভারসাম্য হারাবেন না, ডিপ্রেশনে ভুগবেন না, মন খারাপ করবেন না। এই সরকার মানবিক।
Primary TET এর মামলায় আইনি পথে যতদূর লড়তে হয়, লড়া হবে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, দুর্নীতিকে বরদাস্ত করা হবে না। প্রশিক্ষণ ছিল না, এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই চাকরি গিয়েছে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। চাকরি বাতিল নিয়ে আদালতের রায়কেও অসম্মান করা হচ্ছে না। চাকরি হারাদের প্রতি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য, প্রত্যেক পরিবারে যদি ৬ জন সদস্য থাকেন, তাহলেও প্রায় ২ লাখ মানুষ রোজগার হারিয়েছেন।
যদিও বিষয়টিকে বিচারাধীন বিষয় বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে এও বলেন, অনেকের দাবি তারা নাকি প্রশিক্ষন নেননি। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। দিল্লির নির্দেশ ছিল, চাকরিতে জয়েনিং এর ৩ বছরের মধ্যে প্রশিক্ষন নিতে হবে। তা প্রত্যেকে নিয়েছেন। তবে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, 36 হাজার নয়। চাকরি বাতিলের সংখ্যা আরো কমতে পারে।
কমলে সংখ্যাটি হবে ৩০,১৮৫। তবে তার মধ্যে কয়েকজন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত প্যারা টিচার থাকছেন। সেই সংখ্যাটি আনুমানিক প্ৰায় ২৭৭০ জন। যার ফলে সেই ৩০১৮৫ সংখ্যা থেকে ২৭৭০ বাদ দিলে ২৭,৪১৫ সংখ্যায় পৌঁছচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই 36000 চাকরি বাতিলের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন মামলাকারীরা। তাদের যুক্তি, আদালতের নির্দেশ মতো প্রশিক্ষিতরা চাকরিতে বহাল থাকলে, 36000 থেকে চাকরি বাতিলের সংখ্যা অনেকটাই কমবে।
36000 বাতিল শিক্ষকদের আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী, এবং কবে আবার ডিএ ঘোষণা হবে, ইঙ্গিত মিললো।
আর এই বিভ্রান্তির সৃষ্টি বিশেষত টাইপোগ্রাফিকাল ত্রুটির কারণে হতে পারে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস চাকরিহারাদের অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তার উপর যদি চাকরি বাতিলের সংখ্যা কমে, তাহলে আরো কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা স্বস্তি পাবেন।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।