Gold Loan – আর চলবেনা সোনা নিয়ে লোক ঠকানো। গ্রাহকদের স্বার্থে রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন নিয়ম।
গোল্ড লোন (Gold Loan) নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India). মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে লোন (Loan) নিয়ে থাকে মাঝে মধ্যেই। তবে পার্সোনাল লোন (Personal Loan) নেওয়ার থেকেও বর্তমানে মানুষ গোল্ড লোন বেশি নিচ্ছে। তবে দেশের বহু জায়গায় গোল্ড লোন (Loan) নিয়ে চলছে জালিয়াতি। বেশ কিছু দিন যাবৎ সমীক্ষা চালানোর পর এর হদিস পেয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।
New RBI Guidelines On Gold Loan.
গোল্ড লোন (Gold Loan) শুধু মাত্র ব্যাংক দেয় তা নয় বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও গোল্ড লোন দেয়। রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) জানিয়েছে বেশ কিছু ব্যাংক, বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থা ও আর্থিক সংস্থা গুলো গোল্ড লোন দেওয়ার নাম করে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের প্রতারিত করে আসছে। গোল্ড লোনের নিয়ম অনুযায়ী, সোনা বন্দক রেখে গ্রাহকদের যত টাকা লোন পাওয়ার কথা সেটা তো দিচ্ছে না।
এমনকি তার জায়গায় জালিয়াতি করে সোনার মূল্য কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। এছাড়া গোল্ড লোনের সুদের হার (Gold Loan Interest Rate) নিয়েও জালিয়াতি করছে। আর এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে নড়েচড়ে বসল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। বর্তমানে যত দিন যাচ্ছে তত গোল্ড লোন (Loan Against Gold) নেওয়ার চাহিদা বাড়ছে।
কারন মোটা অঙ্কের ঋণ নিতে গেলে ব্যাংক বা বেসরকারি লোন সংস্থা গুলোকে কিছু না কিছু বন্দক বা মর্টগেজ দিতে হয়। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে Gold Loan নেওয়া অনেক সুবিধার। তবে গোল্ড লোন নেওয়ার আগে সব দিক দেখে শুনে বিচার গোল্ড লোন নেওয়ার রিজার্ভ ব্যাংকের যে সব নিয়ম আছে তা জেনে তারপরে আবেদন করতে হয়।
RBI Rules To Take Gold Loan
সোনা বন্দক রেখে লোন (Gold Mortgage Loan) নেওয়ার আগে RBI এর কিছু নিয়ম জেনে রাখা উচিৎ। নিয়ম গুলো হল – যেদিন আপনি সোনা বন্দক রাখছেন সেই দিনের বাজার দর অনুযায়ী ওই সোনার সর্বোচ্চ মূল্যের উপরে গ্রাহক ঋণ পাবেন। পাশাপাশি সোনা বন্দক থাকায় গোল্ড লোনে সুদের হার সাধারণত কিছুটা কম থাকে। কিন্তু তার পরিবর্তে দেখা যাচ্ছে বহু Gold Loan প্রদানকারী নামকরা সংস্থা গ্রাহকদের গ্রাহকদের সোনা বন্দক রাখার উপরে সর্বোচ্চ মূল্যের ঋণ দিচ্ছেন না।
গ্রাহক 22 ক্যারেট এর সোনা (22 Carat Gold Loan) বন্দক রাখলে গ্রাহককে তা ভুল বুঝিয়ে 18 বা 22 ক্যারেটের দেখানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধক রাখার সোনার মূল্যমান হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে গ্রাহক কম ঋণ পাচ্ছেন। তা ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে সোনার গয়নায় (Gold Jewellery) খাদের পরিমান বেশি দেখিয়ে কম ঋণ দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে অনেক। এছাড়া Gold Loan সুদের হার নিয়েও জালিয়াতি করছে তারা।
সাধারণত ব্যাংক গুলো Gold Loan দেওয়ার ক্ষেত্রে 8.75% থেকে 11% পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে। কিন্তু বেশ কিছু নামকরা গোল্ড লোন সংস্থা আছে যারা 36% পর্যন্ত সুদ আদায় করে গ্রাহকদের থেকে। শুধু তাই নয় ব্যাংক গুলো গোল্ড লোনের জন্য প্রসেসিং ফি হিসেবে সর্বোচ্চ 5000 টাকা নিলেও, গোল্ড লোন সংস্থা গুলি বহু ক্ষেত্রে তার থেকে অনেক বেশি টাকা গ্রাহকদের থেকে আদায় করে।
RBI Gold Loan সংস্থা গুলোর প্রতারণা নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে। সেখানে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপাশি তুল্য মূল্য বিচার করে তারপরে গ্রাহক যেন ঋণ নেয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক গুলো সাধারণত সঠিক অর্থ সঠিক সুদের হারে প্রদান করে বলে জানানো হয়েছে। এমনকি বেশ কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের বন্ধক রাখা সোনার গয়নার ক্ষেত্রে ক্যারেট সার্টিফিকেট প্রদান করে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের আর প্রতারিত হতে হয় না।
মাসিক আয় কম হলেও ধনবান হওয়া সম্ভব। এই 5 উপায়ে টাকা বিনিয়োগ করুন।
এই জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছে, সব কিছু বিচার বিবেচনা করে তবেই Gold Loan বা সোনার বদলে ঋণ নেওয়া উচিৎ। অনেকে বলেছে বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থা গুলোর থেকে ব্যাংক থেকে গোল্ড লোন নেওয়া অনেক বেশি নিরাপদ। তাছাড়া বন্দক রাখা গয়নার আগে হলমার্ক করিয়ে নিলে গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে সঠিক দাম পাওয়া যায়।
Written by Ananya Chakraborty.
আধার কার্ড গ্রাহকদের সুখবর। টাকার দরকার হলেই টাকা দিচ্ছে ব্যাংক। 5 মিনিটে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে।