পশ্চিমবঙ্গের খবর

Electricity Bill – পুজোর মুখে প্রত্যেকের বিদ্যুৎ বিল কমানোর ঘোষণা। পশ্চিমবঙ্গের সকলেই পাবেন এই সুবিধা।

সমগ্র রাজ্যবাসীর জন্য পুজোর মধ্যেই কারেন্ট বিল তথা Electricity Bill নিয়ে আসতে চলেছে এক দারুণ সুখবর। আর নয় বিদ্যুতের মিটার, এবার ঘরে ঘরে বসতে চলেছে স্মার্ট মিটার। যার ফলে বিদ্যুতের বিল সংক্রান্ত আর কোন ঝামেলা থাকবে না গ্রাহকদের। শুধু তাই নয়, মাসে মাসে কারেন্ট বিল আসায় ইউনিট প্রতি বিল ও কম আসবে। আর অনেক সময় হাতে বানানো বিলে ত্রুটিপূর্ণ বিল আশার অভিযোগ পাওয়া যেত। সেই সমস্যা আর থাকবে না। ব্যাপারটা ভালো করে বিঝে নিন।

Electricity Bill will reduce use of Smart Electric Meter

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল এই স্মার্ট মিটারের (Smart Electric Meter) পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ। ইতিমধ্যেই জরিপের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি বদলে যাবে বিদ্যুতের ট্যারিফও (Electricity Bill per unit cost). যার প্রতিবাদে বৈঁচি বিদ্যুৎ দপ্তরে স্মারকলিপিও পেশ করা হয়েছে। এই মিটার চালু হলে গ্রাহকদের অসুবিধা বাড়বে বলে মনে করে আন্দোলনকারীদের একাংশ।

আন্দোলনের কারন

তাঁদের মতে, স্মার্ট মিটার (Smart Electric Meter) চালু হবার ফলে, একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল (Current Bill, Electric Bill) কত এসেছে, সেটা দেখে পরের মাসে তা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রিপেইড মিটার চালু হলে সেই টাকা আগে দিতে হবে। সেই টাকা কবে বা কী ভাবে শেষ হবে, তা একজন গ্রাহক জানতে পারবেন না। কারণ তিনি কোনও মিটার রিডিং দেখতে পাবেন না।

বিদ্যুৎ দপ্তরের মতামত

আন্দোলনকারীদের এই দাবিকে মাথায় রেখে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, স্মার্ট মিটার বসানো হলে গ্রাহকদের আর তিন মাস অন্তর বিদ্যুতের বিল জমা করতে হবে না। তারা প্রিপেইড মোবাইল রিচার্জ এর মতই আগে থেকেই সেটিকে রিচার্জ করে নিতে পারবেন এবং টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিদ্যুৎ পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। এই রিচার্জটি শেষ হওয়ার আগে তাদের নির্ধারিত মোবাইল নাম্বারে SMS এর মাধ্যমে সতর্কীকরণ করা হবে। এবং সেই মতো রিচার্জ করে নিলে তাদের বিদ্যুৎ পরিষেবা আবারও চালু থাকবে।

New Krishak Bandhu (নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্প)

ফলে গ্রাহকদের আর কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। অন্যদিকে, স্মার্ট মিটার বসানোর ফলে কাজ হারাতে পারে বিদ্যুৎ দপ্তরের বেশ কিছু স্থায়ী ও অস্তায়ী কর্মী। বিদ্যুৎ বিলের নতুন ট্যারিফে বোঝা চাপবে সাধারন মানুষের উপর। আন্দোলনকারীদের পাল্টা অভিযোগ, এতদিন ফিক্সড চার্জ প্রতি KVA ছিল ১৫ টাকা, এবার সেটা বেড়ে হবে ৩০ টাকা। পাশাপাশি নূন্যতম চার্জ (Electricity Bill) এতদিন ছিল ২৮ টাকা। Electricity Bill সেটা বেড়ে হবে ৭৫ টাকা।

এই ট্যারিফ গৃহস্থের জন্য ধার্য করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে ডেপুটেশন দেওয়া হয় বলে জানান হুগলি জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক স্বপন দাস। তিনি আরও জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে। তবে এক্ষেএে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক অবস্থায় যাদের ৫ কিলোওয়াট এর অধিক বিদ্যুৎ লোড হয় অর্থাৎ বিভিন্ন সরকারি অফিস ; ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রাহক ও কমার্শিয়াল গ্রাহকদের চিহ্নিত করে এই স্মার্ট মিটারটিকে বসানো হবে।

৫০০ টাকায় রান্নার গ্যাস। কবে বুক করলে পাবেন, জানতে ক্লিক করুন।

সেক্ষেত্রে সফল হলে পরবর্তী পর্যায়ে সাধারণ মানুষের বাড়িতে অর্থাৎ যাদের পাঁচ কিলো ওয়াটের কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হবে। এক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। তবে ইতিমধ্যেই সল্টলেক, রাজারহাট, গড়িয়া ও শ্রীরামপুর ডিভিশনের বেশকিছু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পরেই দুই ২৪ পরগনা, কোলকাতা ও হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতে চলেছে এই স্মার্ট মিটার।

আরও পড়ুন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জরুরি আপডেট, সবার জেনে নেওয়া উচিত।

ইস্ট ডিভিশনে 2800টি স্মার্ট মিটারের লক্ষ্যমাত্রা এর মধ্যে ২৭০ টি স্মার্ট মিটার ইন্সটল করার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে এই স্মার্ট মিটার বসানো কে ঘিরে উৎসাহও রয়েছে প্রচুর। তবে স্বস্তির আশ্বাস এটাই যে এখনো পর্যন্ত যে সকল জায়গায় এই স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে, সেই সকল জায়গা থেকেই কোনরকম অভিযোগের খবর আসেনি অর্থাৎ এই স্মার্ট মিটার পুজোর পরে রাজ্যবাসীর জন্য বাস্তবেই এক সুখবর নিয়ে আসতে চলেছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *