প্রকল্প

Swasthya Sathi: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা নিয়ে বড় আপডেট। রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ

পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Scheme) মাধ্যমে বার্ষিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance) নিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal). সকল প্রকল্প (Government Scheme) গুলোর মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। রাজ্যের যে সমস্ত দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবার রয়েছে, সেই পরিবার গুলো চিকিৎসা খরচা যাতে বিনামূল্যে করতে পারেন, তার জন্যই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প সূচনা করা হয়েছে।

Swasthya Sathi Health Insurance Scheme

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) থাকলে আপনি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে পারেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সূচনা করা বেশ কয়েকটি প্রকল্পের টাকা কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তাই এই ব্যাপারে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাজ্য সরকার। প্রত্যেকটি প্রকল্প থেকে কিভাবে টাকা নয় ছয় হচ্ছে সে ব্যাপারে তদারকি শুরু করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নতুন ঘোষণা

বেশ কয়েক মাস আগেই আর জি কর কান্ডকে ঘিরে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত হয়েছিলেন। আন্দোলনের মধ্যে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন, তার মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi) রয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা থেকে বিরত ছিলেন।

বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প

তবে জানা গিয়েছে সেই সব জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা না দিলেও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে পরিষেবা চালিয়ে গিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার জানিয়েছেন, এই সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়ে বেশি টাকা লাভ করেছেন, এটা অন্যায় মূলক একটি কাজ।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যে সমস্ত বিষয়ে তুলে ধরেছিলেন তাঁরা বা যে দাবি দাওয়া গুলো করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকটাই মেনে নেওয়ার জন্য ডাক্তারদের আশ্বস্ত করেছিলেন। অন্য দিকে যখন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi) টাকা আত্মসাৎ করার জন্য সেই ডাক্তারদের দিকে আঙুল উঠেছে, এটা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশি নড়েচড়ে বসেছেন।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প দুঃস্থ ও দরিদ্র মানুষ গুলোর চিকিৎসার খরচ যাতে কমানো যায়, সেই প্রচেষ্টার জন্যই সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের টাকা জুনিয়র ডাক্তাররা আত্মসাৎ করায়, যে সমস্ত ডাক্তার এই মধ্যে জড়িত রয়েছেন তাদের উপর কড়া ব্যবস্থা নেবেন এমনটা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায়।

Lakshmir Bhandar Scheme (লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প)

সরকারি ও বেসরকারি দুই জায়গাতেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi) ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ পরিষেবা নিতে পারে সেটা দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রকল্পের টাকা নয় ছয় জড়িত যে সমস্ত চিকিৎসক রয়েছেন তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবেন রাজ্য সরকার এমনটা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিজ্ঞপ্তিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা কিছুটা হলেও চিন্তিত।

আধার কার্ড আপডেট অনলাইন। আধার আপডেট লাস্ট ডেট জেনে করে ফেলুন

জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে কোন ঝড় ধেয়ে আসছে সেটা কিছু দিন পরেই আন্দাজ করতে পারবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সূচনা করা সমস্ত প্রকল্পই শুধুমাত্র রাজ্যের নিম্ন দরিদ্র পরিবার গুলোর জন্যই, তাই প্রত্যেকটি প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষরা যাতে নিরবিচ্ছিন্ন সুবিধা পেতে পারে সেই দিকেই লক্ষ্য একমাত্র রাজ্য সরকারের।
Written by Shampa debnath

Related Articles