ট্যাবের ১০ হাজার টাকা ফেরত চেয়ে নির্দেশ জারি করলো নবান্ন। কাকে কাকে ফেরত দিতে হবে টাকা?
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বারংবারই বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প থেকে শুরু করে স্কলারশিপ কার্যকরী করা হয়ে থাকে। আর বিগত দু’বছরে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কার্যকরী যে প্রকল্পটি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা হলো তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য মোবাইল অথবা ট্যাব কেনার ক্ষেত্রে ১০, ০০০ টাকা করে দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এই প্রকল্পের অধীনে ট্যাব কিংবা মোবাইল কেনার টাকা বিতরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
আর এখানেই প্রধান সমস্যা। ইতিপূর্বে রাজ্য সরকার তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছিলো যে, বিগত বছরে প্রায় ১৬ হাজার ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে দু’বার ট্যাব অথবা মোবাইল ফোন কেনার টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের তরফে যেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা দু’বার টাকা পেয়েছেন তাদের চিহ্নিত করা গেলেও, ওই টাকার মধ্যে কতো টাকা ফেরত পাওয়া গেছে তা নিয়ে কোনোরূপ স্পষ্ট উত্তর মেলেনি নবান্নের তরফে। এক প্রশাসনিক কর্তার তরফে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে যে, দ্বাদশ শ্রেণীর অনেক শিক্ষার্থীই ট্যাবের টাকার জন্য বাংলা শিক্ষা পোর্টালের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব স্কুলের বৃত্তিমূলক পোর্টালেও আবেদন জানিয়েছিলেন। যার কারণে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’বার তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পৌঁছে গিয়েছে। আর তাতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রত্যেক মহিলা পাবে ৬ হাজার টাকা, আবেদন করুন জননী সুরক্ষা যোজনায়
আগামী দিনে যাতে এইরূপ ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে কোনোভাবেই না হয় তার জন্য টাকা বিতরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্ক হয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। এর পাশাপাশি নবান্নের তরফে এও জানানো হয়েছে যে, কোনোভাবে যদি দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে দু’বার টাকা ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে তবে ওই টাকার অর্ধেক যাতে ফেরত পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে টাকা ফেরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। সমস্ত স্কুলগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যাতে তারা এ বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর রাখেন এবং কোনোভাবেই যদি কোনো ছাত্র অথবা ছাত্রীর অ্যাকাউন্টে দু’বার টাকা ট্রান্সফার করা হয় তবে সেটি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবার আগে পেতে যুক্ত হন আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে – Link
এবিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি বিনিময় দাস জানিয়েছেন যে, বিগত বছরের একই ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে কোনভাবেই না হয় তার জন্য যথেষ্ট সচেতন রয়েছে শিক্ষা দপ্তর এবং শিক্ষক প্রশিক্ষক সমিতি। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে আরেক নতুন বিজ্ঞপ্তি মারফত ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়েছে যে, যেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা ভোকেশনাল এডুকেশনের অধীনে পাঠরত অথবা বৃত্তিশিক্ষার অধীনে পড়াশোনা করছেন তারা কোনভাবেই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে ট্যাব কেনার টাকা পাবেন না। অন্যদিকে, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য কোন ছাত্র অথবা ছাত্রী যাতে বাংলা শিক্ষা পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন জানাতে না পারেন তার দিকেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা দপ্তরের তরফে।