Mamata Banerjee – মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকের পরেই ব্যবস্থা নিলো নির্বাচন কমিশন, কি এমন ঘটেছে?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) কড়া ধমক দিলেন, কিন্তু কেন এই ধমক এবং কাকে এই ধমক দেওয়া হল? সেই সম্পর্কে এখন এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চলেছি। আমরা সকলেই জানি যে ধমক ছাড়া কেউ কোনভাবেই ঠিক কাজ করবে না! নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উঠে এল এমন এক ভাবনা!
Mamata Banerjee Raised Complaint Against ECI.
বাংলা থেকে ভিন রাজ্যে ভোটের কাজ করতে যাওয়া পুলিশ কর্মীদের ভোটদান নিয়ে যে পথে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India) ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তা দেখে উঠে আসছে এমন ধরনের প্রশ্ন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম দুই দফার নির্বাচনে বাংলা থেকে যে পুলিশ কর্মীরা ভিন্ন রাজ্যে গিয়েছে ভোট করানোর জন্য তারা পোস্টাল ব্যালেটে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারেননি কোনও ভাবে। এই নিয়ে রেগে লাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee).
সেই ব্যবস্থা রাখা হয়নি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission Of India) পক্ষ থেকে। শেষ দুই দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রীতিমতো। যার ফলে টনক নড়েছে নির্বাচন কমিশনের। ইতিমধ্যেই প্রথম ২ দফার নির্বাচন দেশের ৩৫ শতাংশ লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ছয়টি রয়েছে।
ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ এবং কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে যে দেড় হাজার জন পুলিশ কনস্টেবল এবং অফিসারকে মোতায়ন করা হয়েছে ভিন রাজ্যে। তাদের ভোট দেওয়া নিয়ে উদাসীন নির্বাচন কমিশন। প্রথম দুই দফার জন্য উত্তরবঙ্গের যে ছয়টি কেন্দ্রে নির্বাচন করা হয়েছিল ভিন রাজ্যে ভোট গ্রহণ করাতে যাওয়া সেখানকার বাংলার পুলিশ কর্মীদের ভোটদানের কোন ঠিক ঠাক ব্যবস্থা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Mamata Banerjee).
অথচ অন্যান্য সরকারি কর্মীরা যারা নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন ইতিমধ্যেই তারা সকলেই পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারছেন বা দিচ্ছেন। এই রকম পরিচিতিতে Mamata Banerjee শুক্রবার নির্বাচনী জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন তৃতীয় দফার ভোটের আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যদি পশ্চিমবঙ্গের এই পুলিশ কর্মীদের ভোটদানের যথাযথ ব্যবস্থা না করে থাকেন তবে তিনি রাজ্যের পুলিশ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।
এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে ইলেকট্রনিক ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পদ্ধতিতে বাকি ৫-১ ভোট দিতে পারবেন ভিন রাজ্যে নির্বাচন করাতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কর্মীরা। এই পদ্ধতি অনুযায়ী ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মী এবং আধিকারিকদের ভিন রাজ্যের নির্বাচনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক এবং অন্যান্য ভোট আধিকারিকরা সাধারণত ভোট দিয়ে থাকেন (Mamata Banerjee).
2000 টাকা পাবেন Yuvasree Prakalpa এর মাধ্যমে। বিনা পরিশ্রমে একাউন্টে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার
তৃতীয় দফার ভোট রয়েছে আজকে। এই দফা থেকে ভোট দানের কোন রকম সমস্যা হবে না এমনটাই কথা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) এই কথা বলার পরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামীদিনে কোন ধরণের সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
Written By Tithi Adak.