Primary TET – 2014 সালের প্রাইমারী টেট প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি। বিপদে 2017 থেকে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা।
ফের বাতিলের মুখে ২০১৪ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET)!! এই নিয়ে কি নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা? এই নিয়ে ফের অস্বস্তির মুখে পড়তে হল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে (West Bengal Board Of Primary Education). এবারে বাতিল হতে চলেছে ২০১৪ এর প্রাথমিকে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া? বর্তমানে প্রশ্নচিহ্নের মুখে প্রায় ৬০,০০০ জন চাকরিজীবীর ভবিষ্যৎ।
WBBPE Primary TET 2014 Important Update.
প্রাথমিক টেট ২০১৪ (Primary TET 2014) এর প্যানেল নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court). এই মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। প্রায় ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যকে টেট নিয়োগের (Primary TET Recruitment) নথি আদালতে পেশ করতে হবে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পক্ষ থেকে। ২০১৪ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment) পরীক্ষায় বসে ছিলেন প্রায় ২২ লাখ জন পরীক্ষার্থী।
এই সময় শূন্য পদের মোট সংখ্যা ছিল ৫৯৫০০টি। যার মধ্যে 42 হাজার শূন্যপদ ১৪ সালের নিয়োগের পর বাকি সাড়ে ছয় হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল ২০২০ সাল নাগাদ। সম্প্রতি সেই নিয়োগের OMR বিশ্লেষণ সংক্রান্ত দুর্নীতি সবার প্রকাশ্যে এসেছে। যার জেরে রীতিমতো উথাল পাথাল হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতি। দেখা যাচ্ছে ২০১৪ সালে অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন ইতিমধ্যেই (Primary TET).
চাকরিপ্রার্থীদের এমন গুরুতর অভিযোগ মামলা দায়ের হয় রাজ্যের উচ্চ আদালত পর্যায়ে। সেই সময় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মামলার শুনানি চলাকালে সিবিআইকে তদন্তভার অর্পণ করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। তারপর পর্যায়ক্রমিকভাবে বিচারপতির রাজশেখর মান্জা রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (WBBPE) ২০১৪ এর নিয়োগের নথি আদালতের (Primary TET) পেশ করতে বলেছিলেন।
যার প্রমাণস্বরূপও OMR Sheet প্রমাণ দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, টেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার যদি ওএমআর সংরক্ষিত না থাকে এবং সত্যি সামনে না আসে তাহলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary TET Recruitment) বাস্তবতা এবং বৈধতাই বা কোথায়? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
পর্ষদ যদি অন্ততপক্ষে ওএমআর এর ব্লু প্রিন্ট জমা করতেও সমস্ত না হয়, তাহলে ২০১৪ এর টেটের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। ওএমআর এর হার্ড কপি থাকলে টেট নিয়োগ পরীক্ষার ডিজিটাল ব্লু ফুড প্রিন্ট অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেন্ট্রাল বিউরো ইনভেস্টিগেশনকে (CBI).
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের খরচ একধাক্কায় বাড়ল! গ্রাহকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
এখন এই নির্দেশের ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছেন ২০১৭ সাল থেকে চাকরি পাওয়া সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা। Primary TET নিয়ে এর আগেও অনেক সমস্যা দেখা গেছে এবং ৩২০০০ শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবারে পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ শুনে রীতিমত চিন্তায় সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকারা, এবারে দেখার অপেক্ষা যে আগামীদিনে কি হতে চলেছে।
Written By Tithi Adak.
পশ্চিমবঙ্গবাসীর একাউন্টে 40 হাজার টাকা করে ঢুকছে। কারা এই টাকা পাবেন?