বিয়ের জন্য এবার লাগছে টেট সার্টিফিকেট, এই ঘটনা ইতিহাসে এখনও ঘটেনি।
লাগাতার নিয়োগ দুর্নীতিতে সমাজে মুখ দেখানো দায় হয়ে পড়েছে শিক্ষকদের (টেট সার্টিফিকেট). পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গেছে যে বিয়ের সম্বন্ধ এলেও দেখতে চাওয়া হচ্ছে টেট পাশ করার শংসাপত্র। এতেও রেহাই নেই। শংসাপত্র টেট সার্টিফিকেট আদৌ সত্যি কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাও। নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে একের পর এক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করছে আদালত। এর ফলে অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। কিন্তু এই দায় কার? তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে, জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিক ভাগ করে নিলেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
টেট সার্টিফিকেট আছে তো?
কয়েকদিন আগে জনৈক এক ভদ্রলোক আধিকারিকের ঘরে ঢুকে পকেট থেকে একটি কাগজ বের করে দেখান। সেই কাগজে এক শিক্ষকের নাম, জন্ম তারিখ এবং স্কুলের নাম লেখা ছিল। আধিকারিক জানান, “ভদ্রলোক বললেন, ‘কাগজে যাঁর নাম লেখা, তাঁর সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। একটু দেখে দেবেন, হবু জামাইয়ের চাকরিটা ঠিকঠাক পরীক্ষা দিয়ে পাওয়া তো?’ ভদ্রলোকের সংশয় দেখে মনে হল, এমন ভাবনা যে কারও হতে পারে।’’
তবে এই রকম ঘটনা এখন আকছার ঘটছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনটা মনে করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এবং তৃণমূল নেতা লৈক্ষ্যমোহন রায়ও। সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, “অনেকেই এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছে। আমি বলেছি, আমাদের জেলায় এখনও কোনও প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যায়নি। আমরা সব নিয়োগের নথি পাঠিয়েছি। তাতেও কোনও সমস্যা নেই। গ্রুপ ডি-তে কিছু চাকরি গিয়েছে।” চেয়ারম্যানের সংযোজন, “বলতে দ্বিধা নেই, অনেকে আবার টেট সার্টিফিকেটও চাইছেন।”
তবে কেবল শিক্ষকরাই নয়, এই রকম অকিঞ্চিৎকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষিকাদেরও। নাম, ঠিকানা, স্কুলের নাম জানিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে ওই শিক্ষিকাদের চাকরি জালি নয় (টেট সার্টিফিকেট) তা নিশ্চিত করে জানানো সম্ভব কিনা।
রাজ্যের বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা এই বিষয়ে বলেন, “এমন এক পাত্রীর নাম জানিয়ে আমার কাছে প্রশ্ন এসেছে। কিন্তু উত্তর দিতে পারিনি!’’
সিভিক ভলেল্টিয়ারদের ডবল সুখবর, বেতন বৃদ্ধির সাথে সাথে শুরু হলো স্থায়ীকরন ও প্রোমোশন।
তিনি আক্ষেপ করেন, তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির দায়ে সারা রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জীবন এক প্রকার অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কমেছে সামাজিক সম্মান এবং বেড়েছে সন্দেহ, উৎকন্ঠা। আগে যেখানে বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রীর পাকা চাকরি কি না, বেতন, স্বভাব-চরিত্রের খোঁজ নেওয়া হত, এখন সেখানে চাকরি কী ভাবে পেয়েছে, সেটাও জানতে চাওয়া হচ্ছে। সমাজের এমন অধঃপতন মেনে নেওয়া সত্যিই বেশ কষ্টের।
Written by Antara Banerjee
মহিলাদের জন্য দুর্দান্ত সরকারি প্রকল্প, রকেট গতিতে বাড়বে টাকা
খুব সুন্দর উপস্থাপনা 🙏 অনেক অনেক ধন্যবাদ 🤝 ভালো থাকবেন। শুভদিনের শুভকামনা 🙏🕉🙏